ইসমাইল হোসেন টিটু: দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর (বাবু বাজার ব্রীজ) অর্ধেক অংশ জুড়েই অবৈধ সিএনজি, বাস, লেগুনা দখলে । যার ফলে গুরুত্বপূর্ন এই সেতুতে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজট। এতে যেমন মানুষ দুর্ভোগের শিকার তেমনি মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকে স্বজনরা, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান কর্মঘন্টা।
এ বিষয় নয়াবাজার ট্রাফিক বক্সের টি আই ইসমাইল মোবাইল ফোনে বলেন, অবৈধ সিএনজি দেখলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি সব সময়। সিএনজি স্ট্যান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
রবিবার সরেজমিনে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুতে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর দুপাড়েই লম্বা লাইনে সিরিয়ালে দাড়িয়ে আছে সিএনজি। প্রতিটি গাড়ির সামনেই একটা নির্দিষ্ট স্টিকার/সিরিয়াল নাম্বার লাগানো আছে। ব্রীজের দুপারেই গোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। অথচ তারা যেন দেখেওে দেখছে না।
খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণের চাঁদার বিনিময়ে এ সকল সিএনজির চালকদের লাইন কিনতে হয়। এ লাইন কিনার বিনিময়ে তারা প্রতিদিন বাবু বাজার ব্রীজের এইপার থেকে ব্রীজের ঐ পার যাত্রী পাড় করতে পারেন। একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর টাকা দিয়ে আবার রিন্যু করতে হয় তাদের। প্রভাবশালী একটা মহল সিন্ডিকেট তৈরী করে মূলত এই লাইনটি নিয়ন্ত্রন করে। জানা গেছে প্রতিদিন প্রতিটি সিএনজি প্রতি দৈনিক দুইশত টাকা করে চাঁদা দিতে হয় সিএনজি চালক সুমন ও মামুন রুবেলের কাছে জানতে চাইলে কিভাবে চালাচ্ছেন এসব সিএনজি তারা জানান প্রতিদিন ৩৮০ থেকে ৪০০ সিএনজি এপার ওপার যাতায়াত করে। এভাবে ব্রীজ দখলের মাধ্যমে মাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারন জনগনকে।
ব্রীজের মাঝখানে সিড়িতে ঢাকা থেকে মাওয়াগামী বিভিন্ন কোম্পানীর বাসগুলো অবৈধভাবে থামিয়ে যাত্রী তোলে। এক একটি বাস কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দাড়িয়ে থাকে ব্রীজের মাঝে যার ফলে সৃষ্টি হয় জামজটের। এছাড়া ব্রীজের দুই পারেই অবৈধ ভাবে সিএনজি রাখার কারনে ব্রীজে চলাচলের রাস্তা অনেকটা সংকীর্ন হয়ে পরেছে ।
একটি যাত্রীবাহী বাসের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করছে অন্য সিএনজি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না বাসে যাতায়াতকারী সাধারন যাত্রী । সিএনজি মালিকদের দৈনিক টার্গেট পূরণ হলেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী চাকরিজীবী ব্যবসায়ী বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সাধারণ । নেই এসব সিএনজির কোন বৈধ কাগজপত্র। সরেজমিনে দেখা যায় বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু ব্রিজ এর উপর সারি সারি সিএনজির অবৈধ স্ট্যান্ড কেরানীগঞ্জের থেকে ব্রিজের প্রবেশের মুখে এবং ব্রিজের মাঝখানে ও নয়া বাজার সংলগ্ন অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড নৈরাজ্য দেখা যায় এর চিত্র।
অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড পরিচালনাকারী সালাম এর সাথে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেরানীগঞ্জে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী দুইজন নেতার ইশারায় এই স্ট্যান্ড চলে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড বিষয়ে প্রতিমাসে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সবাই আমরা তুলে ধরি কিন্তু কেন এই বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এর সমাধান হওয়া উচিত।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত