আন্তঃজেলা দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার!

লেখক: সাব এডিটর
প্রকাশ: ৬ years ago

মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু: অদ্য ০৬ আগস্ট র‌্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ০৭নং সেক্টরস্থ মির ফাস্টফুড এন্ড কফি এর উত্তর পাশে অবস্থিত রোড নং-১৩, বাড়ী নং-১৬ এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃ জেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য ১) মোঃ সুমন মিয়া (৩০), পিতা- মোঃ আতিয়ার রহমান, সাং- খানকানাপুর, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা- রাজবাড়ী, ২) মোঃ সজিব হোসেন (৩০), পিতা- মোঃ নাজিবুর রহমান, সাং- ধনচি, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা- রাজবাড়ী’দ্বয়কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীদের মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার হতে ১,০৭৫ বোতল ফেন্সিডিল, ০৩ টি মোবাইল ফোন, নগদ ২০,৪০০/- টাকা উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।

ধৃত আসামী সুমন’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পেশায় একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী। খানকানাপুর বাজারে তার একটি কাপড়ের দোকান আছে। কাপড়ের ব্যবসার পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের জড়িত। তার একটি ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার আছে এবং সেই প্রাইভেটকার দিয়ে মাদক পরিবহণ করে রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় দিয়ে আসত। সে উক্ত মাদকের চালানটি চুয়াডাঙ্গা দর্শনার মাদক ব্যবসায়ী মান্নানের নিকট হতে নিয়ে এসে রাজধানী উত্তরার মাদক ব্যবসায়ীর নিকট পৌছে দেয়ার কথা ছিল।

উক্ত মাদকের চালনটি উত্তরায় পৌছে দেয়ার পর উত্তরাস্থ মাদক ব্যবসায়ী তাকে ১,০০,০০০/- টাকা দেয়ার কথা ছিল। সে ইতিপূর্বে ০৮/১০ টি মাদকের চালান চুয়াডাঙ্গা হতে নিয়ে এসে রাজধানীতে পৌছে দিয়েছে বলে স্বীকার করে। চালন প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ৮০,০০০/- থেকে ১,০০,০০০/- টাকা দিত। তার নামে ফরিদপুর থানায় ০১ টি মাদক মামলা আছে এবং রাজবাড়ী থানায় ০১ টি মাদক মামলায় ০২ মাস কারা ভোগ করেছে বলে স্বীকার করে। মাদক পরিবহণে সজিব তার সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানায়।

ধৃত অপর আসামী সজিব’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পেশায় একজন ড্রাইভার। সে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত রাজবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় রেন্ট এ কারে গাড়ী চালিয়ে আসছে। রেন্ট এ কারে গাড়ী চালানোর পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন যাবত মাদক পরিবহণের সাথে জড়িত। সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে তার সহযোগী সুমন এর প্রাইভেটকারে করে মাদকদ্রব্য দেশের বিভিন্ন জেলা হতে রাজধানীতে নিয়ে আসে। সে উক্ত মাদকের চালানটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে নিয়ে এসে রাজধানী উত্তরায় পৌছে দেয়ার কথা ছিল। উক্ত চালানটি পৌছে দেয়ার পর তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী সুমন তাকে ২০,০০০/- টাকা দেয়ার কথা ছিল। সে ইতিপূর্বে ০৬/০৮ টি মাদকের চালান পরিবহণ করে নিয়ে এসেছে বলে স্বীকার করে। সে রাজবাড়ী থানার একটি মাদক মামলায় ০৩ মাস কারা ভোগ করেছে বলে জানায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন...