
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জন নিহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আজ রোববার (৯ নভেম্বর) ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ রাষ্ট্রপক্ষের ২৩ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে ১৩তম দিনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুই ফরেনসিক কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন ফরেনসিক কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান এবং ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের উপ-পরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স, যারা মামলায় উদ্ধার করা আলামত যাচাই-বাছাইয়ের বর্ণনা দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাদের জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এরপর আরও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ নভেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। গত রোববার (২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ।
মামলায় এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের আনা মোট ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। এর আগে, গত ৯ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এই মামলায় ১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মামলার আট আসামির মধ্যে গ্রেফতার চার আসামি হলেন–শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। পলাতক আসামিরা হলেন–ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল। গত ১৪ জুলাই চানখাঁরপুলের মামলাটির পলাতক চার আসামিসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনার পাশাপাশি শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।
