TadantaChitra.Com | logo

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পর্যটন শিল্পে খরা কাটছে না

প্রকাশিত : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ১৭:২৩

পর্যটন শিল্পে খরা কাটছে না

স্টাফ রিপোর্টারঃ নানামুখী উদ্যোগের পরেও খরা কাটছে না দেশের পর্যটন খাতের। ইতঃপূর্বে ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হলেও পরের বছরগুলোতে যে গতিতে এ শিল্পটি এগোনোর কথা ছিল আদতে সেই ধরনের কোনো গতিই পায়নি পর্যটন খাত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন বছর আগে ২০১৬ সালের পয়লা জুলাই গুলশানের হোলে আর্টিজান রেস্তোরাঁয় বন্দুকধারীদের হামলার পর আশঙ্কাজনক হারে কমে যায় বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা। গত তিন মাস ঢাকায় ডেঙ্গু আতঙ্কেও কমেছে বিদেশীদের আগমন। তবে সব বাধা কাটিয়ে দেশের পর্যটন বিকাশের জন্য ২৫ বছর মেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নও তা বাস্তবায়নের পথে ইতোমধ্যে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এ খাতের নানা প্রতিবন্ধকতার কথা। নিরাপত্তা, যোগাযোগ, আবাসন, খাবার-দাবার ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে রয়েছে পর্যটকদেরই অনেক সমস্যা ও অভিযোগ। তবে অন্যতম অভিযোগটিই হলো রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানজট ও ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা। অতি সম্প্রতি বিদেশীদের চাহিদার প্রধানতম আবাসিক এলাকা তথা সোনারগাঁও হোটেল ও হোটেল রূপসীর সামনের সড়কে মেট্রোরেলের কাজের জন্য যানচলাচল সীমিত করা হয়েছে। ট্যুর অপারেটরদের পরিসংখ্যানও বলছে দুই বছর আগের তুলনায় দেশে এখন পর্যটকদের সংখ্যা অনেক কমেছে।

২০১৬ সালের পয়লা জুলাই রাতে গুলশানের হোলে আর্টিজানে হামলায় বেশ কয়েকজন বিদেশী নাগরিক নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশ ভ্রমণে পর্যটকদের সতর্ক করে বিভিন্ন দেশ। সেই বছরেই উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় বিদেশী পর্যটক। বাংলাদেশের বেসরকারি বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের দেয়া পরিসংখ্যানেই দেখানো হয়েছে তখন পর্যটকও কমেছিল অনেক।
এরপর চলতি বছরের গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ঢাকাসহ সারা দেশেই ডেঙ্গুর বিস্তারে অনেক বিদেশী পর্যটক বাংলাদেশে আসতে রাজি হননি। বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন আমাদের নিজস্বভাবে কয়েকটি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েও শেষ পর্যন্ত সেগুলো স্থগিত করতে হয়েছে। কেননা অনেক বিদেশী অতিথি আমাদের কাছে ডেঙ্গুর বিষয়ে জানতে চেয়ে পরে অনুষ্ঠানই স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে দেশে সার্বিকভাবে বিদেশী পর্যটক কী হারে কমছে এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই জাতীয় পর্যটন সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) কাছে। এ প্রসঙ্গে বিমান ও পর্যটন সচিব জানান, বিদেশী পর্যটকের সঠিক পরিসংখ্যান এ মুহূর্তে নেই। পুলিশের বিশেষ শাখা ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে বিদেশীদের হিসাব রাখলেও তাদের কাছ থেকে সব তথ্য পাওয়া যায় না। তাই পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে এ পরিসংখ্যান তৈরির নতুন উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।
‘অ্যাডভান্সড প্যাসেঞ্জারস ইনফরমেশন সিস্টেম’ (এপিআইএস) নামে নতুন একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে বিদেশী পর্যটকদের পরিসংখ্যান তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দেশে এখন পর্যটকদের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বাড়ছে। বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি দেশের অনেকেই ছুটি কাটাতে দেশের অভ্যন্তরে দর্শনীয় স্পটগুলোতে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে যান। এই চিত্র কয়েক বছর আগেও তেমন চোখে পড়ত না। মানুষের আয় বেড়েছে, সেই সাথে বেড়েছে খরচ করার মানসিকতাও। অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে শুধু বিদেশী নয়, দেশীয় পর্যটকরা আগ্রহ পাবে। পর্যটন বিকাশে আগ্রহী বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আর্থিক প্রণোদনাসহ ব্যাংকের ঋণের সুবিধাও নিশ্চিত করা দরকার বলে তিনি জানান।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।