TadantaChitra.Com | logo

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘বঙ্গবন্ধু’র নাম ভাঙ্গিয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের জমি জবর দখলের চেষ্টা

প্রকাশিত : নভেম্বর ১৪, ২০১৮, ১৮:৩৩

‘বঙ্গবন্ধু’র নাম ভাঙ্গিয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের জমি জবর দখলের চেষ্টা

*ভূমিদস্যু জুয়েলকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন ভূমিদস্যু চক্র * সরকার থেকে কেন ২০১৮ সালে লীজ নেননি? * আদালতে কেন না গিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন এরা!

তদন্ত চিত্রঃ রাজধানীর নবাবপুর রোড এলাকায় একটি হিন্দু পরিবারের জমিকে ঘিরে নানান ধব্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এই জমিটি নিয়ে প্রকৃত ভূমিদস্যুরা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদেরকে ভূমিদস্যু বানানোর পায়তার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী জানান, এই চক্রটি উত্তরা এলাকায় বসবাস করে নবাবপুর রোড এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের কোটি টাকা সম্পত্তি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই তারা নবাবপুর রোডস্থ  মালিকানা এই জমিকে সরকারে অর্পিত সম্পত্তি বলেও দাবী করে আসছে ভূমিদস্যু এই চক্রটি। জমিটি দখল করতে বঙ্গবন্ধু  শেখ মজিবুর রহমানের নাম ব্যবহার করে আসছে। দীর্ঘদিন এই জমিটি নিয়ে উচ্চ আদালতের মামলা চলমান থাকলেও তারা দাবী করে আসছে এই জমির মালিক সরকার। তারা সরকারের কাছ থেকে লীজও নিয়েছেন। তবে মামলা সংক্রান্ত সকল জঠিলতা যখন শেষ হয়েছে তখন সরকারও ২০১৮ সালের জন্য তাদেরকে লীজ প্রদান করে নাই। তবুও তারা লীজ নিয়েছে মর্মে দাবী করলেও এই সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখা পারছেন না। সরকার থেকে কেন ২০১৮ সালে লীজ নেননি?এমন প্রশ্নের কোন উত্তর নাই তাদের কাছে। মূলত জমিই তো সরকারের না তাই সরকার লীজ দিতে পারে নাই। তাদের সৎ সাহস না থাকার কারনেও তারা আদালতে স্বরনাপন্ন হতে পারছেন না। শহীদ বুদ্ধিজীবী সামছুল হক খানের আত্মীয় স্বজন হওয়ার সুবাদে তারা সেখানে খুশি সেখানে অভিযোগ করে বসছে। সমাজের সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদেরকে হয়রানী এবং সামাজিকভাবে সম্মান নষ্ট করতে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে ভূমিদস্যু আখিয়াত করে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। নব্য এই ভূমিদস্যুর নাম মোঃ আজহারুল হক খান, শামসুল হাসান খান ও তাদের ম্যানেজার নামধারী কে.এম শহিদুল্লাহ। উচ্চ আদালতেও বারবার বলা হয়েছে ২২১ ও ২২২ নবাবপুর রোড হোল্ডিং এর জমিটি অর্পিত সম্পত্তি নয়। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আপীল করেও লাভ হয়নি। সব আপীলই মালিকানা হিসাবে প্রমানিত হয়েছে। সাব জজ, হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের আদেশ যা বলা হয়েছে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হল।
সি এস পরচা, অনুযায়ী সম্পত্তির মালিক কালা চান্দ বসাক, পিতা: মৃত বৈঞ্চব চরন বসাক, সাং-২২১ ও ২২২ নং নবাবপুর (সি.এস.১৯২০)।
এস. এ পরচায় মালিক গোপীনাথ বসাক, পিতা: কালা চান্দ বসাক ও রাঁধা রানী বসাক জং কালা চান্দ বসাক, সাং- ২২১ নং নবাবপুর রোড।
