
দিনা আক্তারঃ গতকাল রাতে “কান্তা ম্যারেজ মিডিয়ার আড়ালে নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা! পর্ব-১” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। অনেকে সম্পাদকের মোবাইলে ফোন করে ধন্যবাদও জানান। আবার জাবিন সুলতানা কান্তা নিজে এবং তার কিছু দালাল চক্র দিয়ে ফোন করে সম্পাদককে হুমকি দেন। যথাক্রমে তাদের মোবাইল নাম্বার গুলো. ০১৭২০-৪৬৯৮৭২ ও ০১৮১৯-১০৬৩৪৩ এবং তার অফিসের পিয়ন ও গাড়ীর ড্রাইভার ফোন করে নিজেদেরকে রমনা থানার পুলিশ পরিচয় দেয়। এর কিছুক্ষন পরে আবার তিনি নিজেকে প্রবাসী দাবী করেন। অভিযোগ রয়েছে, এই ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে নিজেকে কখনো ডিবি পুলিশ, কখনো র্যাব সদস্য আবার কখনো উকিল বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করেন। এছাড়াও কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কান্তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ ডিলেট করতে অনুরোধ করেন। জানা গেছে, জাবিন সুলতানা কান্তা বর্তমানে যে গাড়ীগুলো ব্যবহার করেন তার মধ্যে একটি গাড়ী সরকারী। আমরা এর বিস্তারিত পরবর্তীতে উল্লেখ করবো। এছাড়াও কান্তা নিজেই তদন্ত চিত্রের সম্পাদকের সাথে মোবাইলে স্বীকারও করেছেন তার অধিনে ২০-২৫ টি মেয়ে এ ব্যবসা করে জীবিকা চালাচ্ছে। সম্পাদক যেনো তাদের পেটে এবং রিজিকে লাথি না দেয় সেজন্য অনুরোধ করেন কান্তা।
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় রয়েছে কান্তা ম্যারেজ মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জাবিন সুলতানা কান্তা। তার বিরুদ্ধে এই ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন মেয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে। এর আগে তিনি ভূয়া ডিবি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগেও গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতার হওয়ার পরই তিনি লেবাস পরিবর্তন করে ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়ার আড়ালে বিভিন্ন মেয়ে দিয়ে রাজধানীতে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বিভিন্ন নামিদামী এলাকা থেকে শুরু করে নিন্মবিত্ত এলাকায় রয়েছে তার এই সিন্ডিকেটের নারী সদস্যরা। রামপুরা বনশ্রী থেকে শুরু করে গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, মহাখালী, শ্যামলী এলাকাসহ বেশ কিছু নারী সদস্যকে দিয়ে তিনি এ ব্যবসা করাচ্ছেন। উচ্চবিত্ত থেকে নিন্মবিত্ত মানুষের কাছে বিভিন্ন নারী দিহ ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার বেশিরভাগ টার্গেট শিল্পপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ধর্নাট্য ব্যক্তিবর্গ।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিকেও মেয়ে সাপ্লাই দিয়ে থাকেন জাবিন সুলতানা কান্তা। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন তিনি সেই সরকারের লোকজনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে সেলফি বা ছবি তুলে সাধারন মানুষের মাঝে প্রচার করে নিজেকে রাজনৈতিক অঙ্গনের নেত্রী পরিচয় দিয়ে মেয়ে সাপ্লাই দেন। কোন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত তা তিনি নিজেও জানেন না। তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিনি বিএনপির নেত্রী শ্যামা ওবায়েদ ও তার মায়ের কাছে যাতায়েত রয়েছে। এবং তিনি এর আগে বিএনপি জামায়েত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে তাবে তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরো নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। এ ব্যবসা করেই তিনি আজ কোটিপতি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রামপুরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় রয়েছে।
