যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নিউজার্সির আইভি লিগ স্কুলে অনশন শুরু করেছেন। কয়েকটি দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপ দিতে গতকাল শুক্রবার (৩ মে) থেকে এ কর্মসূচি পালন হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসনের ভয়ভীতি ও দমন কৌশলের প্রতিবাদে অনশন করছেন তারা। খবর টাইমস নাউ।
ইসরাইলি দমনপীড়নে যুক্ত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের জোর দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো কী? অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যুদ্ধে জড়িত কীভাবে? বিনিয়োগ প্রত্যাহার কি আদৌ প্রভাব ফেলতে পারে? শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সবশেষ পরিস্থিতি কী?
ডাইভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ প্রত্যাহার বলতে এমন একটি প্রক্রিয়া বোঝায় যার মাধ্যমে রাজনৈতিক, নৈতিক বা আর্থিক কারণে একটি প্রতিষ্ঠান তার শেয়ার, সম্পদ বা অন্যান্য বিনিয়োগ বিক্রি করে দেয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের অর্থ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তহবিল থেকে যে সব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক বন্ধ করে দেয়া।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এই ডাইভেস্টমেন্টের দাবি যদিও নতুন নয়। প্রকৃতপক্ষে, বয়কট এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হল বিনয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ যেটি ইসরাইলকে দমাতে আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল, গাজা যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কোম্পানিগুলিকে বয়কট করার আন্দোলনের অংশ এটি।
শিক্ষার্থীরা কতদিন অনশন করবেন তা স্পষ্ট নয়। তবে অংশগ্রহণকারীরা ২৪ ঘণ্টা পালা করে অনশন করবেন। এ সময় তারা পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট ছাড়া কিছুই গ্রহণ করবেন না। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল সম্পর্কিত অনুদানের পরিমাণ প্রকাশ ও তা থেকে সরে আসা।
ইসরায়েলকে একাডেমিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পুরোপুরি বয়কট করতে হবে। পুরোপুরি সাধারণ ক্ষমার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। এর আগে ৩০ এপ্রিল প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ১২ জন ও প্রিন্সটন থিওলজিক্যাল সেমিনারি থেকে একজনসহ ১৩ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়।
এপ্রিলের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টানিয়ে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি ইসরায়েল এবং দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অনুদান নেওয়া বন্ধের দাবিতে সমাবেশ, মিছিল ও অনশন করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের এসব কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে হাজারো শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীকে।
প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। সেখানে দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। ইসরায়েলের এ আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২০২০ সালে মার্কিন শিক্ষার্থীদের বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের পর এটিই তাদের সবচেয়ে বড় আন্দোলন।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত