“মাসিক আইনশৃংখলা সভায় ধর্ষক মোর্শেদ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ১০/০৮/২০২০ইং তারিখ রোজ সোমবার “তদন্ত চিত্র” অনলাইন সংস্করণ প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত সংবাদে তাসলিমা আক্তার শান্তা ওরফে স্বিগ্ধা ভূঁইয়া অভিযোগের ভিত্তিতে কল্পনাপ্রসূত, মনগড়া ও বিভ্রান্তিমূলক রিপোর্ট পরিবেশন করে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক মনোভাব নিয়ে প্রস্তত করা হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্টে কোন দালিলিক প্রমান বা সত্যতা নেই। যা আমি সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হই। আমি এই অসত্য, বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি বর্তমানে জাতীয় একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত আছি। নরসিংদী প্রেসক্লাবে নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গেল কমিটির সভাপতি ছিলাম। একজন সুনামধন্য সাংবাদিক হিসেবে নরসিংদী জেলা সহ যে কোন স্থানে বা সভায় থাকাটা আমার কোন অপরাধ নয়।

তাসলিমা আক্তার শান্তা ওরফে স্বিগ্ধা ভূঁইয়া পূর্বেও শাহিন নামে এক বিত্তবান ছেলের অর্থের লোভে পরিকল্পিত ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে নরসিংদী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এতে সেই মামলা রুজু করার ব্যর্থ হয়ে পরে পূনরায় মিথ্যা নাটক সাজিয়ে স্বামী শাহিনের নামে ১৯১৪ সালে নরসিংদী আদালতে নির্যাতনের মামলা করে। অতঃপর মোটা অংকের টাকা আদায় করে মামলা বাদী তাসলিমা আক্তার শান্তা সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। ঠিক একই কায়দায় পরিকল্পিত ভাবে মোটা অংকের টাকা লোভে কল্পকাহিনী বানিয়ে বিভিন্ন অভিযোগসহ মিথ্যা মামলা দায়ের করে টাকা আদায়ের জন্য। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি জানি এই মামলার কোন সত্যতা নেই বিদাই আমি মামলায় মুখাবেলা করে যাচ্ছি। তাই মামলার বাদীনি তাসলিমা আক্তার শান্তা ওরফে স্বিগ্ধা ভূঁইয়া তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব ও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

শান্তা এই মহিলা তার একাধিক বিবাহ হয়, তার কাজই হচ্ছে ভাল মানুষদের বিভিন্ন কৌসুলে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং করে বিয়ে, পরে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। আমার জানা মতে এই মহিলার ২৮ বছর পার হলেও কেন তার ভোটার আইডি করে নাই। এর কারণে তার প্রকৃত নাম কোনটি সে নিজেও বলতে পারবে না। অভিযোগ কারীনি মহিলা তাসলিমা আক্তার শান্তা ওরফে স্বিগ্ধা ভূঁইয়া কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করাই তার পেশা। আমাকে জড়িয়ে “তদন্ত চিত্র” প্রকাশিত খবরটি ষড়যন্ত্রমূলক সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

মোর্শেদ শাহরিয়ার, নরসিংদী।