১৬ কিলোমিটার উড়াল সড়কে যান চলাচল কবে?

লেখক: Dhaka Bangladesh
প্রকাশ: ২ years ago

স্বপ্ন দুয়ার খুলছে চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। ১৬ কিলোমিটার উড়াল সড়কে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে আগামী মে মাসেই। চালুর ফলে বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগ খাতে আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি বিনিয়োগ ও কানেক্টিভিটি বাড়বে বন্দর নগরীকে ঘিরে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সবুজ আর পাহাড়ের বুক চিরে চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে গেছে মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। স্বপ্ন জাগাচ্ছে নগর ও বন্দর কেন্দ্রিক যানজট কমিয়ে যোগাযোগ খাতে বড় পরিবর্তনের। ইতোমধ্যে গত ১৪ নভেম্বর স্বপ্নের উড়ালসড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন নগরবাসীর অপেক্ষা এ দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়ার। এ দীর্ঘ আকাশ পথটির নির্মাণ ব্যয়ে হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৪টা র‌্যাম আছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে আমরা অপেন করবো। যেটা যখন শেষ হবে, আবার আমরা চালু করবো; যাতে মানুষ দ্রুত এর সেবাটা নিতে পারে।

সিডিএ জানায়, নগরীর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এ উড়াল সড়কের টোল হারের প্রস্তাবনা দিয়েছে সিডিএ। যেখানে প্রাইভেট কারকে ৮০, বাস ২০০ থেকে ২৮০ আর ট্রাককে গুণতে হবে ২০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা। তবে চলবে না মোটরসাইকেল। এটি আমূল পরিবর্তন ঘটাবে যোগাযোগ খাতে।

পুরোপুরি কাজ শেষ হলেও চলছে নিরাপত্তা, লাইট ও ক্যামেরার কাজ। ১৪টি রাম্পের মধ্যে দুটির কাজ শেষ। অন্যগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের হয়ে কানেক্টিভিটি বাড়াবে দক্ষিণের সঙ্গে। বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যে সংযোগ বলে জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, মিরসরাই ইকোনমিক জোন (এমইজেড) হচ্ছে। সেখানে কোটি কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে। সেখানে যদি ব্যবসায়ীরা যেতে পরে, এর সুফল কিন্তু পুরো জাতি পাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন...