ফেনী জেলার পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার মানবতার ফেরিওয়ালা

লেখক: সাব এডিটর
প্রকাশ: ৭ years ago

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিপ্লবকর্মী ভূপেশচন্দ্র রায়কে পতিসর থেকে (১৭ শ্রাবণ শনিরার ১ আগস্ট) লিখেছেন ‘পুলিশ পুনর্ব্বার তোমার প্রতি সন্দিগ্ধ দৃষ্টিপাত করিতেছে। এজন্য পুলিশকে দোষ দেওয়া চলেনা। দেশে যেরুপ উৎপাত ঘটিতেছে তাহাতে পুলিশ সতর্ক না হইয়া কি করিবে? অনেক নিরীহ সৎকর্মেরও ব্যাঘাত ঘটিবে এবং অনেক নির্দ্দোষ লোককেও দুঃখ পাইতে হবে। ‘ ( রবিজীবনী, প্রশান্ত কুমার পাল ৬ ষষ্ঠ খণ্ড পৃষ্ঠা নং ২০) তাতে বিচলিত না হয়ে সততার সঙ্গে কর্তব্য করে যাওয়ার উপদেশ প্রদান করেছেন। আমি রবীন্দ্রনাথের অবিনাশী বাঁণীর পক্ষেই বলি, কেননা দেশে যে কোন অপরাধ, ষড়যন্ত্র সংগঠিত হওয়ার আগে বা পরে পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তা দমন করার চেষ্টা করে এটা তাঁদের দায়িত্ব। রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব পালনে রাতে বা দিনে, আলো আঁধারে, ঝড়ে- বৃষ্টিতে, ভিজেপুড়েই পুলিশ বাহিনীর কাজ করতে হয়। জঙ্গিবাদ দমন অভিযান , মাদকবিরোধী অভিযান, উগ্রমৌলবাদ, রাস্ট্রবিরোধী নাশকতা কর্মকাণ্ড পুলিশ জীবন উৎসর্গ করে মোকাবেলা করার বহু নজীর আমাদের জানা। পরিতাপের বিষয় সেখানেও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিয়োগের শেষ নেই, সমালোচিত করার অপচেষ্টা খুব কম হয়না , ‘যেমন জঙ্গিরা মরছে তবে পুলিশ মরছেনা’ কেন এমন আরও কিছু। আবার কোন কোন আন্দোলনেও দেখেছি পুলিশকে অশোভন ভাষাতে গালি গালাজ লেখা প্লেকার্ড যা আমাদের কাম্য নয় । এটা নিশ্চই আমাদের সংঙ্কীর্ণতা ও ভুল চিন্তা চেতনার বহিঃপ্রকাশ বলা যেতে পারে । কেননা আমরা পুলিশ সদস্যর ছোট খাটো ত্রুটি তুলে ধরে নিন্দা করি কিন্তু তাদের ভালো কাজগুলো তাকিয়েও দেখিনা। অতছো অনেক পুলিশ সদস্য আছেন যাঁরা নিরবে নিভৃতে দেশের কাজ করে যাঁচ্ছেন তাঁদের কথা বিবেচনাও করিনা।

গভীর রাতে ফেনী শহরে ঘুমন্ত পথশিশুকে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছেন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।

