
নিজেস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের পদ পেতে মরিয়া বিএনপির শীর্ষ সন্ত্রাসী রানা মোল্লা ওরফে ল্যাংড়া রানা। বিএনপির আমলে মির্জা আব্বাসের ক্যাডার হিসাবে কাজ করেন রানা মোল্লা।সেই থেকেই কেরানীগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন রানা মোল্লা।
জানা গেছে, রানা’র রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়েছিলো বিএনপির আরেক নেতা আমান উল্লাহ আমানের হাত ধরে। কেরানীগঞ্জ বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন রানা। চাদাবাজি, মাদক ব্যবসা, গুম, খুন, কন্টাক কিলার, অস্ত্র ব্যবসা, ডাকাতি ছিনতাই, জমি দখলসহ সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করেন রানা। তৈরি করের রানা মোল্লা নামে সন্ত্রাসী বাহিনী।
কেরানীগঞ্জ ঢাকা সহ কয়েকটি থানায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসী রানার বিরুদ্ধে অসংখ্য খুনের মামলা রয়েছে। এবং অনেক বার জেল হাজত খেটে জামিনে মুক্ত হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে রানা।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে বিএনপি থেকে বের হয়ে সুকৌশলে টাকার বিনিময় আওয়ামী লীগ এর অনুপ্রবেশকারী হিসাবে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ এর নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখে যা পরবর্তীতে হযরতপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এর পদ বাগিয়ে নেয়। ফলে সন্ত্রাসী রানা মোল্লা ও তার সহযোগীরা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বি এন পি নেতা আমানের সাথে আতাত করে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করে ।তার কিছু দিন পরেই দলের শৃঙ্খলা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে হযরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়। তার পরেও কেরানীগঞ্জ, সিংগাইর, সাভার, নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় রানা মোল্লা বাহিনী সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের দীর্ঘ অনেক বছর পর আবার টাকার বিনিময়ে নতুন করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ এর পদ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দৌড় ঝাড় শুরু করছেন বিএনপির এই শীর্ষ সন্ত্রাসী রানা মোল্লা।
