TadantaChitra.Com | logo

৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্ত্রী ও প্রকল্পের দুর্নীতি ধামাচাপা:ডিজির অপকর্মে ডুবছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর!

প্রকাশিত : অক্টোবর ২২, ২০২৩, ০৭:৫২

স্ত্রী ও প্রকল্পের দুর্নীতি ধামাচাপা:ডিজির অপকর্মে ডুবছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর!

স্টাফ রিপোর্টার: ডিজি ডা: মো: এমদাদুল হকের নানাবিধ অপকর্মে ডুবতে বসেছে প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর। নিয়ন্ত্রণবিহীনভাবে যে যার মত চালােেচ্ছ প্রশাসিক কার্যক্রম। কোন প্রকার জবাবদিহিতার বালাই নেই। বহিরাগত লোক এনে অধিদপ্তরে বিশৃংক্ষলা পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করা হয়েছে।

একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা যায়, বর্তমান মহাপরিচালক ডা: মো: এমদাদুল হক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত থাকার পরেও গোপালগঞ্জে বাড়ী হওয়ার কারণে সিনিয়রকে ডিংগিয়ে ডিজি পদের চলতি দায়িত্ব বাগিয়ে নিঁযেছেন। ডিজির দায়িত্ব পাওয়ার পর হতে তিনি সব কিঁছু নিজের ইচ্ছামত করে চালাচ্ছেন। তিনি আথিক সুবিধা গ্রহনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত কয়েকশত করমচারীকে বদলী করেছেন। কয়েক’শ ব্যক্তিকে আউট সোর্সিং পদে নিয়োগ দিঁয়েছেন। এ খাতে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। আর এ সব অনিয়মের ভাগীদার হলেন ডিজির বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা পরিচালক (বাজেট) মো: আবু সুফিয়ান (সাবেক শিবির নেতা)।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ৩য় শ্রেনীর নিয়োগ বদলীর দায়িত্ব পরিচালক প্রশাসনের । কিন্তু পরিচালক প্রশাসন এ সকল বিষয়ে কিছুই জানেন না। ইতোপুর্বে আউট সোর্সিং নিয়োগের বেলায় নিয়োগাদেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কারণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর সাথে কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয় জনবল সরবরাহ করার জন্য। কিন্তু বর্তমান ডিজি ডা: মো: এমদাদুল হক যোগদানের পর হতে আউট সোর্সিং এর জনবলের নিযোগাদেশ দিয়েছেন তিনি নিজেই। যা সরকারী আদেশের পরিপন্থী এবং আর্থিক শৃংখলা বহির্ভূত। শুধুমাত্র আর্থিক সুবিধা গ্রহনের জন্য ডিজি এ কাজটি করেছেন বলে সুত্রটি জানায়। তবে মজার বিষয় হলো, নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ পরিচালক প্রশাসন এর মাধ্যমে হওয়ার কথা থাকলেও কাজটি করেছেন পরিচালক (বাজেট) ডা: আবু সুফিয়ান। কারণ পরিচালক বাজেটই সকল অপকর্মের হোতা।

অন্যদিকে ডিজি ডা: মো: এমদাদুল হকের সংগে বিভিন্ন বিষয়ে বনিবনা না হওয়ায় আর এক কর্মকতা পিডি ডা: মো: আজিজুল ইসলামের সাথে ডিজির মনোমালিন্য চরমে যা এখন “টক অব দা ডিপাটমেনট”। অধিদপ্তরের প্রভাবশালী কর্মকতা হিসাবে পরিচিত ডা: মো: আজিজুল ইসলামকে অন্যদের সাথে কথিত খারাপ আচরণ করার অপরাধে কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিঁয়েই বিধি বর্হিভুতভাবে মন্ত্রনালয়ের সচিবের মাধ্যমে সাময়িক কর্মচ্যুত করিয়ে পিডির পদ হতে অপসারন করিঁয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, ডিজি ডা: মো: এমদাদুল হক তার দীর্ঘ দিনের অপকর্মের সংগী ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী মো: জসিম উদদীনের মাধ্যমে অধিদপ্তরের বাইরে কর্মরত ১৬-১৭ কর্মচারীকে ডেকে এনে সদ্য অপসারিত পিডি ডা: মো: আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অফিস সময়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করিয়েছেন। উক্ত সমাবেশে ব্যবহ্রত ব্যানারে একজন সরকারী কর্মকর্তা (বিসিএস ক্যাডার) ডা: মো: আজিজুল ইসলামকে “সন্ত্রাসী” আখ্যায়িত করা হয়েছে। ব্যানারে এ ধরনের ভাষা ব্যবহারের জন্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা ক্ষোভ ও দু:খ প্রকাশ করেছেন।

সুত্রটি আরো জানায়, বর্তমান ডিজি ডা: মো: এমদাদুল হকের স্ত্রী সিরাজদিখান উপজেলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে কর্মচারীদের বেতন ভাতাদির ৩৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। তখন ডিজি এমদাদ ঢাকা জেলার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ডিজি ডা: মো: এমদাদুল হক কর্মচারীদের ডেকে নিয়ে শাসিয়ে বলেন. কেউ মূখ খুললে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হবে। ঐ সময়ে ঐ উপজেলার কর্মচারী মো: মাকসুদুর রহমান অধিদপ্তরে প্রেষনে এসিআর শাখায় কর্মরত ছিলেন। ঐ ৩৬ লক্ষ টাকার মধো মাকসুদেরও ৭.২০,০০০/ টাকা ছিল। বিষযটি তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুর রহমান জানতে পেরে ডা: এমদাদকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে এমদাদ ভয় পেয়ে যান এবং মাকসুদকে পরে ডেকে নিয়ে ৩,৫০,০০০/ টাকা পরিশোধ করেন। বাকী টাকা সহসাই দেয়ার কঁথা থাকলেও এ পর্যন্ত দেননি। ঐ সময়ের ডিজির নির্দেশে পরিচালক (প্রশাসন) ডা: আজিজুর রহমান তদন্ত করে যে প্রতিবেদন প্রদান করেন সেখানে বর্তমান ডিজির স্ত্রীকেই দায়ী করা হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তার পেনশন মঞ্জুর করেছেন।

সুত্রটি আরো জানায়, ডিজি গ্রেড-১ পাওয়ার লক্ষ্যে গোপালগঞ্জের নেতাদের দিয়ে তদবির করায় নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দুদুকের ছাড়পত্রের জন্য দুদুকে পত্র দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পরেও (দুদুকে অভিযোগ থাকায়) দুদুকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় সে পিডি ডা: মো: আজিজুল ইসলামকে দায়ী করে তাকে হেনস্থা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন এবং কর্মচারীদের দিয়ে ডা: আজিজের চরিত্রহানীতে লিপ্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ডা: আজিজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডিজি ডা: মো: এমদাদুল হকের বিষয়ে তার কোন মন্তব্য নেই। তবে কর্মচারীরা কথিত প্রতিবাদ সমাবেশের নামে যে মিটিং করেছে সেখানে অধিদপ্তরের কর্মচারীদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই একজন ছাড়া। তার নামে যে সকল কথা ব্যানারে লেখা হয়েছে তা মানহানীকর এবং ধৃষ্ঠতাপূর্ণ। তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন ।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিজি ডা: মো: এমদাদুল হকের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার সেল ফোনে বারবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। টেক্সট পাঠালেও কোন জবাব দেন নি।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।