কখনো ভেবেও দেখা হয়না রাষ্ট্রের নিরপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের আত্মত্যাগ, সততা, দেশপ্রেম, কঠোর পরিশ্রম, একনিষ্ঠতা, যোগ্যতা, মেধা মননে অলক্ষে অগচরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ।
দু’টি উদাহরণ টেনেই বলি শোলাকিয়াতে পবিত্র ঈদের জামাতে পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করে লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিমকে বাঁচিয়েছেন তা আমাদের জানা। হলিআর্টিজামে জঙ্গি হামলা রুখতে গিয়ে পুলিশ সদস্যর প্রাণদিতে হয়েছে, এমন হাজার নজির আছে যা পুলিশের ধন্যবাদ পাবার যোগ্য । ২০০৪ সালে লালমনিরহাটের ক্ষেতলাল থেকে শুরু করে দেশে জঙ্গিবাদের যে উত্থান আমরা লক্ষ্য করেছি সেই দীর্ঘদিনের জমাটবদ্ধ জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়নে বাংলাদেশ পুলিশের সাহসিকতা, আন্তরিকতা, যোগ্যতা, দূরদর্শিতা, সততার প্রসংশাই করতে হয়।
তাছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের উপর রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের পরেও (পেশার বাইরে এসে) মানবতার কাজে নিজকে নিয়োজিত রেখে দেশের পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও পথশিশুদের পাশে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যরা। সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল মানুষ আমাদের সমাজেরই একটা অংশ তাই তাঁদের প্রতি আমাদের একটা দ্বাযিত্ববোধ আছে তা অশীকার করার উপায় নেই। সেই শ্রদ্ধা বোধ থেকেই তাঁরা মানবতার কাজে যাঁরা নিজকে নিয়োজিত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাতো আশির্বাদই বটে, তাঁদের মহান কর্মযজ্ঞ নিঃসন্দে প্রশংসনীয় । একটা উদাহরণ লিখতে চাই ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি প্রথম দিকে একটা কাগজে দেখেছিলাম, ফেনী জেলার পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম গভীর রাতে ঘুমন্ত পথ শিশুর গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছেন। খবরটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আনন্দের, গর্বের তো বটেই। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর ঐ অসহায় পরিবার তাদের গায়ে নতুন কম্বল দেখে অনন্দিত হবেন, তবে কখনো হয়তো তাঁরা জানবেনা কে তাঁদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে যতটা জানা গেছে ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম শীতের রাতে গাড়ীতে কম্বল নিয়ে মাঝরাত পর্যন্ত শরহরের অলিতে গলিতে ফেঁরি করে খুঁজে ফেরেন শীতার্ত আসহায় নিরন্ন মানুষ গুলোকে। সহযোগিতাও করেন সাধ্যমত। হতভাগ্য অসহায় ক্ষুধিত নিরন্ন ছিন্নমূল মানুষ ও পথ শিশুদের নিয়ে ঈদের অনান্দ উপভোগ করেন মানবতায় ফেঁরিওয়ালা জাহাঙ্গীর আলম। নিজ তহবিল থেকে গরীরদের মাঝে শেলাই মেশিন, হারমোনিয়াম, হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন তিনি।

শুধু তাই নয় সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সেবা গ্রহণকারী’রা তাঁর সেবাতে সন্তুষ্ট। তাঁদের ভাষ্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। বিশেষ করে ফেনীর সোনাগাঁজীতে ৭১ সালে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের বহুল আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আফসার হত্যার ৪৩ বছর পর ২০১৭ সালে হত্যা মামলা রুজু করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে তাঁদের কে কলঙ্ক মুক্ত করেছেন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। তাঁরা বলছেন এ হত্যাযজ্ঞের বিচার ফেনীবাসী অনেক বার চেয়েছেন কিন্তু পাননি, দীর্ঘদিন পরে হলেও তা পূর্ণ হলো।

