TadantaChitra.Com | logo

১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত : অক্টোবর ০৩, ২০২৩, ১৭:১০

ভোলায় ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

ফয়জুল বারী (রুবেল), জেলা প্রতিনিধি ভোলা: মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নিরাপদ প্রজননের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলে মাছ শিকার করে মজুদ, পরিবহন, ক্রয় ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এমনকি উভয় দন্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে৷ পাশাপাশি এই ২২ দিনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সহায়তা ভিজিএফ দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তবে সরকারের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেশের প্রকৃত সকল জেলেরা না পাওয়ার দাবি জানিয়েছে। এমনকি জেলে কার্ডের মাধ্যমে জেলে সনাক্ত করে যে ভিজিএফ কার্ড দেয়া হয় সেই কার্ডের চালের ভাগ স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জন প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করলে বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন। এবং সকল জেলেদের জেলে কার্ডের সমপরিমাণ ভিজিএফ বরাদ্দ হয় না তাই ভাগ করে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

২০০৩-২০০৪ সাল থেকে ঝাটকা রক্ষা কর্মসূচি শুরু হয় এবং ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির সুফল লাভের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সাল থেকে আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে মোট ১১ দিন মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। পরবর্তীতে অধিক সুফলের জন্য ইলিশ গবেষকরা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা পদে মোল্লা এমদাদুল্লাহ ১৮ জুন ২০২২ সালে যোগদানের পর থেকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবং অনেক সুনামও অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। নদীতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের খুটা জাল, মশারি জাল ও বাধা জাল থেকে শুরু করে সকল ধরনের নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল পুড়িয়ে দিয়ে জব্দকৃত ট্রলার নৌকা উন্মুক্তভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব খাতে অর্থের যোগান দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তবে মৎস্য অফিসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত স্পিডবোট চালক সুজন (মাঝি) নদীতে অভিযান চলাকালীন সময়ে জেলেদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময় মাছ শিকারে সহযোগিতা করে থাকেন এবং গ্রেপ্তারকৃত জেলেদের সর্বনিম্ন জরিমানায় ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশও করেন এমনটাই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

অভিযান ব্যতীত কিংবা চলাকালী সময় বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জেলেদের কাছ থেকে মাছ নেয়ার বিষয়টিও লক্ষণীয়। ভোলায় দীর্ঘদিন যাবত মৎস্য অফিসে চাকরির সুবাদে এই অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে সরকারের এই ইলিশের প্রজনন ব্যবস্থা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সুজনকে ভোলা থেকে অন্যত্র বদলি করার দাবি জানিয়েছেন নিষেধাজ্ঞা সমর্থনকারী জেলেরা।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।