খাগড়াছড়ি অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে কিছু মহল : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

লেখক: Dhaka Bangladesh
প্রকাশ: ২ মাস আগে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, খাগড়াছড়িতে কিছু মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুরাতন রমনা থানা কমপ্লেক্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঁচটি থানার প্রশাসনিক কাম-ব্যারাক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় ভারতের ইন্ধন রয়েছে কি না—সেক্ষেত্রে আপনাদের পদক্ষেপ কী, প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি একটি সত্যিকার প্রশ্ন। এটা যাতে তারা ঘটাতে না পারে, এ জন্য আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা বর্তমানে সেখানে আছেন। তিনি বিষয়টি দেখছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তিনি কথা বলছেন।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থায় আছে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু সন্ত্রাসী পাহাড়ের ওপর থেকে গুলি করেছে। এই অস্ত্রগুলো অনেক সময় দেশের বাইরে থেকে আসে। আমি অবশ্য দেশের নাম বলতে চাই না। সাংবাদিক তো দেশটির নামটাই বলে দিয়েছেন। এটি প্রতিহত করতে হলে সবার সহযোগিতা দরকার, সবাই সেটা করবেন।’

‘গতকাল দেশে একটি বড় ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়েছে। এ সময়ে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করেন, রাস্তা-ঘাট যাতে বন্ধ না করেন, এই পূজাটা যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সে বিষয়ে সবাই সহযোগিতা করবেন,’ —যোগ করেন তিনি।

খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ঘোলাটে হচ্ছে কি না—প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে সনাতনধর্মীদের একটি বড় উৎসব চলছে। সেটিকে শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু একটি মহল চাচ্ছে, এই উৎসবটা যাতে ভালোভাবে ও ধর্মীয় উদ্দীপনার সঙ্গে হতে না পারে। একটা মহলই কিন্তু খাগড়াছড়িতে এ ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।’

ঢাকা শহরে পঞ্চাশটি থানার মধ্যে ২৫টির নিজস্ব ভবন আছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাকিগুলো বিভিন্ন ভাড়া বাসায় আছে। এখন আমরা নিজস্ব ভবন তৈরি করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে পাঁচটি থানা আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলো আগামী পনেরো মাসের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। আমি তাদের বলেছি, যদি আঠারো মাসের মধ্যে শেষ করে দিতে পারেন, তাহলে ধন্যবাদ জানাব। খুবই শিগগিরই শাহবাগ থানার ভবনেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারব।

সংবাদটি শেয়ার করুন...