TadantaChitra.Com | logo

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘চীন সরকারের সহায়তায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন’: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : জুন ২০, ২০১৮, ১৭:৫৪

‘চীন সরকারের সহায়তায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন’: প্রধানমন্ত্রী

চীন সরকারের সহায়তায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সেলিনা বেগমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চীন সরকারের সহায়তায় গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র বেসিনে বন্যা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমীক্ষা সম্পাদনের জন্য প্ল্যানিং ফর ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।

তিনি বলেন, বিগত ৯ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ভিপিএফ খাতে ২০ লাখ ২৩ হাজার ২৭৬ দশমিক ৭৩৪ মেট্রিক টন শস্য ও ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭২ টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওর এলাকায় আগাম বন্যার কবল হতে ফসল রক্ষা তথা সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ৪ শত ২৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কালনী-কুশিয়ারা নদী ব্যবস্থাপনা’, ৫ শত ৮৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ ও ৯ শত ৯৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘হাওর বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পসমূহের আওতায় বিদ্যমান ডুবন্ত বাঁধসমূহের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ হাওর এলাকার নদ-নদীসমূহের ড্রেজিং এবং অভ্যন্তরীণ খালসমূহ পুনঃখননের কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন।

শেখ হাসিনা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের উপর দিয়ে ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদীসহ (৫৪টি ভারত হতে এবং ৩টি মিয়ানমার হতে) সর্বমোট ৪০৫টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ বৃষ্টিপাত বর্ষকালে সংঘটিত হয়। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বেসিনের পানি প্রবাহের সঙ্গে নেমে আসা বিপুল পরিমাণ পলি নদ-নদী ও অন্যান্য জলাধারসমূহের পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং ভরাট করে ফেলে। ফলে প্রায় প্রতিবছরই বন্যা দেখা দেয়।

তিনি বলেন, বিগত ৯ বছরের বন্যা-দুযোর্গ মোকাবেলায় ৯০২ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ও ৮৯৬ কিলোমিটার নদ-নদী ড্রেজিং ও খনন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান নদী যমুনা, গঙ্গা/পদ্মা নদীর ভাঙন ও বন্যা রোধে সরকার ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক রিস্ক ম্যানেজম্যান্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম শীর্ষক একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের ৩টি পর্যায়ে মোট ৫৭ কিলোমিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ, ৮৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৮ কিলোমিটার তীর প্রতিরক্ষা কাজ, ২৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ও ৭টি রেগুলেটর নির্মাণ/ মেরামত কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় বন্যা কবলিত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে ১ হাজার ২০০ মেট্রিকটন জিআর চাল, ২২ লাখ জিআর ক্যাশ, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১ হাজার বান্ডেল ঢেউটিন এবং গৃহ নির্মাণের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। এ সব স্থানে বাঁধের উপর দিয়ে যাতে পানি প্রবাহিত না হয় সে লক্ষ্যে প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাটি/বালির বস্তা স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল’ থেকে কমিশনার, সিলেট বিভাগের কাছে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে ব্যবহারের জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হবে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।