চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তিথি আজিজ, আমেনা বেগম নামের এক নারীকে সিজার করতে গিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ।
গত ১৭ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ওই নারীকে তিথি আজিজ বে-সরকারী স্কয়ার হাসপাতলে সিজার করান।অভিযোগ রয়েছে সিজারের সময় তিথি আজিজের খামখেয়ালীপনা মনোভাবের কারণে রোগীকে মৃত্যুকে কোলে পেলে দেয়া হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে,লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানাধীন,আলিপুর হুজুর বাড়ীর, আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগম। গর্ভবতী অবস্থায় থেকে আমেনা বেগম চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ তিথি আজিজের চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আনোয়ার হোসেন নয়া বঙ্গবাজারকে বলেন,গত এক সপ্তাহ যাবত আমি, তিথি আজিজের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। আমি ওনাকে বলেছি কোন সমস্যা থাকলে আমাকে বলেন,আমি মাইজদী বা ঢাকায় আমার স্ত্রীকে সিজার করাবো। তিনি আমাকে নিশ্চয়তা প্রদান করেছিলেন কোন সমস্যা নেই মর্মে। এমনকি সিজারের ২ দিন পূর্বে আল্টা করানো হয়, সিজারের দিন আবারো আল্টা করায়। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে।
এদিকে প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা যায়, সিজারের পর কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তড়িঘড়ি করে সিজার সম্পূর্ণ না করেই,মাইজদীতে আমেনা বেগমকে স্থানান্তর করা হয়।মাইজদীস্থ আমেরিকান স্পেশালিস্ট হসপিটালে সন্ধ্যা ৭টায় আমেনা বেগমকে ভর্তি করা হয়। সেখানে একটি মেডিকেল টিম গঠন করে দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা চিকিৎসকরা, আমেনা বেগমের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে ঢাকায় বা কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সেখান থেকে যাওয়ার পথে আমেনার মৃত্যু হয়। (বিস্তারিত প্রক্রিয়াধীন)
এ বিষয়ে জানতে চাইলে,চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) নয়া বঙ্গবাজারকে বলেন,আমার এখানে সিজার করানো হয়,রক্তক্ষরণ ও বন্ধ হয়।একটু সমস্যা দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক তিথি আজিজের মন্তব্য জানার জন্য, বেশ কয়েকবার তার সেলুলার ফোনে কল করা হয়। তিনি তা রিসিভ না করায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তিথি আজিজ এ ঘটনায় অনুতপ্তবোধ না করে, কসাইয়ের মত তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার সকালেও তিনি একটি সিজার করেন। একটি হসপিটালের সাথে তিথি আজিজের চুক্তি রয়েছে রোগী প্রদানও ভাগভাটোয়ারার।
নোয়াখালী জেলার সিভিল সার্জেন ডাঃ মাসুম ইফতেখার নয়া বঙ্গবাজারকে বলেন,আমি এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো। দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করবেন বলে তিনি নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম নয়া বঙ্গবাজারকে বলেন,এ ব্যাপারে এখনও আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছে এ বিষয় লোমহর্ষক একটি প্রতিবেদন।
‘রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ী”র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যবসায়ীক ও যুবলীগ নেতা’
নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে নির্দেশনা অমান্য করে জালিয়াতি মাধ্যমে জমি হাতিয়ে......বিস্তারিত