
নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় এসএমসি প্লাস বিক্রি নিষিদ্ধ ও মার্কেট থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ট্রেনে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। আজ ( ২১ মে ২০২৪) মেট্রোরেলে এসব বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। বিজ্ঞাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর কোম্পানি সচিব (যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
গত ১৬ মে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এসএমসি প্লাস-এর চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। এ দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওয়ালিউল ইসলাম। পরে বিচারক আলাউল আকবর তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এসএমসি প্লাস দুটি কোম্পানির পণ্য। এর মধ্যে একটি আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নিয়েছেন। এ কারণে বিষয়টি এখনও পুরোপুরি সুরাহা হয়নি।’ ‘আমি বলেছি, যেকোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই এসব ড্রিংকস বাজারজাত করা হোক,।
তিনি আরো বলেন, একমি ও দেশবন্ধু গ্রুপের কর্ণধার অনুমোদন না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ কারণে আদালত তাদের জরিমানা করেন। এর আগে এসএমসি গ্রুপের কর্ণধারকেও জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিচার্জ ও এসএমসি প্লাস বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। কোম্পানিগুলোও বলেছে, তারা বাজার থেকে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহার করবেন।
এছাড়াও ১৯ মে বাজার থেকে এসএমসি প্লাস ও রিচার্জের সব ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার। এর আগে গত ১৪ মে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে ৭টি কোম্পানির পাঁচ ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় নিষিদ্ধ চেয়ে মামলাটি করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান। এগুলো হলো: একমি ও এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী’র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো।
