ফয়জুল বারী (রুবেল), ভোলা: ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক ধসে হুমকির মুখে সদর উপজেলা। ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট ও এর নিকটবর্তী এলাকায় উজানের পানির চাপে সিসি ব্লক ধসে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করলেও সন্তুষ্ট নয় এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে নতুন করে সিসি ব্লকের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে সিসি ব্লক ধসের কারণ হিসেবে উজানের পানির চাপের সাথে ডুবো চড়কেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য যে, সর্বশেষ ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নকে শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় এনে প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার নদী কুলভর্তি ভাঙ্গন এলাকায় সিসি ব্লকের বেষ্টনী দেওয়া হয়। এতে করে স্বস্তিতে ছিল কয়েকশো পরিবার,। বর্তমানে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিশেহারা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে আশ্বস্ত করেন সিসি ব্লক ধসের স্থানগুলোতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর মাধ্যমে ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সরকারের শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতলি ”আলাপন রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার” থেকে শুরু করে মুন্সি বাড়ি (”শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্র”) পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় সিসি ব্লক স্থাপনের প্রস্থ ৩৪ মিটার থেকে ধসে প্রস্থের পরিমাণ বর্তমানে এক থেকে দেড় মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। বিগত দিন জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও স্বস্তিতে নেই স্থানীয় বাসিন্দারা। নৌকার নোঙ্গর ও লগির আঘাতে অথবা যে কোন ভাবে জিও ব্যাগ ফেটে গেলে বালি বেরিয়ে যায় এবং এর কার্যকারিতা বিলীন হয়ে যায় বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের মতে, জিও ব্যাগ এর মাধ্যমে ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করাটা হলো জরুরী ভিত্তিতে অস্থায়ী সমাধান। পাউবো এর কাছে এলাকাবাসী স্থায়ী সমাধান হিসেবে নতুন করে সিসি ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ভেঙে যাওয়া অংশগুলোতে প্রতিস্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন।
‘নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বসুন্ধরা শুভ সংঘের সবজির বীজ প্রদান’
এ বছর এক একর জমিতে ব্যাংক লোন করে সবজি চাষ......বিস্তারিত