
* চিকিৎসার অন্তরালে অন্য কোন ব্যবসা হচ্ছে কি’না তা নিয়ে এলাবাসীর সন্দেহ!
তদন্ত প্রতিবেদকঃ দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অদতার কারণে দেশের মানুষ তার মৌলিক অধিকারের অন্যতম একটি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঢাকাস্থ মিরপুর ১১নম্বর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মসজিদের উপর অবস্থিত মিরপুর ডেল্টা হেলথ কেয়ার লিমিটেড। এখানে স্বাস্থ্য সেবার নামে চলছে নানা অপকৃতি। হাসপাতালের চেয়ারম্যান বিএসএমইউ-এ কর্মরত অধ্যাপক ডাঃ সামসাদ বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মুন্নজান বেগম, পরিচালক বিএসএমইউ-এ কর্মরত সহকারী অধ্যাপক (আর্থোপ্যাডিক সার্জন) ডাঃ মোঃ মোফাখখারুল ইসলাম রানা তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের অন্যতম সহযোগী নির্বাহী পরিচালক বিএসএমইউ-এ কর্মরত ডাঃ হাসনাত আহসান সংঘবদ্ধভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবার নামে সহায় সম্বল হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধান কালে জানা যায়, হাসপাতালে বৈধ ও অবৈধ কাজ নিরাপদে করতে স্থানীয় থানার সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকায় তাদের অপরাধের কোন শাস্তি হয় না বা কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। ডাঃ আইনুল ইসলাম ও অধ্যাপক মুন্নজান বেগম একাধিক সময়ে অপরাধের জন্য থানা গারদে আটক করলেও গভীর রাতে অজ্ঞাত কারণে মুক্তি পায়। চেয়ারম্যান সামসাদ বেগম ও ডাঃ মোফাখখারুল ইসলাম রানা ও ডাঃ হাসনাত আহসান তিনজনই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করলেও সেখানে রোগীর সেবা দেওয়ার পরিবর্তে সেখানকার রোগী ভাগিয়ে এনে মিরপুর ডেল্টা হেলথ কেয়ারে ভাল চিকিৎসার নামে দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে সর্বশান্ত করলেও তারা ধরাছোয়ার বাইরে থাকে। এ ৫ জন চিকিৎসক মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে নারীর শ্লীতাহানী ও মাদক সেবন এবং ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। ৫ কর্মচারী অপরাধের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সর্বশেষ চাকুরীচ্রুত হয়েছেন সিইও ডাঃ শরীফ মোহাম্মদ আরিফুল হক বলে বলে একথা তিনি বলেন। অপর দিকে অভাবী চেহারা নিয়ে এ হাসপাতালে যোগদানকারী ডাঃ হাসনাত আহসানের অপকর্মের সাহায্যকারী নাজমুল বলেন তিনি নেশা করে টাকা না দেওয়ায় বর্তমান নির্বাহী পরিচালক ডাঃ হাসনাত আহসান ও পরিচালক ডাঃ মোফাখখারুল ইনলাস (রানা) স্যারের পরামর্শে চেয়ারম্যান ম্যাাডাম চাকুরীচ্যুত করছে। তার সহকর্মী মনির বলেন ৫ স্যার ইচ্ছা পুরণ করতে পারলে এখান থেকে কারো চাকুরী যায় না। যেমন ডাঃ এ্যাটেন্টডেন্স কল্পনা মন্ডল এখন ওটি নার্স হয়েছে ডাঃ মোফাখাখারুল ইসলাম রানা স্যারকে সঙ্গ দিয়ে নাজমুল এমডি ও চেয়ারম্যান স্যারকে খুশী রাখে। এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়- ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মুন্নজান বেগম অবিবাহিত গরিব মেয়েদের টাকার লোভ দেখিয়ে অবৈধ সন্তান ধারণ করিয়ে আমেরিকায় বসবাসকারী বন্ধ্যা পরিবারে সে নবজাতককে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করে নিজে লাভবান হয় এবং সহযোগী জসিমকেও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে অবিবাহিত সন্তানধারণকারী মা’র কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে কিছু সময় নিরব থাকার পরে বলে এ বিষয়ে সব কিছু জানে মুন্নজান ম্যাড্যাম। সিকিউরিটি ইনচার্জ মাইকেল সরকার অনেক কাজের বাধা ও স্বাী হয়ে যাওয়ায় চেয়ারম্যান, এমডি ও ডাইরেক্টর রানাকে দিয়ে চাকুরীচ্যুত করার কথাও শুনালেন। এছাড়াও এনআইসিউও ও কিডনী ডায়ালোসিস সহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশিণ প্রাপ্ত বা দ কোন স্টাফ নাই। এমন সময় পাশের টিভি চ্যানেলের দুই সাংবাদিককে আসতে দেখে ঝটপট করে সরে পরলো সাংবাদিক দেখিয়ে। এদিকে এলাকাবাসীর প্রশ্ন হচ্ছে র্যাব কিংবা নির্বাহী ম্যাচিষ্ট্রেটের এ ব্যাপারে কোন অভিযান করার এখতিয়া কি নাই ? একাধিক সূত্র জানায় সাবেক এ্যাম্বুলেন্স চালক ও মাইকেল সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একজন জানায় ডাঃ আইনুল ইসলাম খান ও ডাঃ হাসনাত আহসানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আরো জানা যায় ডাঃ আবুল হাসনাত কিশোরীদের গাইনী চিকিৎসা দিয়ে থাকে। সূত্রটি আরো জানায় অদৃশ্য শক্তির একজন সহকারী ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় কেউ বড় বড় অপরাধের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। কথিত ওটি নাস কল্পনা মন্ডল সুস্থ নবজাতকদের অসুস্থ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুকে এনআইসিউতে ভর্তি করে অবৈধ অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে থাকে। ডাঃ মোঃ আইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি নাকী শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নন। ৫জন কর্তাকে এলাকাবাসী বলে এরা চিকিৎসা পেশাকে অপমানিত করলেও জীবনের নিরাপত্তার অভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করে না। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও ভূক্তভোগী মহল কোন ন্যায় বিচার পায় নাই। তাহলে কি মিরপুরবাসী ডেল্ট হেলথ কেয়ার থেকে প্রতারিত হবে! এ ব্যাপারে কাকে অবহিত করলে ৫ চিকিৎসকের নামে কলংকদের হাত থেকে রা পাবে। অভিযোগকারীরা জানায় ওটি নার্স শিল্পী বালা, ডায়ালাইসিস ইনচার্জ, এনআইসিইউ ইনচার্জের অভিজ্ঞতা ও প্রশিনের কাগজপত্র চাইলে পাওয়া যাবে না বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে আসছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়।
