”নৌকার মাঝি” মাদক ব্যবসা করে এখন কোটিপতি!

লেখক: সাব এডিটর
প্রকাশ: ৫ years ago

অনলাইন প্রতিবেদকঃ ছিলেন নৌকার মাঝি, এখন কোটিপতি। নাম নুরুল আবছার। অভিযোগ অল্প সময়ে বিপুল অর্থের মালিক বনে যাওয়া চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নুরুল আবছার একজন তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ী। পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধেও আছে একই অভিযোগ। মাদক মামলা দিলে উল্টো পুলিশের ছয় সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দেন আবছার।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত এলাকা। পর্যটন এলাকা হওয়ায় সার্বক্ষণিক উপস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। সন্ধ্যার পর মাদক সেবন ও বেচাকেনার পাশপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ে মাদকসেবীদের উম্মাদনাও। অভিযোগ রয়েছে এই এলাকার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নুরুল আবছারের সিন্ডিকেটের হাতে। যার পরিচয় কখনো শিপিং ব্যবসায়ী, কখনো অনলাইন টিভির মালিক।

এলাকাবাসী জানান, সে এখানে নৌকা চালাতো। এখন সে ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তবে, সে এখনও কিভাবে সবার সম্মুখে মাদক ব্যবসা করে এটাই প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রশ্ন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় ৮, পুলিশের তালিকায় ১১ এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় ১০ নম্বরে আবছারের নাম। একই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আবছারের ভগ্নিপতি ইলিয়াস টেষ্টার, ভাই রফিক, ফারুখ কানু, শাহীনূর, শ্যালক জসিম ও ড্রাইভার রফিক। সবশেষ ২০১৮ সালে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার হন আবছার।

সিএমপি উপ-কমিশনার (বন্দর) হামিদুল আলম জানান, ‘তিন-চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশীট হয়েছে এবং আরেকটি মামলার চার্জশীট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হয়তো সে কোনও প্রয়োজনীয় সুবিধা চেয়েছিল, যেটা পুলিশ দিতে পারেনি। এর প্রেক্ষিতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেছে।’

পরে, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ এনে পুলিশের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবছার।

ফোনে কথা বলা হলে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী নুরুল আবছার জানান, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় শুধু আট নম্বর না, এক নম্বর হলেও আমার কিছু যায়’ আসে না। এটা যেহেতু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা তাই প্রশাসনের ওপর আঘাত পড়েছে।’

মাদকবিরোধী অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ করতেই আবছার উল্টো মামলার কৌশল নিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। পাঁচলাইশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, সে অভিযানকে স্তব্ধ করা যাবে না। আমরা অবশ্যই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সঠিক কাজটি করেছি।’

এ মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার পরই পুলিশকে হয়রানীর অভিযোগে দুদক এ মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এদিকে, মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয় আবছারকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন...