TadantaChitra.Com | logo

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে দুই মেয়রের দুই প্রকল্প!

প্রকাশিত : আগস্ট ২২, ২০১৯, ১৭:৪৭

ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে দুই মেয়রের দুই প্রকল্প!

মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার: ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তার সংস্থার এলাকাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণসহ নাগরিকদের সমস্যা চিহ্নিত করতে কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়েছেন।আর উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম একই মোড়কে বাসাবাড়ির এডিস মশা ও তার লার্ভা নিধনে ‘স্টিকার’র উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে দুই মেয়রের এমন উদ্যোগ কতটা মশা নিধনে আদৌ কতটা কাজে দেবে তার নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে ডিএনসিসির মেয়র প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত করে চিরুনি অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই অভিযানে যেসব বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেখানে ‘এই বাড়ি ও স্থাপনায় এডিসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে’ শীর্ষক স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য এরই মধ্যে কয়েক হাজার স্টিকার ছাপানো হয়েছে।নিয়ম অনুযায়ী তিন দিনের বেশি কোনও স্থানে পরিষ্কার পানি জমা পড়ে থাকলে সেখানে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়। সে অনুপাতে প্রতি তিনদিন পরপর বাসাবাড়ির প্রতিটি স্থান দেখা আবশ্যক।মেয়রের এই কমিটি কতবার বাসাবাড়িতে গিয়ে এভাবে পরিদর্শন করতে পারবেন। কলকাতা ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে মত বিনিময়ের পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম এ পদক্ষেপ নেন। যেমনটা করেছে কলকাতা শহর।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন তারা নাগরিকদের এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়েছেন। তারা ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল ও লার্ভা ধ্বংসেও কাজ করবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এরই মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকাকে চার ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে সাত জন করে মোট ২৮ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়েছি। তাদের কাজ হবে কোন কোন এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়ছে, কোথায় ওষুধ ছিটানো লাগবে, এসব চিহ্নিত করা এবং সেসব এলাকায় মশক নিধনকর্মী পাঠানো।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যে বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাবো সেই বাড়িতে একটি স্টিকার লাগিয়ে দেবো। এরপরেও যদি দেখা যায় বাড়ির মালিক সংশোধন হননি তখন আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেবো। আমরা প্রথমে আইন প্রয়োগ করতে চাই না। সংশোধনের সুযোগ দেবো। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে মিটিং করা হয়েছে। আমাদের এক একটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করেছি। এর প্রতিটি ভাগকে আবারও ১০টি ভাগে ভাগ করেছি। প্রতিটি ভাগে ১শ’ জন করে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। শিঘ্রই সেখানে সামাজিকভাবে পরিচিত স্থানীয় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করবো। এর প্রতিটি কমিটি প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে চেক করবে। আমার মনে হয় এতে বাসাবাড়ির মানুষ সচেতন হবে। এডিস মশা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা ও কীট বিশেষজ্ঞরা জানান, এডিস মশার উৎপত্তিস্থলের মধ্যে নগরবাসীর বাসাবাড়ি অন্যতম। এ জাতীয় মশা তিন দিনের বেশি জমে থাকা স্বচ্ছ পানি, বাসার ছাদ, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, বেসিন, কমোড, এসি বা রেফ্রিজারেটরের পানিতে জন্মায়। এর সিংহভাগই বাসাবাড়ির অভ্যন্তরে জন্ম নিয়ে থাকে। কিন্তু মশা বা তার উৎপত্তিস্থল নির্ম‚লের দায়িত্বে থাকা দুই সিটি করপোরেশন তার নাগরিকদের বাসাবাড়িতে গিয়ে এসব ধ্বংস বা ওষুধ প্রয়োগের সুযোগ পায় না। সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এতে কতটা সফলতা আসবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।