
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল। সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য তিন নারীসহ ১১০ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এরই মধ্যে জমা দিয়েছেন দুই নারীসহ ৭৬ জন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়া সবাই যার যার অবস্থান থেকে নিজেকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যোগ্য মনে করেন। তবে সবাই তো নেতৃত্বে আসবেন না। এবার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন ভোটের মাধ্যমে। ফলাফলেই দেখা যাবে কে কে আসছেন ছাত্রদলের নেতৃত্বে।
এরই মধ্যে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। তৃণমূল মূল্যায়নে কে হচ্ছেন ছাত্রদলের আগামী কর্ণদ্বার। সবার মধ্যে সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ আলোচনায় রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে যুগ্ম সম্পাদক শাহ নেওয়াজ। তিনি ভোটাদের নজর কেড়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে জানান দেন। বার বার রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নির্যাতনে শিকার হয়েছেন। ছাত্রদলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের তার নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রয়েছে। ছাত্র নেতৃত্বে তার অবদান স্মরণীয়।
এদিকে নেতৃত্ব নিয়ে নেতা কর্মীদের প্রত্যাশা ভিন্ন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ছাত্রদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ভোটের মাধ্যমে ছাত্রদলে নেতৃত্ব নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় কদর বেড়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের। আগে তাদের সেভাবে মূল্যায়ন না করা হলেও ভোটের প্রত্যাশায় বেড়েছে তাদের কাছে মূল্যায়ন। নেতৃত্বে আসার জন্য জেলায় জেলায় যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা।
বিভিন্ন জেলা ও নগরে ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। এদের মধ্যে সম্পাদক প্রার্থী শাহ নেওয়াজ সবার চেয়ে নেতৃত্ব বিকাশে আলাদা। তিনি সব সময় তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন।এছাড়াও তিনি তার মেধা,মনননে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি সাধারণ ছাত্রদল নেতা- কর্মীর খোজঁ খবর রাখেন।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহ নেওয়াজ বলেন, ছাত্রদল দক্ষিণ এশিয়ার একটি বৃহত্তম সংগঠন। এ সংগঠনের নেতাদের হতে হবে পরীক্ষিত। তাছাড়া দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়া দীর্ঘদিন জেলে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মামলা হামলায় দেশের বাহিরে, দেশে আসতে পারে না।দল দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় নেই। দলের আন্দোলন সংগ্রাম বারবার সরকারের কাছে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিকল্প নেই। রাজপথে সরকার বিরোধী আন্দোলনে হামলা-মামলায় পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঢাকার রাজপথে কার্যত এবং দৃশ্যমান আন্দোলনের সূচনা করতে চাই। যে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীর মুক্তির পাশাপাশি আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্বিঘে দেশে ফিরে আসতে পারেন। তাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিলররা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করবে বলে আশা করছি।
শাহ নেওয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছে। তিনি নোয়াখালীর সন্তান। তার পরিবার পারিবারিকভাবে জাতীয়তাবাদী দলের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। স্কুল জীবন থেকে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিতে অনস্বিকার্য ভূমিকায় অবতীর্ণ।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই পদে নেতা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ছাত্রদলের ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে প্রার্থী তালিকা ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত করা হবে। ২৭ বছর পর হতে চলা কাউন্সিলে অংশ নিতে সভাপতি পদে ৪৪ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৬ জন মিলিয়ে মোট ১১০ নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তাঁদের মধ্যে ৭৬ জন মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৭ আগস্ট প্রকাশিত চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বিবাহিত হওয়া ও বিভিন্ন অভিযোগে বাদ পড়েছে পদপ্রত্যাশী ২৮ জনের নাম। বৈধপ্রার্থী প্রার্থী তালিকায় সভাপতি পদে রয়েছেন ১৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ জন । সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচিতদের মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে যুগ্ম সম্পাদক শাহ নাওয়াজ তৃণমূলে ও ভোটাদের নজর কেড়েছেন। তিনি এরই মাঝে সারা দেশের প্রায় সব গুলো সাংগঠনিক জেলায় ভ্রমনের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সারা দেশে সকল সাংগঠনিক জেলায় ভ্রমনের অংশ হিসাবে এরই মধ্যে সিলেট বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলায় ভ্রমন করেন আলোচিত এই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালইয়ের সবুজ চত্তর থেকে বেড়ে ওঠা শাহ নেওয়াজ তৃণমূলে জনপ্রিয় এ ছাত্রনেতা বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলায় জেলায় সাংগঠনিক সফর নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করছে এবং সকল পর্যায়ে নেতা কর্মীদের সংগঠিত করছে। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাহ নেওয়াজ অনেক পরিশ্রমী বলেই তার পক্ষে সারাদেশে সকল জেলায় জেলায় সফর করে নেতা কর্মীদের সময় দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এজন্যই সে সবার কাছে জনপ্রিয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালইয়ের সবুজ চত্তরে রাজনীতি করে উঠে আসলেও সারা দেশ ব্যাপি রয়েছে শাহ নেওয়াজের গ্রহনযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা। তাই আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনিই এগিয়ে থাকবেন।
