বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ এখন স্টিভ রোডস। ২০২০ পর্যন্ত মাশরাফি-সাকিবদের হেড কোচ হিসেবে সাবেক এ ইংলিশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটি চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। ২০১৯ ও ২০২০ সালের দুটি বড় আইসিসি ইভেন্টে হবে বাংলাদেশের নতুন হেড কোচের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। আগামী বছর ইংল্যান্ডে বসছে বিশ্বকাপ। তার পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর মধ্যেই রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। আগামী দুই বছরে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন রোডস। সেগুলোর মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জের একটি তালিকা করেছে ক্রিকইনফো
আত্মবিশ্বাসের সংকট: বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা লেগেছে গত বছরের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। তারপর তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ আরও হতাশ করেছে তাদের। মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি জয় কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছিল কিন্তু সেটা বেশিদিন টেকাতে পারেনি। সবশেষ আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের শোচনীয় লজ্জা পেতে হলো বাংলাদেশকে। কিন্তু টাইগারদের ২০১৫ সালের সে আত্মবিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনার কারিগর হতে হবে রোডসকে।
বেশি বেশি অ্যাওয়ে ম্যাচ: ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের উত্থানের অন্যতম কারণ ছিল অনেকগুলো হোম ম্যাচ। নিজেদের আঙ্গিনায় পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল তারা।
কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বেশির ভাগ ম্যাচ তারা খেলবে বিদেশে। মাশরাফি-সাকিবদের পরের সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। তারপর এ বছর এশিয়া কাপ খেলতে ভারত যাবে তারা। আর আগামী বছর নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সফর করবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো হলেও, দেশের বাইরে এখনও বড় সাফল্য নেই। ফলে দেশের বাইরে দলকে সাফল্যর দিকে নিয়ে যেতে হবে রোডসকে।
বোর্ড প্রধানের সংশ্লিষ্টতা: বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সমালোচনা, প্রশংসা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে বেশ স্পষ্টবাদী। অনেকেই এটাকে ‘হস্তক্ষেপ’ মনে করলেও নিজেকে সঠিক মনে করেন পাপন। দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে টিম মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেন তিনি। নির্বাচকদের দল বাছাই করার পরও খেলোয়াড় নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নেন। রোডসের জন্য কোচিংয়ের পাশাপাশি তার সামনে চ্যালেঞ্জ হবে বিসিবির সমর্থন ও বোর্ড প্রধানের ‘হস্তক্ষেপে’ ভারসাম্য রাখা।
ভালো করার স্বল্পমেয়াদি বাসনা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ আবির্ভাবে প্রশংসা কুড়ান তরুণরা, অভিভূত করেন সবাইকে। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা খুব বেশি খেলোয়াড়রা ধরে রাখতে পারে না। সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাব্বির রহমান তার অন্যতম উদাহরণ। রোডসকে নিশ্চিত করতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের ভালো করার ক্ষুধাটা টিকিয়ে রাখা।
ওয়ানডে খেলুড়ে দেশের তকমা: রোডস ভালো করেই জানেন বাংলাদেশ ওয়ানডেতে যতটা ভালো পারফরম্যান্স করে, টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টিতে ততটা নয়। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তিশালী দল গড়াই হবে রোডসের আরও একটি চ্যালেঞ্জ।
‘বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।......বিস্তারিত