স্টাফ রিপোর্টার: পাবনা সদর উপজেলার ভারারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের নারী কেলেঙ্কারী ফাঁস। বিয়ে আশ্বাস দিয়ে আমেনা আক্তার সাবা নামের মাদারীপুরের এক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করেন চেয়ারম্যান সাঈদ খান। পরে ওই মেয়েকে চেয়ারম্যান বিয়ে করাবে না বলে জানালে আমেনা আক্তার সাবা নামেরন ওই মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘরে রাখা ইদুঁর মারার ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করাকালীন সময় বাড়ী লোকজন দেখে পেলে। এরপর আত্মীয় স্বজন রাজধানী ঢাকার মুগদা সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবার পেট ওয়াশ করে বিষমুক্ত করে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান (৪৮)। কলেজ পড়–য়া দুই সন্তানের জনক। অঢেল সম্পদের মালিক। ফেসবুক আইডিতে আলোচিত মুখ আবু সাঈদ খান। যেখানে বিভিন্ন উঠতি বয়সি মেয়েদের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব। এদের মধ্যে সাবা অন্যতম। সাবার বয়স প্রায় বাইশ। গ্রামের বাড়ী মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার হাসনাকান্দি। বাবা কাওসার খান, মাতা শোভা বেগম, আসল নাম আমেনা আক্তার । পড়াশোনার কল্যানের বসবাস রাজধানীর পল্টন এলাকা।
রুপের যাদুতে ধনাঢ্য ছেলেদের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের হাতিয়ে স্বামী স্ত্রী সেজে বিদেশ ট্যুর দিতেও তার কোন আপত্তি নেই। ফেসবুকে চ্যাটিং নিয়ে সারাক্ষন ব্যস্ততায় দিন কাটে তার। ফেসবুকে নিজের মডেলিং ছবি ভিডিও পোষ্ট করে বিভিন্ন ছেলেদের আকর্ষন কেড়ে নিয়ে শুধুমাত্র বিত্তবান ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করে তাদের প্রতারনা করাই তার একমাত্র কাজ। প্রথমে বন্ধুত্ব পরে প্রেম শেষে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে আপত্তিকর ছবি ভিডিও মাধ্যমে মক্কেলের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতে শুরু হয় সাবার মিশন। সাবার মিশনের একটি শিকার চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান। ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে সাবার সাথে তার প্রথম পরিচয়ের সুত্রে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব, দেখা সাক্ষাত, দামি রেস্টুরেন্টে বসে লাঞ্চ করা ও স্বর্নের চেইন গিফট করে সাবার মনের গভীরে ঢুকে পড়ে সাঈদ খান।
সাবার জন্য দুহাত ভরে খরচ করে সাঈদ খান। সাবা যখন যা দাবী করে সাঈদ খান তখনই তার সেই চাহিদা পূরন করে। সাঈদ খান সাবাকে স্বপ্ন দেখান দ্বিতীয় স্ত্রী বানিয়ে ঘরে তুলবে। স্বামী স্ত্রীর সুত্র ধরে দুজনেই লিপ্ত হয় দৈহিক মেলামেশায়। স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে দুজনে ট্যুরে বেড়াতে যায় ইন্ডিয়া। সাঈদ খানের জৈবিক চাহিদা মিটে যাওয়া ভাটা পড়ে সাবার স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে। শুরু হয় মহা বিপত্তি। সাঈদ খানের অবৈধ পরকিয়া সম্পর্ক জেনে যায় তার স্ত্রী-পুত্র। এতে সাবা আগের মতো বগল দাবা করতে পারে না। চাইলে টাকা পয়সা ঠিকই পায় সাঈদ খানের নিকট থেকে। তবে দেখাশোনা ও মেলামেশায় বেড়ে যায় অনেক দুরত্ব। বিয়ে নামের স্বপ্ন সন্তান সম্ভবা সাবার জন্য স্বপ্ন থেকে যায়।
সাঈদ খানের প্রতারনা বুঝতে পেরে সাবা ইদুর মারার ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। যদিও এ যাত্রা সে প্রানে বেঁচে গেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধা ৭ টায় দিকে সাবা ইদুরের ঔষধ হাতে নিয়ে খাবে বলে মোবাইলে নিজের ভিডিও করে এবং বন্ধুদেরকে ফোন করে জানায়। বিষ খাওয়ার পরে ঐ সকল বন্ধুরা তাকে দ্রুত মুগদা হাসপাতালে ভুর্তি করে। কর্তব্যরত ডাক্তাররা উত্তম চিকিৎসা দিয়ে সাবাকে বাঁচিয়ে তোলে। খবর পেয়ে সাঈদ খান সাবার চিকিৎসা খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয় সাথে সাথে। সাবা বর্তমানে সুস্থ্য থাকলেও মানসিকভাবে অসুস্থ্য বলে জানায় তার পরিবার।
ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আবু সাঈদ খান সাবাকে লিখে ছিলো- “জান তুমি আমার জীবনে আসলি দুর সময়ে তোকে নিয়া আমার কত সপনো তোকে মানুষের মতো মানুষ করবো আমি গর্ব করে মানুষের কাছে বলবো আমার ছাবা অনেক বড় মানুষ”
সাবা বলতো-“ ওই আমার টাকা লাগবে, নতুন বাসা এডভান্স করা লাগবে আর লেপটপ ঠিক করা লাগবে”
সাঈদ খান-“কত টাকা লাগবে জান”
সাবা-“ নতুন বাসার জন্য ১৫ হাজার আর লেপটপের জন্য ৭/৮ হাজার”
সাঈদ খান-“তুমি আসবা না আমি জাব”
সাবা-“তুমি আস”
সাঈদ খান-“তুমি কই”
সাবা-“কল দিয়ে দেখ”
সাঈদ খান-“রিসেপশন লেখা দেখলাম”
সাবা-“পারলারে ছিরাম জান”
সাঈদ খান-“আমি শশুর বাড়ী পৌছাইছি”
সাবা-“ওকে জান”
সাঈদ খান-“আমি ঢাকায় রওনা দিতেছি” “গাড়িতে পাশে বউ”
সাবা-“সিওর বউ নাকি অন্য কিছু”
সাঈদ খান-“ আমিতো তোমাকে খুব ভালোবাসি”
সাবা-“ যত রাত হয় সমস্যা নেই তুমি আস, আমি বের হতে পারবো”
সাঈদ খান-“ আমি আসলে ক্ষমা করিও আমায়”
সাঈদ খান-“ক্ষমা করিও আমায়”
সাবা-“শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে ধোকা দিলি, তোর দেয়া কথা তুই রাখতে পারলিনা, আমি সত্যি অনেক দুরে চলে যাচ্ছি”
সাঈদ খান-“ভুলে যাও আমায়”
সাবা-“এই ধোকা নিয়ে জীবনে বেচে থাকার অধিকার আমার নেই, খুব ভালোবাসতাম, সব আশা শেষ”
সাঈদ খান-“ নতুন করে জীবন সাজাও, সুখী হও, দোয়া করি” এমন অনেক কথা আর অনেক অন্তরঙ্গ মুধুর স্মৃতি দুজনার মাঝে শুধুই অতীত।
‘ঐক্যের স্বার্থে রাজৈর কল্যাণ সমিতি একাংশ সেক্রেটারির পদত্যাগ’
ইতালি থেকে তুহিন মাহামুদ : ইতালির বাণিজ্যিক রাজধানী মিলানস্হ একটি......বিস্তারিত