TadantaChitra.Com | logo

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অতীতের তুলনায় পর্যটক কম

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩, ১৫:২৭

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অতীতের তুলনায় পর্যটক কম

থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত শহর কক্সবাজার সৈকতে ভিড় করছে হাজারো পর্যটক। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে জ্বল জ্বলে সূর্যকে বিদায় দিয়ে দিনটি স্মরণে রাখতে নিজের মোবাইল-ক্যামেরায় পরিবার পরিজনের ছবি তুলে রাখছেন অনেকে। তবে কত কয়েক বছরের তুলনায় পর্যটক একদমই কম। অনেকে ব্যবসায়ীর কপালে চিন্তার ভাঁজ। অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা ছেড়ে পালাতে হবে এমন কথা বলেছেন কেউ কেউ। সামনে নির্বাচন ঘিরে যে উত্তেজনা তা অনেকের মাঝেই কাজ করছে। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে এই নতুন বছর সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে আসতে পারেনি।

সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, মৃদু বাতাসে সৈকতের ইনানী বীচ ও সুগন্ধা বীচ সহ বিভিন্ন বীচ পয়েন্টে ঝাউবাগানের পত্রমালাও সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে দুলছে। গোটা সৈকতে জোয়ারে ভেসে আসা ছোট ছোট ঝিনুক যেন কার্পেটের মতো বিছিয়ে রয়েছে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে। সাগরের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট পর্যটকবাহী ওয়াটার বাইক, স্পিডবোট, ট্রলার, লঞ্চ ও ডিঙি নৌকা। এদিকে সাগরের পাড়ে আগত পর্যটকরা কেউ ঘোড়ার পিঠে আবার কেউ খোলা জীপ ও বীচ বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ায়। কেউ কেউ জোড়ায় জোড়ায় সপরিবারের সমুদ্র পাড়ে বীচ চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছে। কেউ আবার প্যারাসেইলিং করে মজা নিচ্ছে। কোন কিছু বাদ দিয়ে মন খারাপ করতে চায় না পর্যটকরা। তাই সব কিছুই উপভোগ করে প্রতিটি বীচ স্পটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে সপরিবারে আসা ইরানী রহমান বলেন, আমরা একবার ভাবছি আসবো না। আবার অনেক চিন্তা করে পরিবার নিয়ে এসেছেও চিন্তা কাজ করছে। এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সন্তানদেরকে নিয়ে আসা ঠিক হয়নি। আল্লাহ আল্লাহ করে সুস্থ মতো ঢাকা ফিরতে যেনো পারি। আল্লাহ যেনো কোন অঘটনের কবলে না পেলেন। সৈকত জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে এমন হতাশা আর আতঙ্কের ‍মাঝেও পরিবার-প্রিজনকে নিয়ে শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করতে এসেছি। অনেক ছবি তুলে রেখেছি আজকের দিনকে ঘিরে। চিন্তা ও হতাশা নিয়েও অনেক উপভোগ করেছি। সকালে ইনশাআল্লাহ ঢাকা ফিরবো। ঢাকা পৌছানো পর্যন্ত এই চিন্তা ও হতাশা থাকবে। বাকীটা আল্লাহ’র উপর।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনী ঢামাঢোল ও অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর পর্যটক কম। মাত্র ৩০ শতাংশ পর্যটক পেয়েছে, যা বর্তমান সময়ের জন্য লোকসানের। করোনার শুরু থেকে লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। মাঝে একটু আশার আলো দেখলেও পুরো বছর গেলো লোকসানেই। আগামী বছর কি হবে সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকছি। পরিস্থিতি খারাপ হলে অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিবে। যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে লোকসান গুণতে গুণতে পথে বসতে হবে। কত লোকসান দেয়া যায় এমন প্রশ্ন রাখেন ব্যবসায়ীরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার বলেন, বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে অনেক দর্শনার্থী ও পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল। আমরাও সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি। তবে আগের তুলনায় দর্শনার্থী ও পর্যটক অনেক কম।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।