TadantaChitra.Com | logo

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৫, ২০২১, ১৭:৩৮

১২৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন

অনলাইন প্রতিবেদন: যুবলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ১২৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্তকালে আনিসুর রহমানের ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য মিলেছে। দুদক থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের জনসংযোগ শাখা জানায়, ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। একইদিন তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর মামলার দুটির তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয় দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানকে। তিনি দীর্ঘ তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিলের জন্য কমিশনে বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকালে কাজী আনিসুর রহমানের নামে ১৮ কোটি ৮৯ লাখ ১ হাজার ৩৩৫ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাত্র ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৯ টাকা মূল্যের সম্পদের বৈধতা পাওয়া গেছে। বাকি ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তার নিজ ও প্রতিষ্ঠানের নামে ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১২৯ কোটি ৯১ লাখ ১৭ হাজার ২১৩ টাকা জমা করেন। যার মধ্যে শেয়ার ব্যবসাসহ অন্যান্য খাত থেকে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৭১ হাজার ৩৬৫ টাকা। অর্থাৎ ১২৯ কোটি ৯১ লাখ ১৭ হাজার ২১৩ টাকার মধ্যে ১২৩ কোটি ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৮ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। যা অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন বা আড়াল করার অসৎ উদ্দেশ্যে তা স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এসব বিষয়াদি তুলে ধরে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

কমিশন তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশের আলোকে আসামি কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আনিসুর রহমানের স্ত্রী সুমি রহমানের নামে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬২ হাজার ২১৮ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে।  এসব সম্পদের মধ্যে বৈধ আয় পাওয়া গেছে মাত্র ২ লাখ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৬২ হাজার ২১৮ টাকা মূল্যের সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। তার স্বামী কাজী আনিসুর রহমান অবৈধ অর্থ বিভিন্ন উপায়ে স্ত্রীর হিসাবে স্থানান্তর করে স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এসব অপরাধের দায়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে আসামি সুমি রহমান ও তার স্বামী কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে কমিশন একটি চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।