TadantaChitra.Com | logo

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টাঙ্গাইল হেমনগর ইউপি চেয়ারম্যানের ‍অপকর্ম ফাঁস!

প্রকাশিত : মে ১৮, ২০২০, ১৫:৪৮

টাঙ্গাইল হেমনগর ইউপি চেয়ারম্যানের ‍অপকর্ম ফাঁস!

তদন্ত চিত্র ডেস্কঃ  টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানা হেমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে গত ৯ মে ২০২০ ইং তারিখে তদন্ত চিত্রের অনলাইন ভার্সনের “এ যেন স্বাধীনতা যুদ্ধের আরেক টিক্কা খান” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হলে হেমনগর ইউনিয়ন সহ গোপালপুর থানা এলাকায় আলোচনা সমালোচনার জড় উঠে। প্রদিবেদন প্রকাশের পর তার কাছে বিচার আশায় যাওয়া অনেক নির্যাতিত লোক মুখ খুলতে শুরু করেছে।

এছাড়াও এই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে একাধিক অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগিরা। হেমনগর এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে নির্যাতিত মানুষের কয়েকটি অভিযোগের একটি অভিযোগ পাঠকদের জন্য হুবাহুব তুলে ধরা হল…

অভিযোগে বলা হয়েছে, গোপালপুর থানার হেমনগর ইউনিয়নের স্বরণকালের দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে খুন, ঘুষ, মামলা ও হামলাসহ রাষ্ট্র সরকার ও দেশ বিরোধী অভিযোগ আছে। যাহা প্রকাশ্য ও গোপন তদন্তে শতভাগ সত্য প্রমাণিত হইবে।

 

 আরো পড়ুন…এ যেন স্বাধীনতা যুদ্ধের আরেক টিক্কা খান

 

ওই অভিযোগে বলা হয়, স্বরণকালের দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর ও সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের পিতা জান্নাতবাসী লাল মাহমুদ খান পাকিস্তান মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী লাল মাহমুদ খান তৎকালের একজন সন্ত্রাসী ও নারী লোভী চেয়ারম্যান ছিলেন। তাহার ভয়ে এলাকার হিন্দু মেয়েরা বাহিরে যাওয়ার সাহস করিত না। সন্ত্রাশী, খুন, ঘুষ, দূর্নীতি ও নারী লোভীর কারণে হেমনগরের জনগণ অতিষ্ট হয়ে লাল মাহমুদ খানকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করেন। একই চরিত্রগত কারণে চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের একমাত্র বড় ভাই জান্নাতবাসী দৌলত খানকে অন্যের বিবাহিত নববধুকে নিয়ে টানাটানি করায় মনের কষ্টে নিজ গ্রামের দিন মজুর দিলশাদ খান প্রকাশ্য দিবালোকে স্থানীয় নলিন বাজারে কুঠারের আঘাতে এককোপে দৌলত খানকে হত্যা করেন। অবশ্য হত্যার অভিযোগে দিলশাদ খান ২৫ বছর জেল ও হাজত বাস করেন। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের রাজাকার বংশ জন্ম থেকেই সন্ত্রাসী, খুন ও নারী লোভী ছিলেন বটে।

আরো বলা হয়েছে, খুন ধর্ষন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী চেয়ার ম্যান আইয়ুব খানের বংশগত বদ অভ্যাস। তার পিতা লাল মাহমুদ খান হেমনগর নিবাসী মরহুম সেকান্দর আকন্দের ছেলে জান্নাতবাসী রোস্তম আকন্দের নব বিবাহিত সুন্দরী স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে। রোস্তম আকন্দ বাধা দেওয়ায় তার শ্বশুর শিমলাপাড়া নিবাসী ইন্তাজ রাজকে দ্বারা রোস্তমকে আপোষের জন্য লাল মাহমুদ খানের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। রোস্তমের খন্ডিত মাথা হেমনগর রাজ দীঘিতে জনগণ খুজে পায়। চেয়ারম্যান লাল মাহমুদ খান নিজ শালিকার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে। ফলে শালিকাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক শ্বশুরালয়ের জায়গীরকে নিজ হাতে খুন করেন। শ্বশুরালয় ভাদাই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ঘটনার সাক্ষী আছেন। উভয় ঘটনা যথাসময়ে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। যাহা অদ্যবদি হেমনগরবাসী রুপকথার গল্পের মত মনে রাখিয়াছে।

 

আরো পড়ুন….দুর্নীতির মহারাজা এমপি জ্যাকব!

 

ভুক্তভোগি ওই অভিযোগে উল্লেখ করেন, চার দলীয় জোট সরকার তথা বিএনপির সময়ে চেয়ারম্যান আইয়ুব খান ২১শে আগষ্ট গ্রেনেট হামলা মামলার আসামী আব্দুস সালাম পিন্টুর ডান হাত ও স্থানীয় নলিন বাজার বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। উক্ত সময়েও আইয়ুব খান বহু খুন ও সন্ত্রাসী কার্য্যক্রম পরিচালনা করিয়া কোটি কোটি টাকা অর্জন করেন।

আরো বলা হয়েছে, বিএনপির পতনের পর সন্ত্রাসী আইয়ুব খান নিজের অস্তিত্য রক্ষার স্বার্থে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। নির্বাচনের পূর্ব মূহুর্তে সন্ত্রাসী আইয়ুব খান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তথা হেমনগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আলহাজ্ব আনিসুর রহমান হীরা তালুকদারের বাড়ী ঘরে হামলা চালায়। হামলার তান্ডবে নির্বাচন দিবসে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কোন লোক দাড়াতে না পারায় সন্ত্রাসী আইয়ুব খান অতি সহজে চেয়ারম্যান পদে জয়যুক্ত হয়। স্বরণকালের দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খান তার সময়ে ইউনিয়নে সরকারী যত প্রকার ত্রাণ, অনুদান, সাহায্য ও রেশন সামগ্রী আসিয়াছে সবই এককভাবে লুটপাট করেছেন। পরিষদের ১২জন ইউপি সদস্যগণের মধ্যে কাউকে কোন দিন এসকল ব্যাপারে মতামত নেওয়া হয় নাই। বিধায় ইউপি সদস্যগণের মধ্যে এসকল ব্যাপারে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করিতেছে। সন্ত্রাসী চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে নাই। তদন্তে ইউপি সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে সকল দূর্নীতির তথ্য প্রমাণিত হইবে।

 

আরো পড়ুন..প্রবাসীর সম্পত্তিতে এমপি কাজিম উদ্দিনের কালো থাবা!

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে আইযুব খান তার সন্ত্রাসী কার্য্যক্রম দ্বারা হেমনগরকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, ঘুষ ও দূনীর্তির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করিয়াছেন। তাহার ষড়যন্ত্র ও মামলা হামলার শিকার হয়ে প্রতি বৎসর হেমনগরে ২/১ জন মানুষ খুন হইতেছে। ফলে খুনের কারণে সমাজের শত শত যুবক ও সুধীজনেরা মামলার আসামী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছেন। ২০১৯ সনে স্থানীয় ভোলারপাড়া নিবাসী ছাত্র নেতা কবির হত্যার নেপথ্যে সন্ত্রাসী আইয়ূব খান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে ।

আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান আইয়ুব খান নিজেই আইন নিজেই আদালত। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তিনি শতাধিক শালীশে টাকা খেয়ে নির্দোষী মানুষকে দোষী করে নির্মমভাবে মারপিট ও জরিমানা করেছেন। প্রাণের ভয়ে কেউ কোন দিন প্রতিবাদ করার সাহস করেন নাই। উদাহরণ স্বরুপ উক্ত চেয়ারম্যান ২০১৯ সনে তাহার নিজ গ্রাম শাখারিয়া নিবাসী শামছু শেখের পুত্র জাহিনুরকে বিনা অপরাধে যেভাবে মারপিট করেন তাহা হেমনগর বাসীর নিকট ইতিহাস হয়ে আছে। উক্ত ঘটনায় চেয়ারম্যান আইয়ুব খান স্বরণকালের কলংকিত এরশাদ শিকদারকেও হার মানিয়েছেন। জাহিনুর আজ অবদি প্রতিবন্ধির মত বেঁচে আছে। চেয়ারম্যান জাহিনুরকে সিনেমার ভিলেনের মত পায়ে রশি বেধে টানতে টানতে নিজ বাড়ীতে নিয়া গাছের সাথে বেধে লাঠি দ্বারা পেটাতে পেটাতে জ্ঞান শূন্য করে ফেলে। সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে।

উক্ত অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খান গোপালপুর সদরে বড় ভাই হিসাবে পরিচিত। থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাগণ তাহার নিকট দায়বদ্ধ। তিনি নিয়মিতভাবে প্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে মদ নারী ও অবৈধভাবে টাকা সরবরাহ করে সকলকে বশিভুত করে রেখেছেন। গোপালপুরে তাহার পরিচালিত কাকলি সিনেমা হল অবৈধ অপকর্মের আস্তানা হিসাবে ব্যবহার হইত। মাত্র কিছুদিন পূর্বে আইয়ুব খান নিজে সিনেমা হলে আগত স্থানীয় সান্দারদের সুন্দরী মেয়েকে কুপ্রস্তাবসহ হাত ধরে। ঘটনা জানাজানি হলে সান্দারগণ জোট বেধে এসে চেয়ারম্যান আইয়ুব খানকে বেধম মারপিট করে। পরে গোপালপুর প্রশাসন তাহাকে সান্দারদের হাত থেকে উদ্ধার ও রক্ষা করে। ঘটনাটি গোপালপুর এলাকায় কাহারো অজানা নয়। সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর হইতে সন্ত্রাসী আইয়ুব খান হেমনগর রাজবাড়ীর খাস জমি, খাস পুকুর ও পরিত্যাক্ত জমির দখল নিয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন। তিনি নোংড়া ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একদিকে সরকারী খাস জমি উদ্ধারের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমিকে দ্বারা নোটিশ করান, অপর দিকে খাস জমি দখলকারের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ গ্রহণ করে জারীকৃত নোটিশ বন্ধ করান। সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস হইতে খাস জমি উদ্ধারের জন্য সময়ে সময়ে জারীকৃত নোটিশ গুলো যাচাই বাছাই করা হলে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে।

 

আরো পড়ুন…বিএমপি ডিসি’র নারীবাজী!

 

এই অভিযোগে বলা হয়েছে, একইভাবে চেয়ারম্যান আইয়ুব খান হেমনগর রাজবাড়ীর খাস জমি ও পুকুর ইজারা পাইয়ে দেয়ার নামে বিবিধ লোকের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। পরে তার চাহিদামত অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় প্রশাসনের সাথে আতাতঃ করে জমি ও পুকুর অন্যকে দিয়ে দেন। এরুপ ঘটনার স্বীকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুব হাসান টুটুল চেয়ারম্যানকে ১,৫০,০০০/- হাজার টাকা দিয়ে এবং হেমনগর হক ন্যাশনাল ক্লিনিকের মালিক চেয়ারম্যানকে দুই দফায় ৩,০০,০০০/- টাকা দিয়ে আজ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিতেছে। টাকা ফেরৎ চাওয়ার সাহস পর্যন্ত পাইতেছে না। সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে।

ভুক্তভোগি অভিযোগে বলেন, একইভাবে জমি পাইয়ে দেয়ার শর্তে আলোচ্য চেয়ারম্যান হেমনগর নিবাসী মরহুম গফুর নায়েবের ছেলে মঞ্জুর নিকট থেকে চেক দিয়ে ৩,২০,০০০/- হাজার টাকা গ্রহণ করে। অদ্যবদি জমি ও টাকা কোনটাই না দেওয়ায় মঞ্জুর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিতেছে। হেমনগরের জনৈক মাতুব্বার জনাব শামছুল হক ঘটনার সাক্ষী আছে এবং সঠিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে। তাহাছাড়া সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে।

তিনি আরো জানান, চেয়ারম্যান আইয়ুব খান তার নিজ এলাকা নলিন বাজার হতে প্রতি মাসে নানা কৌশলে দোকান মালিকদের নিকট থেকে চাদা বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করিয়া আসিতেছেন। কথামত চাদা না দিলে সন্ত্রাসী বাহিনীদের দ্বারা নানা অভিযোগে দোকান বন্ধ করে রাখেন। গোপন তদন্তের মাধ্যমে নলীন বাজারের ব্যবসায়ীগণকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে। হেমনগর ইউনিয়নের সকল জনতা চেয়ারম্যান আইয়ুব খানকে অন্তর থেকে ঘৃণা করেন। কিন্তু নরপশু আইয়ুব খান বংশগতভাবে খুনি ও সন্ত্রাসী হওয়ায় প্রকাশ্যে তাহার বিরুদ্ধে কেহই মুখ খুলতে পারছে না। সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে। চাঁদাবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খান নলিন বাজারে অবস্থিত নিরাময় ক্লিনিক হতে মাসে মাসে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে চাঁদা আদায় করিত। হঠাৎ করে মালিক চাদা দিতে অস্বীকার করায় চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা সাংবাদিক ডেকে এনে ক্লিনিকটি ৪ মাস বন্ধ রাখেন। সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে।

 

আরো পড়ুন…এক রহস্যময় নারী হেলেনা জাহাঙ্গীর!

