TadantaChitra.Com | logo

২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ মঞ্জুর; দুদকের চার্জশীটভুক্ত আসামী স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি!

প্রকাশিত : এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৬:১০

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ মঞ্জুর; দুদকের চার্জশীটভুক্ত আসামী স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি!

তদন্ত চিত্র: ভুয়া রেকর্ডপত্র সৃষ্টি করত: সরকারি সম্পত্তি বন্ধক দেখিয়ে প্যাট্রিক ফ্যাশনস লি: নামের প্রতিষ্ঠানকে ঋণ গ্রহণের নামে ৮ কোটি টাকা উত্তোলনপূর্বক সুদসহ ১০ কোটি তিরাশি লক্ষ বার টাকা একচল্লিশ পয়সা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা। তার মধ্যে অন্যতম পলাতক আসামী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হাবিবুর রহমান। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মতিঝিল থানায় মোট ১২ (বার) জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। মতিঝিল থানার মামলা নং জিআর ৯৭/২০১৮। দণ্ডবিধি ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় দায়ের করা হয়। যাহা বর্তমানে মেট্টো স্পেশাল মামলা নং ২৭২/২২ হিসেবে চলমান রয়েছে।

এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অর্ন্তভূক্ত আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। উক্ত প্রতিবেদনে ৪ নং আসামী হিসেবে বর্তমান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হাবিবুর রহমানকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। গত ১৮ জানুয়ারী দুদক উপসহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমানকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী, ক্রোকী ও হুলিয়া পরোয়ানা ইস্যুর জন্য আদালতে আর্জি জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

দুদকের চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়েছে, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ মঞ্জুরিপত্র (Sanction Letter) ব্যতিত মার্কেন্টাইল ব্যাংক এর প্রধান শাখা হতে ব্যাক টু ব্যাক এল সি ও অন্যান্য ঋণ সুবিধার মাধ্যমে ৭কোটি সাইত্রিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও ঋণ এর সুদ পরিশোধ না করার দায়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান সহ অপর কিছু আসামীর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশীট জমা দিয়েছেন দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক আদালতে দাখিলকৃত চার্জশীট অনুযায়ী এই মামলার অন্যতম আসামী হাবিবুর রহমান ২০০০-২০০৩ সালে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় ব্যাংকের গ্রাহক প্যাট্রিক ফ্যাশনস লি: এর নামে ঋণ প্রস্তাবের সুপারিশ করেন। এবং পরবর্তীতে পুন:তফসিলের (Reschedule) সুপারিশ করেন। তিনি উক্ত ব্যাংকের ক্রেডিট ডিভিশনের তৎকালীন ইনচার্জ হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্যাট্রিক ফ্যাশনস লি: প্রতিষ্ঠানের CIB রিপোর্ট সম্পর্কিত অসত্য তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্যাট্রিক ফ্যাশনস লি: প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রস্তাব প্রতারণামূলকভাবে অনুমোদন করান। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি (NOC) না পাওয়ার ফলে উক্ত ঋণ প্রস্তাবের মঞ্জুরিপত্র (Sanction Letter) ইস্যু হয় না।

মো: হাবিবুর রহমান মার্কেন্টাইল ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে প্রাইম ব্যাংকের ক্রেডিট ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। প্যাট্রিক ফ্যাশনস লি: প্রতিষ্ঠানের লোন প্রাইম ব্যাংকে খারাপ অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঋণ মঞ্জুরিপত্র (Sanction Letter) ইস্যু না হওয়া সত্ত্বেও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখা কর্তৃক উক্ত ঋণটি অসৎ উদ্দেশ্যে প্রাইম ব্যাংক হতে অধিগ্রহন (Takeover) করা হয়। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখার অন্যান্য কর্মকর্তার যোগসাজশে এমন প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে হাবিবুর রহমান মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখার ক্রেডিট ইনচার্জ হিসেবে অন্যান্য আসামীদের সহিত উক্ত ঋণ পুন:তফসিল (Reschedule) এর সুপারিশ করেন। কিন্তু উক্ত ঋণের মঞ্জুরিপত্র (Sanction Letter) ইস্যু না হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেশুনে গোপন করেন। যা মামলার চার্জশীটে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, পরস্পর যোগসাজশ ও ক্ষমতার অপব্যাবহার হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে হাবিবুর রহমানকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি, তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।