
নাব্যতা সংকটে গত দুইদিন ধরে আরিচা-কাজীরহাট নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে পাবনাসহ উত্তরের কয়েকটি জেলার যাত্রী ও চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঘাটের দুইপ্রান্তে কয়েকশত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে দ্রুত পানি কমতে থাকায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে অনেক স্থানে ডুবোচর জেগে ওঠায় পলি অপসারণে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে। নৌরুটের ফেরি চলাচল চ্যানেলের গভীরতা বাড়লে ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ড্রেজিং ইউনিট প্রকৌশলী ওসমান গনি বলেন, এ বছর পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাটসহ নির্ধারিত নৌরুটে ৩৮ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ২৪০ ফুট প্রস্থ বেসিং ও ১০ ফুট গভীরতার চ্যানেল তৈরির কার্যক্রম চলছে। ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি যমুনা নদীতে ডুবোচরের কারণে মাঝেমধ্যে নৌ-চ্যানেলের যানবাহন বোঝাই ফেরি আটকে পড়ত।
আরিচা ফেরিঘাটের অদূরে ডুবোচর জেগে ওঠায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। এরপরও ফেরিগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। তবে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নৌ-চ্যানেলটি সরু হতে থাকে। এই চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করার জন্য যতটুকু গভীরতা আর পানি প্রয়োজন সেটা নেই।
ফলে নাব্যতা সংকটের কারণে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে নৌরুটে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। তাতে উভয় ঘাট এলাকায় বেশ কিছু পণ্যবাহী ট্রাকসহ যানবাহন আটকা পড়েছে। নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ফেরিঘাট এলাকায় আটকে পড়া যানবাহনগুলোর চালক ও শ্রমিকেরা বিপাকে পড়েছেন।