 

অভিযোগে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজ চেয়ারম্যান আইয়ুব খান হেমনগর হক ন্যাশনাল ক্লিনিকের সামনে সরকারী পরিত্যাক্ত জায়গায় ফুলের বাগান করার জন্য মালিকের নিকট থেকে দুই বৎসর পূর্বে ১,৫০,০০০/- হাজার টাকা গ্রহণ করে। ২০২০ সনে চেয়ারম্যান আরো ১,০০,০০০/- লক্ষ টাকা দাবী করে। ক্লিনিক মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করায় চাঁদাবাজ চেয়ারম্যান গত ২৭/৪/২০ ইং তারিখে গোপালপুরের সহকারী কমিশনার ভুমিকে সাথে আনিয়া ফুলের বাগানটি ভেংগে তছনছ করে দিয়ে যান। বাগান ভাংগার প্রাক্কালে চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা বাগানের আনুমানিক ১,৫০,০০০/- হাজার টাকার লোহার গ্রীল, ইট ও অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান। চেয়ারম্যান ক্লিনিক মালিককে শত শত লোকের সামনে ডেকে নিয়ে ১,৫০,০০০/- হাজার টাকা চাঁদার কথা অস্বীকার করার এবং সর্বপরি মালিকের বক্তব্য ভিডিও করে ফেইজ বুকে ছেড়ে দেন। সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান আইয়ুব খান চাহিদামত চাঁদা না পাওয়ার অক্রোশে হেমনগর হক ন্যাশনাল ক্লিনিকের মালিককে প্রাণে মারার জন্য গত ৬/৫/২০ ইং তারিখ বিকাল ৪-৩০ ঘটিকায় হোন্ডা যোগে ৩ সন্ত্রাসীকে ক্লিনিকে পাঠান। সন্ত্রাসীরা ক্লিনিক মালিককে অফিস কক্ষে একা পেয়ে ধাড়ালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। ক্লিনিক মালিকের ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটিয়া আসিলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার আলোকে থানায় এজাহার দায়ের করা হলে সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান তার দলভুক্ত সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রশাসনকে চাপ প্রদান পূর্বক মামলা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করিয়া আসিতেছে। ক্লিনিকের সিসি ক্যামেরায় সন্ত্রাসীদের যাবতীয় হত্যা মিশনের রেকর্ড সংরক্ষিত থাকিলেও চেয়ারম্যান ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা করিয়া আসিতেছেন। ক্লিনিকে রক্ষিত সি সি ক্যামেরার রেকর্ড ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করিবে।

 

আরো পড়ুন…বায়ো ট্রেড ‌একটি অভিষাপ্ত ঔষধ কোম্পানী!

 

ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, বিগত ১০/৫/২০ তারিখে আলোচ্য চাঁদাবাজ চেয়ারম্যান গোলপেচা নিবাসী মরহুম শামছুল হক মন্ডলের ছেলে বাবুর নিকট থেকে জমি রক্ষার জন্য ২,০০,০০০/-লক্ষ টাকা এবং বাবুর প্রতিপক্ষ আপন মা কদভানুর নিকট থেকে ২,০০,০০০/- লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। চেয়ারম্যান নোংড়া ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মা ও ছেলের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি করিয়া তরকিত জমির ধান কাউকে কাটিতে দিতেছে না। উভয় পক্ষ সারাক্ষন চেয়ার ম্যানের পিছনে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য ঘুরিতেছে। সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হইবে।

সর্বশেষ অভিযোগে বলা হয়েছে, হেমনগর ইউনিয়নের প্রত্যেক নাগরিক সন্ত্রাসী ও নরপশু চেয়ারম্যানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ভিতরে ভিতরে চাপা ক্ষোভ নিয়ে মুক্তির রাস্তা খুজিতেছে। সকলের এক দাবী আইয়ুব খান কবে যাবি। বঙ্গ বন্ধুর সোনার বাংলায়, রাজাকারের স্থান নাই।

অভিযোগকারী উল্লেখ করেন, গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তের মাধ্যমে গোপালপুর থানার হেমনগর ইউনিয়নের স্বরণকালের দূর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, মামলাবাজ ও সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান আইয়ুব খানকে দেশ ও জনগণের স্বর্থে জরুরী ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান পদ হতে বহিষ্কার করণসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।