কখনো ভেবেও দেখা হয়না রাষ্ট্রের নিরপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের আত্মত্যাগ, সততা, দেশপ্রেম, কঠোর পরিশ্রম, একনিষ্ঠতা, যোগ্যতা, মেধা মননে অলক্ষে অগচরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ।
দু’টি উদাহরণ টেনেই বলি শোলাকিয়াতে পবিত্র ঈদের জামাতে পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করে লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিমকে বাঁচিয়েছেন তা আমাদের জানা। হলিআর্টিজামে জঙ্গি হামলা রুখতে গিয়ে পুলিশ সদস্যর প্রাণদিতে হয়েছে, এমন হাজার নজির আছে যা পুলিশের ধন্যবাদ পাবার যোগ্য । ২০০৪ সালে লালমনিরহাটের ক্ষেতলাল থেকে শুরু করে দেশে জঙ্গিবাদের যে উত্থান আমরা লক্ষ্য করেছি সেই দীর্ঘদিনের জমাটবদ্ধ জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়নে বাংলাদেশ পুলিশের সাহসিকতা, আন্তরিকতা, যোগ্যতা, দূরদর্শিতা, সততার প্রসংশাই করতে হয়।
তাছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের উপর রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের পরেও (পেশার বাইরে এসে) মানবতার কাজে নিজকে নিয়োজিত রেখে দেশের পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও পথশিশুদের পাশে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যরা। সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল মানুষ আমাদের সমাজেরই একটা অংশ তাই তাঁদের প্রতি আমাদের একটা দ্বাযিত্ববোধ আছে তা অশীকার করার উপায় নেই। সেই শ্রদ্ধা বোধ থেকেই তাঁরা মানবতার কাজে যাঁরা নিজকে নিয়োজিত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাতো আশির্বাদই বটে, তাঁদের মহান কর্মযজ্ঞ নিঃসন্দে প্রশংসনীয় । একটা উদাহরণ লিখতে চাই ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি প্রথম দিকে একটা কাগজে দেখেছিলাম, ফেনী জেলার পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম গভীর রাতে ঘুমন্ত পথ শিশুর গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছেন। খবরটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আনন্দের, গর্বের তো বটেই। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর ঐ অসহায় পরিবার তাদের গায়ে নতুন কম্বল দেখে অনন্দিত হবেন, তবে কখনো হয়তো তাঁরা জানবেনা কে তাঁদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে যতটা জানা গেছে ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম শীতের রাতে গাড়ীতে কম্বল নিয়ে মাঝরাত পর্যন্ত শরহরের অলিতে গলিতে ফেঁরি করে খুঁজে ফেরেন শীতার্ত আসহায় নিরন্ন মানুষ গুলোকে। সহযোগিতাও করেন সাধ্যমত। হতভাগ্য অসহায় ক্ষুধিত নিরন্ন ছিন্নমূল মানুষ ও পথ শিশুদের নিয়ে ঈদের অনান্দ উপভোগ করেন মানবতায় ফেঁরিওয়ালা জাহাঙ্গীর আলম। নিজ তহবিল থেকে গরীরদের মাঝে শেলাই মেশিন, হারমোনিয়াম, হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন তিনি।

শুধু তাই নয় সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সেবা গ্রহণকারী’রা তাঁর সেবাতে সন্তুষ্ট। তাঁদের ভাষ্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। বিশেষ করে ফেনীর সোনাগাঁজীতে ৭১ সালে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের বহুল আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আফসার হত্যার ৪৩ বছর পর ২০১৭ সালে হত্যা মামলা রুজু করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে তাঁদের কে কলঙ্ক মুক্ত করেছেন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। তাঁরা বলছেন এ হত্যাযজ্ঞের বিচার ফেনীবাসী অনেক বার চেয়েছেন কিন্তু পাননি, দীর্ঘদিন পরে হলেও তা পূর্ণ হলো।

বহুমাত্রিত প্রতিভার গুণী এই পুলিশ কর্মকর্তা একাধারে প্রতিষ্ঠিত শিল্পি, গীতিকার, সুরকার তিনি। তাঁর গাওয়া গানের সুরধারা সংগীত প্রেমিকে আরও আলোকিত করবে তাতে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ পুলিশে এমন আরও হাজারও জাহাঙ্গীর আলমের জন্ম হোক যাঁদের সেবার সোনালী সূর্য আমাদের মন থেকে রাত্রী মুছে নিয়ে পৌঁছে দিবে একটা ফুটন্ত সকাল।

সংবাদটি শেয়ার করুন...