বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয়রা তাঁর সঙ্গে ঢাকা পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে তাঁরা দেশনেত্রী সম্পর্কে যে বর্ণনা দেন তা শুধু মর্মস্পর্শীই নয়, হৃদয়বিদারক। সরকারের জিঘাংসার কষাঘাতের তীব্রতা যে কত ভয়াবহ সেটি বোঝা যাবে শুধুমাত্র বেগম জিয়ার প্রতি অমানবিক আচরণের মাত্রা দেখলেই। নিকটাত্মীয়রা বলেছেন গত ৫ জুন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি তিন সপ্তাহ যাবৎ ভীষণ জ¦রে ভুগছেন যা কোনক্রমেই থামছে না। চিকিৎসা বিদ্যায় যেটিকে বলা হয় টিআইএ (ট্রানজিয়েন্ট স্কীমিক এ্যাটাক)। দেশনেত্রীর দুটো পা- ই এখনও ফুলে আছে এবং তিনি তাঁর শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে আমি যে কথাগুলি বললাম তা সম্পূর্ণরুপে সত্য। তাঁর অসুস্থতা নিয়ে ইতোপূর্বেও যে কথাগুলো বলা হয়েছে তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ হলে তাঁর স্বাস্থ্যের এতটা অবনতি হতো না। সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাঁর প্রয়োজনীয় যে চিকিৎসাগুলোর জন্য বারবার দাবী করা হয়েছিল যেমন বিশেষায়িত এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ইকো কার্ডিওগ্রাফি, ইসিজি, বিএমডিসহ জরুরী পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং একটি চিকিৎসক দলের তত্ত্বাবধানে জরুরী চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা। কিন্তু দলের নেতৃবৃন্দের দাবি এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ ক্রমাগত উপেক্ষাই করে চলেছে সরকার। গত ২১ মে বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবরে আবেদন করেছিলেন দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত চার জন চিকিৎসককে কারাগারে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য। কিন্তু এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন সাড়া দেয়নি। এতে মনে হয় সরকার এবং সরকার প্রভাবিত প্রশাসনযন্ত্র দেশনেত্রীকে নিয়ে কোন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকারের প্রতিহিংসার পাখা সবসময় যেন ঝটপট করছে। বারবার দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে সুচিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসকবৃন্দ, দলের নেতৃবৃন্দ, দেশের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ সোচ্চার থাকলেও সরকার এক অশুভ উদ্দেশ্যে তা অগ্রাহ্য করছে। নির্মম সত্য যে, সরকার এক অশুভ উদ্দেশ্য নিয়েই দেশনেত্রীর সুচিকিৎসায় বাধা প্রদান করছে। সরকারের অভিপ্রায় নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রবল সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে যে, আসলে দেশনেত্রীকে নিয়ে সরকার কী করতে চায়। বন্ধুরা, এই সরকার মর্যাদা, সহানুভূতি, অন্যের প্রতি সম্মান ও অনুশোচনা হারিয়ে ফেলেছে। চরম মিথ্যাচার যাদের রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতির এজেন্ডা তারা একজন সম্মানীত জনপ্রিয় নেত্রীকে তো কষ্ট দেয়া ছাড়া ভাল কিছু করার শিক্ষা ওদের নেই। নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে সব ব্যবস্থাই তারা করতে পারে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দিয়ে নিপীড়ণের যে নতুন অস্ত্র ব্যবহার করে মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘনের ধিক্কার জানাই। অবিলম্বে দেশনেত্রীর সুচিকিৎসা এবং তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সরকারের সকল অমানবিক অবিচারের জন্য দায়ী থাকতে হবে।
কর্মসূচি ঃ
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী ১০ জুন ২০১৮ রবিবার সারাদেশে জেলা ও মহানগরে এবং ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত