TadantaChitra.Com | logo

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মহাখালীতে সাংবাদিককে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যা চেষ্টা, বেপরোয়া সবুজ বাহিনী

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, ০৪:৩৯

মহাখালীতে সাংবাদিককে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যা চেষ্টা, বেপরোয়া সবুজ বাহিনী

বিশেষ প্রতিবেদক: ভুয়া সংগঠনের নামে রাজধানীর মহাখালী বনানীতে চলছে চাঁদাবাজি ও আইন বিরোধী কর্মকান্ড। এ ব্যাপারে অপরাধ বিচিএায় প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসি’র ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসিরের ঘনিষ্ট আতর আলী সেই প্রতিবেদক হাবিব সরকার স্বাধীনকে বার বার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে, যেন কাউন্সিলরের সাথে দেখা করি।

নয়তো তুলে নিয়ে আসা হবে। তার উত্তরে  প্রতিবেদক স্বাধীন জানায়, আপনার কিছু বলার থাকলে আমার অফিসে এসে দেখা করুন। কিন্তু তারা তা না করে পরবর্তীতে অটো শামীম ও আতর আলী বিভিন্নভাবে স্বাধীনকে হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীন তার কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে রওনা হলে হঠাৎ তার মোটর সাইকেলের হর্ন নষ্ট হয়ে গেলে মহাখালীতে একটি মোটর সাইকেল মেরামতের গ্যারেজে গেলে সেখানে হঠাৎ শ্রমিকলীগ নেতা অটো শামীম ও কাউন্সিলর নাসিরের ভাড়াটিয়া ক্যাডার সবুজ, পুলিশের সোর্স ইলিয়াস, ভাইগ্না রুবেল, ছাএলীগের তুহিন ও টেলি সুমন দলবল নিয়ে হাজির হয়। সাংবাদিক স্বাধীনকে কাউন্সিলর নাসিরের কার্যালয়ে যেতে বলে। যেতে আপত্তি জানালে তারা তাকে বলে, তাদের সাথে না গেলে গুলি করা হবে। একপর্যায়ে হাজী হাসমত আলি ম্যানসন এইচ-২৪ মহাখালী, আমতলী এই ঠিকানায় সাংবাদিক স্বাধীনকে সবুজ বাহিনী অস্ত্র ঠেকিয়ে বলে এখানেই মেরে ফেলব। পরে সেখান থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় টি.বি. গেইটে মহাখালী কমিউনিটি সেন্টারের নিচ তলার একটি কক্ষে। সেখানে তার উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। প্রথমে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় সবুজ। পরবর্তীতে মানিব্যাগ থেকে শুরু করে সকল কিছুই তাদের দখলে নিয়ে নেয়। যখন নির্যাতন করছিল হঠাৎ তখন চিৎকারের শব্দে আশেপাশের লোকজন জড়ো হওয়ার ভয়ে পরে তারা তাকে নিয়ে যায় কমিউনিটি সেন্টারের ২ তলায়।

সেখানে নিয়ে আবার করা হয় নির্যাতন। এভাবেই ঘন্টার পর ঘন্টা নির্যাতনে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পরবর্তীতে তারা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে। তাদের নির্যাতন এতই ভয়াভহ ছিল যে স্বাধীন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ভয়ে সবুজ বাহিনী তাকে পাশের একটি রাস্তায় ফেলে চলে যায়। সেখান থেকে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে সবুজের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাউন্সিলর নাসির আমাদের যেভাবে বলেছে আমরা সেভাবেই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।

কে এই সবুজ?
মহাখালীতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে আলোচিত সবুজ। ২০১০ সাল পর্যন্ত পেশায় ছিলেন নাপিত। মহাখালীতে জল খাবার হোটেলের পেছনের গলিতে একটি সেলুনে নাপিতের কাজ করতেন। এরপর ডিএনসিসি ২০নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. নাসির প্রথম দফায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে তার নির্বাচনী প্রচারনা মিছিলে অংশ নেয় সবুজ। সেই থেকে কাউন্সিলরের নজরে আসেন তিনি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সবুজ তার সাথেই থাকেন। তার গাড়ির ড্রাইভারও ছিলেন। সম্প্রতি সিটি নির্বাচনে সেই কাউন্সিলর পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলরের হুকুমে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জায়গা দখল, হামলা, ভাংচুর, চাঁদাবাজি, হুমকি-ধামকি, গুম, অপহরন টেন্ডারবাজি সহ ভয়ঙ্কর সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দেন সবুজ। তার রয়েছে নিজস্ব একটি বাহিনী আর ত্রাসের রাজত্ব। বৃহওম কড়াইল ও মহাখালী সাততলা বস্তি তাদের নিয়ন্ত্রণে। এমন কি মাদক ব্যবসাও। এলাকাবাসী তাদের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ। কাউন্সিলরের হাত অনেক লম্বা। উপর লেবেলের অনেক নেতাকর্মীদের সাথে তার উঠাবসা। প্রশাসনের সাথেও রয়েছে তার সু সম্পর্ক। এসব কারনেই দমানো যাচ্ছে না এই সবুজ বাহিনীকে। এলাকার মানুষ জীবনের নিরাপওার ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দু’বছর আগে এই সবুজকে ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলায় জামিনে বের হওয়ার পর কৌশলগত কারনে সবুজকে কাউন্সিলর দীর্ঘদিন দূরে রাখেন। আত্মগোপনে থাকার নির্দেশ দেন। চলতি বছর সিটি নির্বাচনের আগে আবার সবুজকে কাছে টানেন।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।