তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে এক ব্যাংক কর্মকর্তার প্রতারণায় একটি প্রতিবন্ধী পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে ও বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আর প্রতিবন্ধী পরিবারের এমন করুণ কাহিনীর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। প্রতারক মামুনুর রশিদ (রস) নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) পত্নীতলা শাখায় ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত রয়েছেন। ওদিকে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এ ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধী স্ত্রী বাদি হয়ে স্বামী মামুনুর রসকে বিবাদী করে রাজশাহী আদালতে নারী নির্যাতন ও যৌতুক প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা করেছেন। এছাড়াও চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল উপ-মহাব্যবস্থাপক, রাজশাহী কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগ, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), প্রধান কার্যালয়ে মামুনুর রসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতিবন্ধী স্ত্রী। অথচ অভিযোগের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে মামুনুর রসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৬ সালে তানোরের পাঁচন্দর ইউপির চাঁদপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা (২২) (প্রতিবন্ধী) ও নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলার হাড়পুর গ্রামের সুলতানুল আলমের পুত্র মামুনুর রশিদ (রস) রাজশাহী সিআরপি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হয়। প্রশিক্ষণের সময়ে মামুনুর রস তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। এদিকে ২০১৭ সালের ২৪ জুন ২৫ হাজার টাকা দেনমোহরে মামুনুর রস তাকে বিয়ে করে ও ১৫ অক্টোবর এক তরফা তালাক দেয়। কিন্তÍ পরবর্তীতে আবারো মামুনুর রস ২৯ নভেম্বর মোহনপুর উপজেলার গোছা কাজি অফিসে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পরে প্রতিবন্ধী স্ত্রীর কৌটায় সে (রাকাব) -–এর ক্যাশিয়ার পদে চাকরি পায় এবং এই চাকরির জন্য প্রতিবন্ধী স্ত্রীর পরিবারের কাছে থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেয়। কিন্তÍ চাকরি হবার পর থেকে মামুনুর রস ওই পরিবারের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে এখন বিয়ের কথা অস্বীকার করছে। এব্যাপাওে ভিকটিম পরিবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিন তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আকুল আবেদন করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মামুনুর রস বলেন, একবার ২৫ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়েছিল, তবে সেই টাকা ফেরত দিয়ে তাকে ডিভোর্স দেয়া হয়েছে, পরে তারা আর বিবাহবন্ধনে অবদ্ধ হননি। তিনি বলেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য এসব করা হচ্ছে এমন আদালতে মামলা করেছে। এব্যাপারে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) উপ-মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক বলেন, মামুনুর রসের বিরুদ্ধে উঙ্খাপিত অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত