TadantaChitra.Com | logo

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যেভাবে শুরু হয়েছিল কান চলচ্চিত্র উৎসব

প্রকাশিত : জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৬:১০

যেভাবে শুরু হয়েছিল কান চলচ্চিত্র উৎসব

মোঃ জিয়াউর রহমানঃ বহু বছর ধরে চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের মনোযোগের কেন্দ্রে কান চলচ্চিত্র উৎসব। এবার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের আগ্রহ আগের চেয়ে বেশি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর কারণে। শিল্পী, পরিচালকদের মিলনমেলায় পরিণত হওয়া এই আসরের পেছনেও আছে চমকপ্রদ ইতিহাস।

ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘মি. বিন’স হলিডে’ এর কথা মনে আছে? এই মুভিতে একটি লটারি জেতেন মি. বিন। লটারি থেকে দুইশ ডলার ও ভিডিও ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে কানে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার ভিডিও ক্যামেরায় ধরা পড়া উদ্ভট সব কর্মকা- দেখানো হয় একটি চলচ্চিত্র উৎসবে। এই উৎসবের নাম ছিল ‘কান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’।

এই উৎসবে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র রেহানা মরিয়ম নূর। আবদুল্লাহ রহমান সাদ পরিচালিত এই ছবিটি ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল বিভাগ ‘আঁ সাতের্ঁ রিগা’-এ জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ ঘিরে। অবশ্য তারেক মাসুদের ছবি ছিল প্যারালাল ক্যাটাগরি ‘ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইট’-এ। সে হিসেবে কানে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল চলচ্চিত্র এখন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। কেন এই উৎসবকে ঘিরে এত আয়োজন, উৎকণ্ঠা, আনন্দ তার সবকিছুর পেছনে আছে মর্যাদা ও সততার এক ইতিহাস।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের আদি জন্মস্থান মোটেই কান বা ফ্রান্স নয়। বরং এই উৎস আরও কিছুটা দূরে, ইতালির জলে ভাসা নগরী ভেনিসে। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই যে শহর আজ অব্দি বিস্ময়ের চেয়েও বড় বিস্ময়, সেখানেই পালিত হতো ইউরোপের প্রধান চলচ্চিত্র উৎসব। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তো বটেই, সে সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও পরিচালকরা হাজির হতেন এই চলচ্চিত্র উৎসবে। সপ্তাহব্যাপী দেখানো হতো একের পর এক চলচ্চিত্র। ইংরেজি ভাষায় ‘ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ নামে পরিচিত এই চলচ্চিত্র উৎসবের আসল নাম ছিল “দেলা মেসত্রা ইন্তারন্যাশনালে দার্তে সিনেমাটোগ্রাফিকা দি ভেনিজিয়া”। বেশ ভালোভাবেই চলছিল এই চলচ্চিত্র উৎসব। ইউরোপের রাজনীতিতে একসময় বড় কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করে। জার্মানিতে তখন চ্যান্সেলর হয়ে এসেছেন অ্যাডলফ হিটলার। ইতালির শাসক বেনিতো মুসোলিনি। দুজনেই নিজ নিজ দেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একনায়কতন্ত্র। আদর্শগত মিল থাকার কারণে দুজন বেশ ভালো বন্ধুও ছিলেন।

হিটলার-মুসোলিনির এই বন্ধুত্ব প্রভাব ফেলল সবক্ষেত্রেই। এমনকি ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও। ১৯৩৮ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উত্তাপ কিছুটা টের পেতে শুরু করেছে ইউরোপ। এর ঠিক দুই বছর আগেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিকের আয়োজন করেছিল হিটলারের দেশ জার্মানি। রাজধানী বার্লিনে আয়োজিত সেই অলিম্পিক আজও নানাবিধ বিতর্কে মুখরিত। বন্দুকের নলের মুখে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীকে হারতে বাধ্য করেছিলেন হিটলার। পুরো ইউরোপ তখনো এই অলিম্পিক নিয়ে ভীষণ রকমের ক্ষিপ্ত। কিন্তু সেই বার্লিন অলিম্পিকের পক্ষেই একটা ডকুমেন্টারি দাঁড় করিয়ে ফেললেন জার্মান পরিচালক লেনি রাইফেনশাল। অলিম্পিয়াড নামের সেই ডকুমেন্টারির পরিচালক এবং প্রযোজক দুই-ই ছিলেন লেনি। সেইসঙ্গে আরেকটি বিতর্কিত চলচ্চিত্র ‘লুসানো সেররা, পিলোটা’ আসে উৎসবে অংশ নিতে। যুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন গোফ্রেডো আলেসান্দ্রিনি।

১৯৩৮ সালের জুলাই মাস। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের শেষদিন। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে দৃশ্যপটে হাজির হলেন হিটলার ও মুসোলিনি। শেষ মুহূর্তে বদলে ফেলা হয় ফলাফল। পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করা হয় ‘অলিম্পিয়াড’ এবং ‘লুসানো সেররা, পিলোটা’ এর নাম। উপস্থিত সবার চোখ কেবল কপালে ওঠা বাকি। কারণ পুরস্কারের জন্য কোনোভাবেই যোগ্য ছিল না এই দুই চলচ্চিত্র। শুরু হলো ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে নতুন বিতর্ক।

নতুন সূচনা

১৯৩৮ সালে ব্যাপক আকারের কারচুপির পর নড়েচড়ে বসলেন ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন আর মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালকরা। সিদ্ধান্ত এলো, নাজি বাহিনীর প্রভাব আছে এমন কোনো চলচ্চিত্র উৎসবে আর নিজেদের কাজ জমা দেবেন না তারা। ফ্রান্সের কূটনীতিক ও ইতিহাসবিদ ফিলিপ এরলিঙ্গার জানতেন, তাকে একটি ‘মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এমন এক উৎসব, যেখানে প্রতিযোগী বা আয়োজক অথবা কোনো শাসকের প্রভাব একেবারেই থাকবে না। নিশ্চিত করতে হবে নিরপেক্ষ জুরি বোর্ড, যারা নিজেরা একমত হওয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করবেন উৎসবের সেরা চলচ্চিত্রের খেতাব। কাজটা খুব বেশি কঠিন ছিল না। ফ্রান্সের সেই সময়ের শিক্ষা ও চারুকলা মন্ত্রী জিন জেই এক বাক্যে রাজি হয়ে গেলেন নতুন ধরনের এই উৎসবের জন্য। সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর একমাত্র ভাবনা ছিল কোথায় হবে এই চলচ্চিত্র উৎসব।

স্থান নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই কারণে। প্রথমত, এই চলচ্চিত্র উৎসবের আগের উৎস ছিল ভেনিস। ভেনিসের সৌন্দর্য শুরু থেকেই অতুলনীয়। তাই নতুন উৎসব কেন্দ্র যেন ঠিক সে পরিমাণ সৌন্দর্যম-িত হয় তা মাথায় রাখা আবশ্যক ছিল। এছাড়া বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আভিজাত্যের সঙ্গেও আপস করার সুযোগ ছিল না ফ্রান্সের সামনে। যাচাই প্রক্রিয়ায় উঠে এলো একাধিক নাম। ডজনখানেক নাম উঠে এলেও শেষ পর্যন্ত ভেনিসের সঙ্গে মিল থাকায় টিকে রইল দুটো শহর। বিয়ারিৎজ ও কান। শুরুতে অবশ্য এই দুই শহরের মধ্যে বিয়ারিৎজই নির্বাচিত হয়। বিয়ারিৎজ বেশ আগে থেকেই সাগরপাড়ের এক অসাধারণ শহর হিসেবে গড়ে উঠেছিল। সম্রাট নেপোলিয়ান এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনের প্রিয় অবকাশ কেন্দ্র ছিল বিয়ারিৎজ। তাই এই শহরেই ‘বিয়ারিৎজ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

