এই বিখ্যাত নারী বৈমানিকের জন্ম ১৮৯৭ সালের জুলাইয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসে। তাঁর পরিবার বেশ ধনী ও প্রভাবশালী ছিল। তরুণ বয়স থেকেই আকাশে ওড়ার বিষয়ে তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। ১৯২১ সালের জানুয়ারিতে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন অ্যামেলিয়া। এর ঠিক ছয় মাসের মাথায় নিজের বিমান কিনে ফেলেন তিনি। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রেও সাধারণভাবে মনে করা হতো যে বিমানের ককপিট নারীদের জন্য নয়। তবে এসব সামাজিক ট্যাবুকে তোয়াক্কাই করেননি অ্যামেলিয়া। এই দুর্বার সাহস ও আকাশে ওড়ার ঐকান্তিক ইচ্ছার সমন্বয়েই অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট হয়ে ওঠেন নারী বৈমানিকদের মধ্যে কিংবদন্তিসম। প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে আটলান্টিক সাগরের ওপর দিয়ে উড়েছিলেন তিনি।
বিমান চালনা শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই সে সময়ে নারীদের সর্বোচ্চ উচ্চতায় ওঠার রেকর্ড নতুন করে লেখেন ইয়ারহার্ট। বিমান নিয়ে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠেছিলেন তিনি। এ ছাড়া সর্বোচ্চ গতিতে বিমান চালানো ও বৈমানিক হিসেবে সলো ফ্লাইটের হিসাবেও রেকর্ড গড়েছিলেন অ্যামেলিয়া। শুধু বিমান চালনাই নয়, কলম হাতেও সরব ছিলেন তিনি। নারীদের বিমান চালানোর পক্ষে ইয়ারহার্ট লিখতেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব উইমেন পাইলটস নামের সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৯৩৭ সালে অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট ছিলেন অত্যন্ত বিখ্যাত এক ব্যক্তিত্ব। বৈমানিক, লেখক, নারীবাদী ব্যক্তি—তাঁর পরিচয় ছিল একাধিক। ওই বছরই এক নতুন অভিযাত্রায় একাকী বিমান নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। ওই সময় এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। এরপর আট দশকেরও বেশি সময় পার হলেও অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্টের আর খোঁজ মেলেনি। তাঁর পরিণতিও তাই রহস্যঘেরা। সেই রহস্যের সমাধান আজও হয়নি।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান, অ্যাডভেঞ্চার জার্নাল ডট কম অবলম্বনে
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত