TadantaChitra.Com | logo

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে নিয়ে প্রতারক রাসেলের সংসার! পর্ব-১

প্রকাশিত : নভেম্বর ২১, ২০২০, ১৮:০০

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে নিয়ে প্রতারক রাসেলের সংসার! পর্ব-১

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিনি লন্ডন প্রবাসী নন, তবে প্রথম তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী- সন্তান বসবাস করেন লন্ডন। সেই সূত্রে তিনি মাঝে মধ্যে লন্ডন যাতায়াত করেন। লন্ডনে এই যাতায়াত কে পুঁজি করে বিভিন্ন নারীকে লন্ডনের স্থানীয় বাসিন্দা বলে বেড়াচ্ছেন। এমনকি কোন নারী তার চাহিদা পূরণ করলে ওই নারীকে তিনি লন্ডনের নাগরিকত্ব নিয়ে দিবেন এমন প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন। এসব যাকে নিয়ে বলছি তিনি আর কেউ নন’ তিনি নাটোর জেলাধীন বড়াইগ্রাম থানার বনপাড়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রফিকুর রহমান খান ওরফে রাসেল। তার প্রথম স্ত্রীর নাম আয়েশা আক্তার আফরিন। এ সংসারে তাদের রয়েছে দুই সন্তান।

জানা গেছে, লন্ডন স্থায়ী করার কথা বলে গত ১৬ ই মার্চ ২০১৮ তে ঢাকায় এসে দশ লক্ষ টাকা দেনমোহরে শাহিন কলেজ কমপ্লেক্স কাজী অফিসে বিয়ে করেন কাজী রাজিয়া সুলতানা নামের এক নারীকে।

যৌতুকের দাবিতে এ নারীকে নির্যাতন ও মারধর করলে গত বছর প্রতারক রফিকুর রহমান খান ওরফে রাসেলকে কাজী রাজিয়া সুলতানা ডিভোর্স দেন। ডিভোর্স দেওয়ার কারণে রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে একাধিক পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন প্রতারক রফিক রহমান খান ওরফে রাসেল। এসব বিষয়ে রফিকুর রহমান খান ওরফে রাসেলের তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট এ অভিযোগ করেন।

এসব ঝামেলায় পড়ার আগেই প্রতারক রফিকুর রহমান খান ওরফে রাসেল লন্ডন তার প্রথম স্ত্রীর কাছে চলে যান। এদিকে কাজী রাজিয়া সুলতানা প্রতারক রাসেলকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন প্রবাসী জনৈক এক ব্যক্তিকে।

সূত্র জানায়, লন্ডনে স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার লোভে “এ ডাল থেকে ওডালে গিয়েও কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছাতে পারেননি। দ্বিতীয় স্বামীও বিয়ে করে একাই চলে যান প্রবাসে। এদিকে পুনরায় কলা’ দেখানো শুরু করলেন প্রতারক রফিকুর রহমান খান ওরফে রাসেল। লন্ডনে যাওয়ার প্রলোভনে আবারও এই প্রতারকের খপ্পরে পা দেন এ নারী। লন্ডনের আশায় এই প্রতারক এর সাথে যোগাযোগ করেই আপন মা সহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেন কাজী রাজিয়া সুলতানা। আপন মায়ের বিরুদ্ধে এসব করেও থেমে নেই কাজী রাজিয়া সুলতানা ও প্রতারক রফিকুর রহমান খান ওরফে রাসেল।

মায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছুটে চলে যান বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে। প্রতারক রফিকুর রহমান খান ওরফে রাসেলের শিখিয়ে দেয়ার মতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতারক নারী কাজী রাজিয়া সুলতানা। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অভিযোগ করে-ই তারা ক্ষান্ত হননি। বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করিয়ে প্রতারক কাজী রাজিয়া সুলতানার গর্ভধারিণী মা নাজমা পারভীনকে দল থেকে বহিষ্কার করে, সেই আদেশ বিভিন্ন মিডিয়া প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন প্রতারক রফিকুর রহমান খান ওরফে রাসেল। এই দুই প্রতারকের তথাকথিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোন ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই মহানগরী এলাকার একজন যুগ্ম সম্পাদক কে দল থেকে বহিষ্কার করেন।

এক জিডিতে কাজী রাজিয়া সুলতানা উল্লেখ করেন, আমার স্বামী মোঃ রফিকুর রহমান খানের (৪০) সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছুদিন ভালো গেলেও তারপর শুরু হয় নির্যাতন, অত্যাচার। ব্যবসার নামে বিভিন্ন সময় টাকা নিলেও পরবর্তীতে আমার নামে থাকা জমি তার নামে লিখে দিতে আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। সে আগে বিয়ে করেছিল তা গোপন করে আমাকে বিয়ে করে। তার পূর্বের বউ বর্তমানে লন্ডনে থাকে। পূর্বের বিয়ের বিষয়টি জানার পর আমি তাকে ডিভোর্স দেই গত ৩/২/২০২০ তারিখে। তারপর সে আমার বাবার বাসায় এসে আমি সহ আমার বাবা মাকেও হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।

অন্য একটি জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী রফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করি। আমি এবং আমার দুলাভাই ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে রাত ১০.৩০ এর দিকে মামলার ১, ২, ৩ নং আসামীর বাসা থেকে বের হয়ে আমাদের কে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। ৩ নং আসামীর হাতে থাকা শট গান দেখিয়ে হুমকি দিতে থাকে। ২নং বিবাদী আমার দুলাভাইকে কিল-ঘুষি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রক্তান্ত জখম করে। আশিকুর রহমান রড নিয়ে আমাকে ও দুলাভাইকে মেরে রক্তাক্ত করে দেয়।

এসব বিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বার বার ফোন করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর যুগ্ন সম্পাদক নাজমা পারভীনকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া-ই দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতির উপর দায় দিয়ে ফোন কেটে দেন।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।