TadantaChitra.Com | logo

১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কেন্দ্রীয় নেতা নানকের কাঁধে বন্দুক রেখে সক্রিয় বির্তকিত নেতারা!

প্রকাশিত : মার্চ ১৭, ২০২১, ০৮:২৩

কেন্দ্রীয় নেতা নানকের কাঁধে বন্দুক রেখে সক্রিয় বির্তকিত নেতারা!

স্টাফ রিপোর্টার: নিজেদের অপকর্ম ঢেকে শান্ত বরিশালের রাজনীতিতে মাথাচড়া দিতে সংঘবদ্ধ হয়েছে বিতর্কিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতারা এবং কতিপয় জনপ্রতিনিধি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় নেতা অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেও তিনি বরিশালের সন্তান। কিন্তু বিগত দিনে বরিশালের সাথে বিশেষ কোন সম্পর্ক না থাকলেও ইদানিং ঘনঘন কয়েকবার বরিশালে আসেন এই নেতা। শোনা যাচ্ছে তিনি বরিশালে স্থায়ী হবেন।

বরিশালের রাজনীতিতে তার সক্রিয় হওয়ার গুঞ্জনে ইতিমধ্যে তাকে ঘিরে তৃতীয় একটি বলয় গড়ে উঠেছে। তার প্রিয় ভাজন হতে কলঙ্কিত নেতারা ভিড় করেছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। লক্ষ্য পিঠ বাঁচানো।

তবে কেন্দ্রীয় সেই নেতা বরিশালের রাজনীতিতে আদৌ পা রাখবেন কিনা তার ঘোষণা না আসায় খোলস ছেড়ে বাইরে বের হতে পারছেন না সেইসব ছাত্রনেতারা।

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনীতি পাড়ায় আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাজনীতির ত্যাগী নেতারা দাবী করেছেন, বির্তকিত এইসব ছাত্র নেতারা ফের সক্রিয় হলে বরিশাল আওয়ামী লীগ আবারো কলঙ্কে জড়াবে। নেতাদের দাবী, কেন্দ্রিয় পদ-পদবী বহন করে স্থানীয় নেতৃত্বে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কর্মী শনাক্তে সতর্ক হওয়া উচিত। অন্যথায় প্রধানমন্ত্রীর হাত দুর্বল হয়ে যাবে।

বরিশালের রাজনীতিতে শিক্ষক পেটানোর মত লজ্জাস্কর ও ঘৃনিত কাজের অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছেন প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরন। সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকে কাজে যোগ দিতে না দেওয়ার জন্য তৎকালীন বির্তকিত ছাত্র কর্মপরিষদের ভিপি মঈণ তুষার তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে নতুন বাজারে মারধর করেন। একইদিন সেই মঈন তুষার, পাসপোর্ট সোহাগদের নিয়ে সদর রোডে অবস্থান কর্মসূচিতে দেখা যায় সাবেক জনপ্রিয় এই মেয়রকে। তবে শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পর দিশেহারা হয়ে যান দক্ষিণাঞ্চলে কলঙ্কিত ছাত্রনেতা হিসেবে খ্যাত মঈন তুষার বাহিনী। শওকত হোসেন হিরনের স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিলে স্বামীর কর্মকান্ডের করুনার অনুসারে সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু গৃহিনী জেবুন্নেছা আফরোজ রাজনীতিতে অযোগ্য হওয়ায় জনসমর্থন তলানীতে গিয়ে ঠেকে। ফলে মঈন তুষারদের সন্ত্রাসের রাজত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। বিপরীতে তুমুল জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দিলে বরিশাল রাজনীতির মুকুটহীন সম্রাট বনে যান সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তার রাজনৈতিক দক্ষতা দেখে কেন্দ্র তাকে সিটি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেন। বরিশালে ফেরে স্বচ্ছ রাজনীতির সুবাতাস।

এতে করে রাজনীতির বাইরে ছিটকে পড়তে হয় কলঙ্কিত ছাত্র নেতাদের। এইসব ছাত্রনেতারা মাঝে কিছুদিন সদর আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের দ্বরস্থ হলেও তিনি অতীতে বির্তকিত কর্মকান্ডের জন্য রাজনীতিতে স্থান দেন না। বরিশালের রাজনীতিতে কালো অধ্যায় সৃষ্টিকারী এইসব নেতারা বিকল্প পথে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হন তখন ব্যবসায় নিয়োজিত হন। তবে সেখানে থেকেও চালিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধী কর্মকান্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরিশাল উইথ এ মিশন নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে সাদিক আব্দুল্লাহর বিরোধী কুৎসা রটিয়ে চলছেন। এ নিয়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও হয়েছে।

ওদিকে বরিশালের রাজনীতিতে প্রবেশের এবার শেষ চেষ্টা করছেন কুটিল সেইসব রাজনীতির কুপুত্ররা। কেন্দ্রিয় নানকের হাত ধরে অনুপ্রবেশ করে মাঠ দখলের পরিকল্পনায় রয়েছেন। এতে করে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ। যা কারো কাম্য নয়।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।