তবে মর্যাদার প্রশ্নে বিয়ারিৎজের কাছে হার মানতে মোটেই রাজি ছিল না কান। কানের স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, অতি দ্রুত শহরের সমস্ত কিছু বদলে ফেলা হবে। বিয়ারিৎজের মতো কানও ছিল সমুদ্র তীরের শহর। একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করে কান। কানের মূল সুবিধা ছিল, শহরের সবচেয়ে বিলাসবহুল কিছু রিসোর্ট বেশ আগে থেকেই ইউরোপের শোবিজ অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছিল। পরে শহরের আবাসন আর আতিথেয়তার দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া হয়। ১৯৩৯ সালের মে মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দেখা যায়, কানের সঙ্গে আভিজাত্যে পেরে ওঠা সম্ভব না বিয়ারিৎজের। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গেল কানের ঘরেই। ভ্যাটিকান থেকে সরে এসে নতুনভাবে নিরপেক্ষ যাত্রার শুরু করল কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।

বিশ্বযুদ্ধ ও একটি স্ক্রিনপ্লে

শহর নির্বাচন, নাম আর সরকারি অনুমোদন। ফ্রান্স সবই গুছিয়ে নিয়েছিল খুব দ্রুত। ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হলো কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম আসরের দিন। ঠিক একইদিনে শুরু হচ্ছিল বিতর্কিত মোসত্রা দি ভেনেজিয়া। ফ্রান্স একইদিন বেছে নিয়েছিল ভেনিসের কাছ থেকে দর্শক পুরোপুরি ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে। জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে ডাকা হয় লুই লুমিয়েরকে। ব্যক্তিগত জীবনে প্রকৌশলী আর শিল্পপতি হলেও লুই লুমিয়েরের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ফটোগ্রাফি আর সিনেমা জগতে। তবে সবকিছু যখন চূড়ান্ত, তখনই বাধে বড় বিপত্তি।

১ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড আক্রমণ করে বসে হিটলারের নাজি বাহিনী। আর এর ঠিক দুদিন পর ইউরোপকে ধ্বংস করার অভিযোগ তুলে ফ্রান্স এবং গ্রেট ব্রিটেন যুদ্ধ ঘোষণা করে জার্মানির বিরুদ্ধে। সেখানেই চাপা পড়ে যায় কান চলচ্চিত্র উৎসবের সবকিছু। কেবল একটিমাত্র স্ক্রিনপ্লে খুব ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা হয়। সেটা ছিল উইলিয়াম ডিয়েটারের চলচ্চিত্র কোয়াসিমোডো। প্রচারণার কোনো সুযোগ সেই সময় ছিল না। কেবলমাত্র প্যারিসে নটর ডেম ক্যাথেড্রালের সামনে একটি কাবার্ড বিলবোর্ড সাজানো হয়েছিল দর্শক আনার জন্য। তবে দর্শক সমাগম তেমন ঘটেনি। প্রাথমিকভাবে দশদিনের জন্য এই উৎসব বাতিল করেন আয়োজকরা। তাদের ধারণা ছিল, খুব দ্রুতই কেটে যাবে সব সংশয়। তবে তা সত্য ছিল না। পোল্যান্ড আক্রমণ থেকেই শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর একে একে পার হয় ছয়টি বছর।

প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসব

১৯৪৫ সালে শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। পুরো ইউরোপ তখন একটি ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই না। এমন অবস্থায় চলচ্চিত্র উৎসব করা নিছকই বিলাসিতা। আর ফ্রান্সের পক্ষে সেটা করার মতো আর্থিক সামর্থ্যও ছিল না। তবু হাল ছাড়লেন না ফিলিপ এরলিঙ্গার। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অল্প অল্প চাঁদা তোলা শুরু হলো।