দলিল নং-৭৪৬২-৭৪৬৩, তারিখ- ১৫/০৯/১৯৫৩ এবং দলিল নং- ৪০৩২, তাং- ০১/০৭/১৯৬৭ মোতাবেক এস,এ পরচার মালিক যথাক্রমে গোপীনাথ বসাক ও রাঁধা রানী বসাকদ্বয় উক্ত জমি ননী গোপাল বসাক পিতা: গোপী বল্লভ বসাক, সাং-২২২, নবাবপুর রোড এর নিকট বিক্রয় করিলে তিনি (ননী গোপাল বসাক) ক্রয় সূত্রে মালিক হন।
১৯৬৫ সালে পাকিস্থান ভারত যুদ্ধেও সময় ননী গোপাল বসাক বর্ণিত সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহাদের সম্পত্তি অবিক্রিত ও কোন রকম হস্তান্তর ব্যতিরেকে এদেশ ত্যাগ করিয়া ভারতবাসী হন এবং তাহারা কখনও এদেশে ফেরৎ আসে নাই। বর্ণিত সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে সেন্সাস তালিকাভূক্ত হয়, যাহা ৮০/৬৯ নং ইপি কেস মূলে লীজ প্রদানের মাধ্যমে সরকার ভোগ দখল ও নিয়ন্ত্রণ করিতেছে এবং সিটি জরিপে ১/১ নং খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নাম লিপিবদ্ধ হয়।
যাহার প্রেক্ষিতে উক্ত সম্পত্তিতে স্বত্ব ঘোষনাসহ চিরস্থায়ী নিষেজ্ঞার জন্য ননী গোপাল বসাক বাদী হইয়া বিজ্ঞ সাব জজ ২য় আদালত, ঢাকার আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-২০৩/১৯৭৯ দাখিল করেন।
উক্ত মোকদ্দমার ডিক্রিঃ- অত্র মোকদ্দমার ১-৭ নং বিবাদীর বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে ও ৮ নং বিবাদীর বিরুদ্ধে বিনা খরচায় এক তরফা সূত্রে ডিক্রী প্রদান করা হইল। আরজীর তফসীল বর্ণিত ১৮৬৪ অযুতাংশ সম্পত্তিতে বাদীর স্বত্ব ঘোষিত হইল এবং নালিশী সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি নয় মর্মে ঘোষনা সহ নালিশী সম্পত্তিতে বাদীর ভোগ দখলের কোনরুপ বিঘ্ন সৃষ্টি করা হইতে বিরত থাকার জন্য বিবাদীগনকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হইল। স্মাঃ/ আমিরুল ইসলাম, ২২/০৯/১৯৮২ ইং, জজ ও ২য় আদালত, ঢাকা।
ননী গোপাল বসাক মামলায় জেতার পর নাম জারী জমা ভাগ করিয়া আর.এস খতিয়ান সংশোধন করিয়া নিজ নামে আ.এস রেকর্ড ভূক্ত করেন।
ননী গোপাল বসাক আদালতের রায় ও ডিক্রী অবহিত করিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ঢাকা বরাবর অবহিত পত্র প্রেরন করেন।
ভিপি/ইপি কেস নং-৮০/৬৯, ৬৫৩/৬০ সংক্রান্তে ঢাকার সাব জজ ২য় আদালত কর্তৃক দেওয়ানী ২০৩/১৯৭৯ নং মোকদ্দমা রায় ও ডিক্রীর আলোকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হইয়াছে। যাহা পরীক্ষান্তে বর্ণিত ১৮৬৪ অযুতাংশ সম্পত্তি ননী গোপাল বসাক এর অনুকুলে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা হইতে কর্তৃপক্ষ রিলিজের আদেশ প্রদান করিয়াছেন।
ননী গোপাল বসাক এর মৃত্যুর পর তাহার পুত্র তপন কুমার বসাক এর নামে ঢাকা মহানগর জরীপ অনুযায়ী সম্পত্তি রেকর্ড ভূক্ত হয়।
সরকার পক্ষ বর্নিত সম্পত্তির মোকদ্দমায় পরাজিত হওয়ার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ঢাকা, তপন কুমার বসাক কে প্রতিপক্ষ করিয়া জেলা জজ আদালত, ঢাকা দেওয়ানী আঃ মোঃ নং-১০১/১৯৯৪ দাখিল করিলে এ সালাম, জেলা জজ, ঢাকা ০৮/০৫/১৯৯৪ ইং তারিখে আদেশ প্রদান করেনঃ-
উপরের বর্ণিত পর্যালোচনা ও মন্তব্যেও প্রেক্ষিতে ৮ বছর ১৪৩ দিন বিলম্ব মওকুফের প্রার্থনা না-মঞ্জুর করা হইল। আপিলে শুনানীর জন্য গৃহীত হইল না। মামলার স্বরুপ সংক্ষিপ্তভাবে না-মঞ্জুর ও নিষ্পত্তি হইল।
