পুলিশ জনগনের বন্ধু। পুলিশের কাজ সঠিক অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীকে আটকের মাধ্যমে অপরাধ দমন করা। আর সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই যদি অভিযোগ আসে তখন তাদের বিচার করবে কে? আর জনগন যাবে কার কাছে!!!!
আজ আপনাদের সামনে এমন একটি ঘটনা তুলে ধরবো যা পুরো সমাজকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশের পুরো প্রশাসন কে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৬ নভেম্বর। আমাদের কাছে অভিযোগ আসে পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ডের মামলা নিচ্ছে না পটিয়া থানা পুলিশ।অভিযোগের অনুসন্ধানে ১৭ নভেম্বর পটিয়ায় যায় সিটিজি ক্রাইম টিভি’র একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল।
ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৪ নভেম্বর শশুড়বাড়ি বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো ও হাটু মাটিতে লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায় গৃহবধূ জোবায়ের মোস্তফা চুমকির লাশ। স্বজনদের দাবি শাশুড়ির পরকীয়া দেখে ফেলায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।তাই সুষ্ঠু বিচারের আশায় আইনের আশ্রয় নিতে নিহতের বাবা গোলাম মোস্তফা থানায় গেলে মামলা নেয় নি পুলিশ।
পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সিটিজি ক্রাইম টিভি’র প্রতিনিধি দলটি ওসি নেয়ামত উল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যক্তিগত কক্ষে নিয়ে যান এবং স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ডেকে দুর্ব্যবহার করেন।আর চুমকি হত্যা ঘটনাকে রহস্যের জালে জড়িয়ে ফেলেন।
১৮ নভেম্বর এ ব্যাপারে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সিটিজি ক্রাইম টিভিতে প্রচার করা হলে ঘটনার ৪ দিন পর ১৯ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে মামলা নেয় পুলিশ।
২৭ নভেম্বর চুমকি হত্যার ব্যাপারে অধিকতর তথ্য সংগ্রহে সিটিজি ক্রাইম টিভি’র আরেকটি প্রতিনিধি দল থানায় গেলে পুলিশ চড়াও হয়ে তাদের থেকে গাড়ি, ক্যামেরা, মোবাইলসহ সব কেড়ে নেয় এবং ২০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি মামলা দেয়। আর তা মূহুর্তের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী চ্যানেলটির চেয়ারম্যান আজগর আলি মানিক এবং বিভাগীয় প্রধান সাংবাদিক রাশেদুল ইসলামসহ ৫ জনকে আসামী করা হয় ।
অথচ মামলায় যে সময়টি উল্লেখ করা হয়েছে সে সময়ে আজগর আলি মানিক এবং রাশেদুল ইসলাম দুজনই ঢাকায় ছিলেন।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া ২ জন সাংবাদিক ও গাড়ি চালকের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে মামলার পর থেকে পুরো সাংবাদিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ওসি নেয়ামতের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ, স্মারকলিপিসহ মানববন্ধনের মতো কর্মসূচীও পালন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও আশ্বাস দেন ওসি নেয়ামতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের।
তবে এখনো ওসি নেয়ামতের কোন শাস্তি না হলেও জামিন পেয়েছেন সকলেই কিন্তু ওসির শাস্তি না হলে হয়তো এরকম ঘটনার আবারো পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
আমরা চাই আইন আইনের গতিতে চলুক। আমরা চাই সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠিত হোক।
প্রিয় সুশীল সমাজ পুরো ঘটনার ভিডিও চিত্র সহ দেখতে সিটিজি ক্রাইম টিভি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন মুলক অনুষ্ঠান টির সাথেই থাকুন। যুক্ত হউন সিটিজি ক্রাইম টিভির সাথে।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত