নিজস্ব প্রতিবেদক : একাধিক বিয়ে বাণিজ্য করে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় তার পেশা ও নেশা। যিনি পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে একাধিক বিয়ে করেন এবং বিয়ের সময় নিতেন মোটা অংকের যৌতুক। বিয়ের পরে স্ত্রীর ভাই, আত্মীয় স্বজনদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়েও হাতিয়ে নিতেন টাকা।
তবে এখানেই থামেনি ওই নারীলোভী যুবক ইয়াছিন। স্ত্রীদের কাছে যখন তখন চেয়ে বসতেন যৌতুকের টাকা। টাকা না পেলেই নেমে আসতো ভয়াবহ নির্যাতন। ব্লাকমেইল করে আদায় করতো মোটা অংকের টাকা।
এতক্ষণ বলছিলাম খুলনার কয়রা উপজেলার ইয়াছিন আলী (৩৪) নামের এক যুবকের কথা। যিনি প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেচে নিয়েছেন বিয়ে বাণিজ্য। বিয়ে করে যৌতুকের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় তার পেশা ও নেশা।
সম্প্রতি বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (মোংলা) তার স্ত্রীর করা এক মামলায় এইসব বিষয় উঠে এসেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর ইয়াছিন আলির সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ব হন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার জান্নাতুল ফেরদৌস (৩০)। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বাদীর বাবা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ যাবতীয় আসবাব পত্র মেয়ের জামাইকে প্রদান করে। বিয়ের কিছুদিন পর বাদী জানতে পারেন তার স্বামী একাধিক বিয়ে করেছেন, যা বিয়ের আগে তার কাছে গোপন রেখেছে। বর্তমানে তাদের ঘরে ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, আসামী ইয়াছিন আলি তার পূর্বের স্ত্রীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর জাল করে চেক জালিয়াতি করে ব্লাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিছুদিন পর বাদীর চেক বই থেকে ব্যাংক চেকের পাতা চুরি করে নিয়ে তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে প্রায় ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আসামী ইয়াছিন।
আসামী ইয়াছিল আলী (৩৪) একজন নারীলোভী, যৌতুক লোভী ও নারী নির্যাতনকারী। যৌতুকের দাবীতে ইয়াছিন (৩৪) বাদীর উপর মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন চালাতো। আসামীর চাহিদা মোতাবেক মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেন। কিছুদিন সংসার ভালো কাটলেও ফের শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। মামলায় উল্লেখিত ঘটনার তারিখের এক সপ্তাহ পূর্বে ১০ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য বাদীকে সন্তান সহ এক কাপড়ে বাবার বাড়িতে পাঠিতে দেয়। ১০ লাখ টাকা এনে দিলে তার সংসার করতে পারবে বলে জানায় যৌতুক লোভী ইয়াছিন আলি (৩৪)। পারিবারিক ভাবে বিষয়টি মীমাংসার আলোচনা করলেও ১০ লাখ টাকা না দিলে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবে না বলে অনড় থাকে আসামী।
ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তার স্বামী একজন নারীলোভী, যার নেশা বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নেয়া৷ এর আগে যৌতুকের টাকার জন্য বহুবার বিরোধ হলেও তা মীমাংসা হয়েছে। তবে এবার ১০ লাখ টাকা না দিলে সে আর সংসার করবে না বলে জানায়।
তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে নানা ছলচাতুরী ও অত্যাচার নিপীড়ন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তবে এখন তাকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার মত তার সামর্থ্য নেই। আসামীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তদন্ত চিত্র/ টি/আই
‘ভোলা প্রেস ক্লাবের অবৈধ কমিটির কার্যক্রম বন্ধ করে রুল জারি করলেন আদালত’
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা প্রেস ক্লাবের অবৈধ কমিটির সকল কার্যক্রমের উপর......বিস্তারিত