০৮/০৫/১৯৯৪ তারিখের জেলা জজ, ঢাকার আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের ঈরারষ Civil order no-2963 of 1994 মোতাবেক আপীল করিলে মাননীয় বিচারপতি এ.আর.এম আমিরুল ইসলাম চৌধুরী নিন্ম বর্ণিত আদেশ প্রদান করেন।  “ There is no substance in this application and the case is summarily rejected” হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রীম কোর্টের আপীলেট ডিভিশনে civil review petition no-17 of 1996 দাখিল করিলে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের ফুল বেঞ্জ এ উপস্থিত, প্রধান বিচারপতি এ টিএম আফজাল, বিচারপতি মোস্তফা কামাল, বিচারপতি লতিফুর রহমান, বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, বিচারপতি বিমলেন্দু বিকাশ রায় চৌধুরীর ফুল বেঞ্জ নিন্ম বর্ণিত আদেশ প্রদান করেনঃ- The review petition id out of time by 319 days. Explanation for condonation of delay is not satisfactory. The delay is not condoned. The petition is dismissed as time barred. Let security of TK 2000/- deposited by the petitioner in this petition be paid to the contesting respondent.  ২৭/০৮/১৯৯৬ ইং।
বর্ণিত সম্পত্তির বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষ রীট পিটিশন নং-১১২৬১/২০১৫ দাখিণ করিলে বিচারপতি সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হুসেইন এবং বিচারপতি একেএম শহীদুল হক ১৬/০৫/২০১৬ তারিখে আদেশ প্রদান করেনঃ-Let the order of stay granted earlier by this court be extended for a further period of 6 (six) months from date.
রাষ্ট্র পক্ষের উক্তরুপ আদেশের বিরুদ্ধে তপন কুমার বসাক রীট পিটিশন নং-১১২৬১/২০১৫ সংক্রান্তে আপীল করিলে বিচারপতি সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হুসেইন এবং বিচারপতি ইকবাল কবীর গত ১৪/০৮/২০১৮ ইং তারিখ নিন্ম বর্নিত আদেশ প্রদান করেনঃ- Let the order of status quo granted earlier by this court is here by vacated.

তপন কুমার বসাক বর্ণিত সম্পত্তি সংক্রান্তে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা ও ১ম অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালত, ঢাকায় অর্পিত সম্পত্তি মোকদ্দমা নং-১৮১৪/২০১২ দায়ের করেন যাহার রায় নিন্মরুপঃ-
আদেশ হয় যে, অত্র মামলাটি বিবাদী সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে বিনা খরচে ডিক্রী হলো। আরজির তফসীল বর্নিত ঢাকা জেলার কোতয়ালী থানাধীন শহর ঢাকা মৌজার তপসীলভূক্ত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইনের তর্কিত ‘ক’ তালিকাভূক্ত ১২৪ নং ক্রমিকে ইপি/ভিপি কেস নং-৮০/৬৯ নালিশী তফসীল বর্ণিত ১২০০ অযুতাংশ সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি নয় মর্মে ঘোষনা প্রদান করা হলো এবং তা বাদী বরাবর প্রত্যর্পন বা অবমুক্তির আদেশ প্রদান করা হলো। ২০/০৮/২০১৮ ইং।
উক্ত জমির প্রকৃত মালিক শ্রী তপন কুমার বসাক লিখিত ভাবে আমাদের প্রতিনিধির কাছে জানান, “বঙ্গবন্ধু’র” নাম ভাঙ্গিয়ে সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে এই ভূমিদস্যুরা। তিনি বলেন, আমার পিতা মৃত শ্রী ননী গোপাল বসাক, সাং-২২১ ও ২২২ নং নবাবপুর রোডস্থ হোল্ডিংয়ের আমি স্থায়ী বাসিন্দা। ১৯০৩ ইং সাল থেকে আমার পূর্ব পুরুষ হইতে বসবাস করে আসছিল আমার বাবা। এই জমির মূল মালিক ছিলেন সি এস কালা চাঁদ বসাক, রাঁধা রানী দাস ও কৃষ্ণ কিশোর বসাক, কৃষ্ণ হরি বসাক ও ত্রে হরি বসাক। তাহাদের ওয়ারিশগণ এস এ রেকর্ড আগত হইলে তাহাদের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। ১৯৫৩ ইং সালে ও ১৯৬৭ ইং সালে এই সম্পত্তিটি আমার বাবা ক্রয় করেন। পরবর্তীতে আমি উক্ত হোল্ডিংয়ে ভাড়াটিয়া বসাইয়া ভাড়া আদায় করি। আমার বাবা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চাকুরীরত অবস্থায় ১৯৯৪ ইং সালে পরলোক গমন করেন। পরবর্তীতে আমাদের এই জমি আত্মসাৎ করার জন্য উক্ত সম্পত্তি সরকারী অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে আমার বাবা ১৯৭৭ ইং সালে মামলা দায়ের করে (মামলা নং-২০৩) ২য় জজ আদালত ১৯৮২ ইং সালে আমাদের পে দোতরফা সুত্রে রায় ডিক্রি প্রদান করেন। বলা হয় যে, অত্র মোকদ্দমাটি নালিশী সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি নয় মর্মে ঘোষণা সহ নালিশী সম্পত্তিতে বাদীর ভোগ দখলে কোনরুপ বিঘœ সৃষ্টি করা হইতে বিরত থাকার জন্য বিবাদী গণকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হইল। সেই পরিপ্রেেিত আমার বাবা শ্রী ননী গোপাল বসাক বাংলাদেশ ভুমি সংস্কার বোর্ড ও ভুমি মন্ত্রণালয়ে রিলিজের আবেদন করলে তৎকালীন সচিব মহোদয় ২৬/০৬/১৯৮৫ ইং তারিখে এক পত্রের বিনিময়ে সম্পত্তিটি অর্পিত বা সরকারী সম্পত্তি নহে মর্মে আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে সরকার হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টে আপিল দায়ের করলে হাইকোর্ট পিটিশনটি নামঞ্জুর করে দেয়, পরে আপিল ডিভিশনে আপিল দায়ের করিলে সেটাও নামঞ্জুর হয়। আমার বাবার মৃত্যুর পর তাহারা আবার আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য সরকারী সম্পত্তি বলিয়া বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে ২০১২ ইং সালের শেষ গ্যাজেটে পুনরায় তালিকাভুক্ত করে দেয়। আইনের কোন তোয়াক্কা না করে আমাদের এই সম্পত্তি “ক” লিস্ট তালিকায় গ্যাজেটেভুক্ত করিলে আমি শ্রী তপন কুমার বসাক সেই গ্যাজেট-কে চ্যালেঞ্জ করে ঢাকা জজ আদালতে বাংলাদেশ সরকার আইন মোতাবেক মামলা দায়ের করি. সেখানে আমার পে মাননীয় কোর্ট গত ২০/০৮/১৮ ইং তারিখে “ক” লিস্ট গ্যাজেট হইতে কর্তন করিয়া দেন। আমি এই দেশেরই নাগরিক। এই দেশেই আমার জন্ম। আমার জাতীয় পরিচয় পত্র আছে। আমাদের এই সম্পত্তি কোন শহীদ পরিবারকে কোন সময়েই লীজ দেয়া হয়নি। জনাব আজাহারুল হক খান গং এই সম্পত্তি আত্মসাৎ করিবার জন্য সরকার হইতে লীজ নেওয়ার চেস্টা করেন, পরে ভুঁয়া হাল কাগজপত্র তৈরি করিয়া মহামান্য হাইকোর্টে সেই জমির মালিকানা দাবী করিয়া একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন, যাহার রিট পিটিশন মামলা নং-১০৯৮০/১৫। ০৩/১১/২০১৫ ইং তারিখে ঢাকা জেলা প্রশাসক-কে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক-কে প করিয়া আরও একটি মামলা দায়ের করেন, যাহা এখনও চলমান অবস্থায় আছে। এই জমি আত্মসাৎ করিবার জন্য জনাব আজাহারুল হক খান গং অনেক চেস্টা করিয়া আসিতেছে এখন বলে জমিটি নাকি “বঙ্গবন্ধু’র” দেয়া কিন্তু তার কোন দালিলিক প্রমান তিনি দেখাতে পারেননি। আমি একজন হিন্দু ও সংখ্যালঘু বিধায় সে আমার জমিটি জবর দখল ও আত্মসাৎ করিবার চেস্টা করিতেছে। জনাব আজাহারুল হক খান গং কোনদিনও এই হোল্ডিংটিতে বসবাস করেননি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করেননি। সরকার যখন এই ধরনের সম্পত্তি গ্যাজেট করিয়া ফেরত দেওয়ার আইন করেন তখনি সে আমাদেরকে ভারতবাসী বলিয়া প্রচার করেন কিন্তু প্রকৃত পে আমি ও আমার বাবা এই দেশেরই নাগরিক এবং এই দেশেই আমাদের জন্ম ও বসবাস করি এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আমার এই সম্পত্তি আত্মসাৎ করিবার জন্য মনগড়া ও কাল্পনিক খবর ছাপিয়ে হেয় পতিপন্ন করিবার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।