রাত পোহালেই দরজায় কড়া দিবে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় করে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে উল্লাসে ভাসছে সমগ্র দেশ ও জাতি। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র চলছে বর্ষ বরণের প্রস্তুতি।
প্রতিবছরের মতো এবারও গান, কবিতা ও নানা আয়োজনে রাজধানীর রমনা বটমূলে নববর্ষকে বরণ করবে ছায়ানট। শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নানা আয়োজনে সারাদিন উৎসবমূখর থাকবে রমনার বটমূল।
ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের প্রতিপাদ্য: ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’। এ অনুষ্ঠান ঘিরে তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে এখন চলছে মঞ্চ তৈরিসহ চূড়ান্ত প্রস্তুতি। রমনা যেন এক নতুন দিগন্তের সূচনায় ব্যস্ত।
জানা গেছে, পহেলা বৈশাখের প্রভাতে রমনার বটমূলে থাকবে ছায়ানটের ৩০টি পরিবেশনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আঁধার রজনী পোহালো’ অথবা ‘তোমার সুর শুনায়ে’র মতো জনপ্রিয় গানের সঙ্গে তারা রেখেছেন অতুলপ্রসাদের ‘ওরে বন, তোর বিজনে সঙ্গোপনে’র মতো দাদরা তালের গান। এ সবই একক সংগীত।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘নম নম নম বাংলাদেশ মম’ আর ‘আনো আনো অমৃত বারি’র পাশাপাশি থাকবে নিশিকান্ত রায় চৌধুরীর ‘অধরা দিল ধরা এ ধুলার ধরণিতে’। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবার শিল্পীদের অংশগ্রহণের সংখ্যা বেশি।
প্রায় ১৭০ জন শিল্পী এবার অংশ নেবেন। যারা গাইবেন, তারা দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার হয়ে এসেছেন। বর্ষবরণের আয়োজনের সবশেষে পরিবেশিত হবে জাতীয় সংগীত। তার আগে থাকবে বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী এবং ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সানজিদা খাতুনের নতুন বছরের আশীর্বাণী।
‘বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।......বিস্তারিত