অবশেষে ১৯৪৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আবার প্রস্তুত হয় কান। পরের তিন সপ্তাহের জন্য কান হয়ে ওঠে চলচ্চিত্রের শহর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবমেরিন আর সি-প্লেনের সাহায্যে জড়ো হন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সবকিছুই ছিল প্রচ- উৎসবমুখর।

উৎসব আয়োজনে কমতি না থাকলেও পুরো আয়োজন পরিকল্পনামাফিক হয়নি। কয়েকটি বাগানে একসঙ্গে চলচ্চিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করা হলেও অর্থসংকটে প্রজেক্টর সামলানোর জন্য ভাড়া নেওয়া হয় কেবল একজনকে। তাকে সাহায্য করার জন্য ছিল কেবল সেই বাগানগুলোর পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তাদের কেউই প্রজেক্টর, সিনেমার রিল সম্পর্কে কোনো খবরই রাখত না। ফলে পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে বারবার বিভিন্ন সিনেমার রিল একটা অন্যটার সঙ্গে মিশে যেত। মাঝপথেই দর্শকরা দেখতে পেতেন আচমকা চলচ্চিত্র বদলে গিয়েছে। তবে তা নিয়ে আক্ষেপ করেননি কেউ। ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করেছেন। আর এতসব গোলযোগের মাঝে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সময়সূচিও ঠিকভাবে মানা সম্ভব হয়নি।

পরের ভুলটা ছিল স্বয়ং আয়োজকদের। কানের ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা সে সময় এত বেশি সাড়া দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। ছবির সঙ্গে জড়িত পরিচালক, অভিনেতা আর অভিনেত্রীদের পাশে বিভিন্ন দেশের অভিজাত শ্রেণির মানুষরাও আসতে থাকেন দলবল নিয়ে। সামাল দেওয়া একেবারেই কঠিন। পর্দার ওপাশে লম্বা লাইন। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই ভেঙে ফেলা হয় সব নিয়মকানুন। সবাইকে স্বাধীনভাবে চলচ্চিত্র উপভোগের সুযোগ করে দেওয়া হয়। তবে এসবের মাঝেও কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি। দীর্ঘ ৬ বছরের যুদ্ধ শেষে এমন একটি বিনোদন আর মিলনমেলার জন্য মুখিয়েই ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষ। কান চলচ্চিত্রের প্রথম আসর সেই সুযোগটাই করে দিয়েছিল।

কান নিয়ে অভিযোগ করার অবশ্য সুযোগ ছিল না। জাতি, শ্রেণি আর সবরকম দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য অংশ নেওয়া সব ছবিকেই কোনো না কোনো বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যুদ্ধ শেষে এমন আয়োজনে অংশ নেওয়ায় এগারোটা ছবিকে একইসঙ্গে পুরস্কৃত করা হয়। সেই থেকেই শুরু হয় কান চলচ্চিত্র উৎসব।

এরপর থেকেই নিয়মিতভাবে প্রতি বছর কান আয়োজন করতে থাকে একটি নিরপেক্ষ চলচ্চিত্র উৎসবের। যেখানে হিটলার মুসোলিনির মতো স্বৈরশাসক বা কোনো সরকারের প্রভাব ছিল না। বছরের পর বছর ধরে কানের চলচ্চিত্র উৎসবের নিরপেক্ষতা সুনাম কুড়িয়েছে।

প্রচলন হয়েছে পাম ডি’অর পুরস্কারের। এই পুরস্কার নিয়ে কখনো অভিযোগ আসেনি। ধীরে ধীরে কান নিজেকে নিয়ে গিয়েছে অন্যতম উচ্চতায়। বর্তমানে কানে কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হওয়াটাই বড় সম্মানের। বাংলাদেশ থেকে সবশেষ এই সম্মানের অংশীদার হয়েছে রেহানা মরিয়ম নূর। অভিনেত্রী বাঁধনের চোখে আনন্দের অশ্রুটা ততক্ষণে বাংলাদেশের জন্য তৈরি করে ফেলেছে অন্যরকম এক ইতিহাস।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।