TadantaChitra.Com | logo

৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় স্পিডবোটে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার!

প্রকাশিত : মে ০৮, ২০২১, ১০:৫৮

ভোলায় স্পিডবোটে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার!

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় অবৈধ স্পিডবোট ব্যবহার করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা ভোলা থেকে বরিশাল লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী সহ বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলে যাতায়াত করছে ।

জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে নয় বরং তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে চলাচল করছে এসব বোট। এমনকি ডেঞ্জার জোন বলে খ্যাত সাগর বা সাগর মোহনাও পাড়ি দিচ্ছে মানুষ। মাদারীপুর ট্রাজেডির পরও কানে পানি ডোকেনি প্রশাসনের। এসব বোটের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণও নেই তাদের।

মেঘনা-তেতুলিয়া আর বঙ্গোপসাগর বেস্টিত দ্বীপজেলা ভোলা থেকে অন্য জেলায় কিংবা জেলার অভ্যন্তরের মনপুরা, চর নিজাম, ঢালচর ও চর কুকরি-মুকরিসহ বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য নৌযান ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। অধিকাংশ রুটে লঞ্চ চলাচল করলেও কিছু রুটে যাতায়াত করতে হয় ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ট্রলারে।

এসব নৌযানে সময় বেশী লাগায় বহু মানুষ তাদের জরুরী প্রয়োজনে স্পিড বোটে যাতায়াত করছেন। অথচ বোটগুলোর সরকারি কোনো অনুমোদন নেই। যারা বোট চালাচ্ছে তাদেরও নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ। নেই বোট গুলোতে জীবন রক্ষাকারী কোন উপকরণ বা লাইফ জ্যাকেট। তাছাড়া উত্তাল নদী বা সাগর পাড়ি দেয়ার মতো ফিটনেসও নেই এসব স্পিডবোট গুলোর। স্পিডবোট গুলোর ধারণক্ষমতা কয়জন আর যাত্রী উঠছে কতজন সেগুলো দেখারও যেনো কেউ নেই। এতসব জেনেও প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোলা থেকে শত শত যাত্রী পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা এবং ভোলার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলে যাতায়াত করছেন এসব বোটে। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। লাহারহাট এলাকায় মারাও গেছে ২ জন। মাদারীপুরে মর্মান্তিক স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণহানির পরও থেমে নেই ভোলার স্পিডবোট গুলো।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষীপুর, তজুমুদ্দিন থেকে মনপুরা এবং বেতুয়া থেকে চর নিজাম ও ঢালচর এলাকার বিশাল নৌঅঞ্চল ডেঞ্জার জোন। এসময় সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের অনুমোদিত বিশেষ জাহাজ ছাড়া সাধারণ লঞ্চ চলাচল যেখানে নিষিদ্ধ সেখান ভোলার প্রায় ১২ টি ঘাট থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অন্তত দুই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। সেখানে উত্তাল সাগর পাড়ি দিচ্ছে মানুষ এসব বোটে।

এছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হচ্ছে বোটের চালক আর মালিকদের ইচ্ছামতো। তাদের দেখার জন্য সত্যিই যেনো কেউ নেই। ঝুঁকি নিয়ে কিভাবে এসব নৌ-যান চলাচল করছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে নৌ পুলিশ বলছে, কোনোভাবেই অবৈধ এসব স্পিডবোট চলতে দেয়া হবে না। আর বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, তাদেরকে শিগ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।