TadantaChitra.Com | logo

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গোপালগঞ্জের আক্কাছ আলীর অপরাধের পাহাড় : অবৈধ ভর্তি বানিজ্যের মুল হোতা

প্রকাশিত : জুন ২১, ২০১৮, ১৭:০৭

গোপালগঞ্জের আক্কাছ আলীর অপরাধের পাহাড় : অবৈধ ভর্তি বানিজ্যের মুল হোতা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : জাতির পিতার নামাস্কিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬ বছরের একাডেমিক কার্যক্রমে ৭টি অনুষদ এবং ২টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩১টি বিভাগ নিয়ে এখন দক্ষিণ বাংলায় সর্র্ববৃহৎ বিদ্যা পিঠে পরিনত হলেও বর্তমানে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা, অত্যাধিক শিক্ষার্থী চাপ এবং ভর্তিতে অনিয়ম অর্থ বানিজ্য অযোগ্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ এবং উপাচার্যের চারিত্রিক দুর্বলতা ও স্বেচ্চাচারিতা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রমকে মারাতœক ভাবে ব্যাহত করছে। যার কারনে বিভিন্ন বিভাগ গুলোতে শিক্ষার মান কেমন হচ্ছে তা সহজে অনুমেয়।
সম্প্রতি সময়ে প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা, অত্যাধিক শিক্ষার্থী চাপ এবং ভর্তিতে অনিয়ম অর্থ বানিজ্য অযোগ্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ এবং উপাচার্যের চারিত্রিক দুর্বলতা ও স্বেচ্চাচারিতার কারনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি ভিসির অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন।
বশেমুরবিপ্রবির সিএসই বিভাগের সভাপতি আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ ভর্তি বানিজ্যের মুল হোতা তিনি। এছাড়াও কোন সিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তার সকল অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বীর দর্পে।
আক্কাছ আলীর অবৈধ নিয়োগ: স্মারক নং বশেমুরবিপ্রবি/র/নিয়োগ/২৬-২৯/৫৪৬(৫) এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সিএসই বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই মাস্টার্স ডিগ্রীধারী হতে হবে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার মো: আক্কাছ আলী শুধুমাত্র বিএসসি ডিগ্রী দিয়েই উপাচার্য ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের মাধ্যমে অবৈধ সহযোগীতায় প্রভাষক পদে যোগ দান করেন এবং অধিকাংশ সময় ভিসি দপ্তরেই অবস্থান করেন (বিশেষ করে অফিস ছুটির পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত)।
আক্কাছ আলীর সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি: বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের মাত্র তিন মাসের মাথায় ইঞ্জিনিয়ার মো: আক্কাছ আলী প্রশাসনের সাথে আতাত করে মাস্টার্স ডিগ্রী না থাকা সত্বেও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতি নীতিমালার পরিপন্থী। সে প্রশাসনের সাথে গোপনে গোপনে সখ্যতা আরও বৃদ্ধি করতে থাকেন। সেই সাথে বিভাগের বেশ কিছু শিার্থীকে পরীায় নম্বর অস্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে দিয়ে তাদের হাতে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন বলে যার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
আক্কাছ আলীর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ: সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির পর আক্কাছ স্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সিনিয়র শিকের নামে প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটাতে থাকেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিভাগের জেষ্ট্য একজন শিককে ডিঙ্গিয়ে চেয়ারম্যান পদটিতে পদায়ন পাওয়া। এই পরিকল্পনা মোতাবেক ওই সময়ে থাকা বিভাগের চেয়ারম্যান শিা ছুটিতে গেলে আক্কাছ আলী সিনিয়র না হওয়া সত্বেও ভিসির একান্ত আস্থা ভাজন হওয়ার কারনে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান পদে আসিন হন।
আক্কাছ আলীর মাস্টার্স ডিগ্রী ও পিএইচডি ডিগ্রী লাভ: আক্কাছ আলী নিজের নিয়োগ ও পদোন্নতিকে বৈধতা দানের এবং পিএইচডিতে ভর্তির জন্য তার মাস্টার্স ডিগ্রী খুব জরুরি হয়ে পড়ে। যার ফলশ্রæতিতে, বিভাগের পার্ট টাইম শিক ও তার হাতে নিয়োগ পাওয়া তারই বিভাগের (চুয়েট) ছোট ভাইদের সমন্বয়ে পরীা কমিটি গঠন করেন এবং একজন পার্ট টাইম শিককে কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করেন।
উক্ত পরীা কমিটির একজন পার্ট টাইম শিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আক্কাছ আলী তার পরীা সংক্রান্ত সকল কাজই (প্রশ্ন করা, খাতা মূল্যায়ন, ইত্যাদি) নিজে পরিচালনা করেন এবং তাদের কাছ থেকে শুধুমাত্র স্বার আদায় করে নেন। এই ভাবে অবৈধ উপায়ে প্রশাসনের সহযোগীতায় মাস্টার্স ডিগ্রী লাভের পর এখন সে উপাচার্য নাসির উদ্দিনের মেয়াদে একই উপায়ে পিএইচডি ডিগ্রী লাভের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আক্কাছ আলীর আপন ছোট ভাইকে নিয়ে লুকোচুরি: আক্কাছ আলী ২০১৬-১৭ শিা বর্ষের ভর্তি পরীার প্রশ্ন মডারেশন কমিটির মেম্বার এবং রেজাল্ট প্রসেসিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। উক্ত শিা বর্ষে আপন ছোট ভাই মো: লিয়াকত মাতুব্বরকে ভর্তি করান। সেই সাথে ছোট ভাইয়ের বিভিন্ন কোর্সে কাস নেয়া, প্রশ্ন করা, খাতা মূল্যায়ন থেকে শুরু করে এমনকি পরীা কমিটির সভাপতিও ছিলেন। যা সম্পূর্ণ রুপে বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, আক্কাছ আলী তার অনুসারি শিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন আদায় করে ছোট ভাইকে পাইয়ে দেন এবং খাতায় বেশি নম্বর প্রদানের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। উল্লেখ্য যে, তার ছোট ভাই এখন তার শিা বর্ষে মেধা তালিকায় শীর্ষে।
এ সকল বিষয়ে মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ দ্রæত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন। তারা আশা করেন প্রধানমন্ত্রী তার ব্যাক্তিগত গোযেন্দা সংস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুর কমিশন দ্বারা সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। কোন অপশক্তিই যেন তার পিতার সমাধিসৌধের পাশে অধিষ্ঠিত তার স্বপ্নের এ বিদ্যানিকেতনের মর্যাদা ভূলুন্ঠিত করার ষড়যন্ত্রে সফল করতে না পারে। জাতির পিতার পূন্যভূমির ধূলিকণা সিক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এ বিশ্ববিদ্যালয় যেন বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।