TadantaChitra.Com | logo

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যারা দম্ভ দেখায়, তাদের নির্মূল করতে হবে’- আবু বাক্কার সিদ্দিক

প্রকাশিত : আগস্ট ২৩, ২০১৯, ১৬:৩৫

‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যারা দম্ভ দেখায়, তাদের নির্মূল করতে হবে’- আবু বাক্কার সিদ্দিক

মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারঃ বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ২১ শে গ্রেনেড হামলা ঘটনায় আহত নিহতের স্মরণে আলোচনা সভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের (প্রস্তাবিত ইউনিট সভাপতি ) – আবু বাক্কার সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন- বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতাদের যতদিন নির্মূল করতে না পারব, ততদিন মানবাধিকার সমুন্নত করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যারা দম্ভ দেখায়, আইনকে চ্যালেঞ্জ করে- তাদেরকে নির্মূল করতে হবে। এটি একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও ২১ শে- আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আহত নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা উপলক্ষে ( প্রস্তাবিত ইউনিট সভাপতি আবু বাক্কার সিদ্দিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৩৩ নং ওয়ার্ড ( ইউনিট প্রস্তাবিত কমিটির ) এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ইউনিট প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারহান আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায়,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবু বাক্কার সিদ্দিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আতিকুর রহমান রাসেল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজু আহমেদ, রাসেল আহমেদ অপু, রায়হান আহমেদ, ওমর ফারুক, মো: হানিফ, আবরার হোসাইন প্রমুখ।

সভার শুরুতেই বাক্কার সহ উপস্থিত অন্যান্যরা ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তি ইলিয়াস রশীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আজ আমাদের নেতা ইলিয়াস রশীদের কারণে সংগঠন অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং সাংগঠনিক ভিত অনেক শক্তিশালী করতে ইলিয়াসরশীদ সক্ষম হয়েছেন। ইলিয়াস রশীদ এর মতো উক্ত ওয়ার্ডে সকল নেতাকর্মীদেরকে তাহার আদর্শের ভিত্তিতে তৈরি হতে হবে।
বাক্কার সিদ্দিক তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার নেতারা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বললেও বঙ্গবন্ধু, শিশু রাসেল, সুকান্ত বাবু এবং অন্তঃসত্বা আরজু মনির হত্যাকাণ্ড- নিয়ে কোনো মানবাধিকারের কথা বলেন না। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা বলেন।

আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, রক্তদান কর্মসূচি হলো একটি অনুপ্রেরণা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা। বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আমাদেরকে ঋণী করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠন করতে পারলে তার ঋণ শোধ এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

আবু বাক্কার সিদ্দিক আরও- বলেন, জাতির পিতা ক্ষমতার চেয়ে জনসেবা ও জনগণের পক্ষে আন্দোলনকে ভালবেসেছেন। একাত্তরে প্রমাণ হয়েছে জাতির পিতা চাইলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন; কিন্তু তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন।

বাক্কার শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে বলেন,- জাতির পিতা সংবিধানের চার মূলমন্ত্রের মধ্যে সমাজতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। ঠিক ওই সময়েই ঘাতকরা জাতির জনককে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা আমাদের মাঝে আছে। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে এনেছেন। বৈষম্যহীন ও অসাম্প্র্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে। কারণ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর কাছে অসীম ঋণে আবদ্ধ।

বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে ঘাতকের গুলিতে নিহত শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন ইউনিট নেতারা।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।