TadantaChitra.Com | logo

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুদকের কমকর্তা পরচিয়ে অনৈতক কিছু দাবি করলে দুদকে জানান

প্রকাশিত : মার্চ ১৪, ২০১৯, ১৭:৫৭

দুদকের কমকর্তা পরচিয়ে অনৈতক কিছু দাবি করলে দুদকে জানান

আরিফুল ইসলাম আরিফঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃৃৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে একাধিক প্রতারক বা প্রতারকচক্র কমিশনের মামলা অথবা কমিশনের কাল্পনিক মামলা অথবা কাল্পনিক অভিযোগ থেকে অব্যাহতি অথবা অভিযুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে অনৈতিক অর্থ দাবি করছে। আবার এমনও অনেক প্রতারক রয়েছেন যারা একইভাবে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থায় বিভিন্ন অনৈতিক তদবির করছেন। প্রতারকচক্র কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের কর্মকর্তাদের আত্মীয়, বন্ধু কিংবা অন্য কোনো স্বজন পরিচয় দিয়ে অনৈতিক তদবির করছেন।
কমিশন এ জাতীয় কর্মকান্ড বন্ধে বহুমাত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কমিশনের গোয়েন্দা তৎপরতায় বিগত ৭ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখে দুদকের একটি বিশেষ টিম রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র রাজ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে থেকে প্রতারক ফয়সল রানা ওরফে মোঃ ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পরবর্তীতে ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে রাজধানীর ৩০ নয়াপল্টন, ভিআইপি রোড এর “গোল্ডেন প্লেট রেস্টুরেন্ট” এলাকা থেকে দুদক কর্মর্কতা পরিচয়দানকারী ভুয়া দুদক কর্মকর্তা হাসান মুন্না ওরফে রফিককে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানা মামলা নং ৪৫, তারিখ: ২৪-১-২০১৯খ্রিঃ দায়ের করা হয়।
আবার দুদকের গোয়েন্দা ইইনিটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেল (এনটিএমসি) এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আরেক ভুয়া দুদক কর্মকর্তা নাজমা, যার প্রকৃত নাম রাজু মিয়া-কে বিগত ১৪-০২-২০১৯ তারিখে বাড়ী নং ৭, ২নং ঢাকেশ^রী, গোদনাইল, ধনকুন্ডা, জালপুরি রোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মামলা নং ৩৭, তারিখ: ১৫-০২-২০১৯ দায়ের করা হয়।
একইভাবে ০২ ফেব্রæয়ারি, ২০১৯ তারিখে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ এবং এনটিএমসি-এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ভুয়া দুদক কর্মকর্তা কথিত সিরাজুল ইসলাম ওরফে হাজী জহিরুল হুদা ওরফে প্রশান্ত ওরফে সুশান্ত ওরফে মনিরুজ্জামান মিয়া ওরফে শহিদুল ইসলাম, যার প্রকৃত নাম আনিসুর রহমান বাবুল-কে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুমিল্লা থেকে ইয়াসিন নামীয় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানা মামলা নং ০৫, তারিখ: ০২-০২-২০১৯ রুজু করা হয়।
প্রতারকদের আইন-আমলে আনা একটি জটিল প্রক্রিয় যা কমিশন নিরলসভাবে পরিচালনা করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন অনুসারে কোনো একক ব্যক্তির অভিপ্রায় অনুসারে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার যেমন কোনো সুযোগ নেই, তেমনি অভিযুক্ত হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া কমিশনের কর্মকর্তাদের অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিষয়ে শুধু পত্রের মাধ্যমেই যোগাযোগের নির্দেশনা রয়েছে, টেলিফোন বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নয়।
এ প্রেক্ষাপটে যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনের কর্মকর্তা কিংবা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে টেলিফোন করে বা ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে কমিশনের কর্মকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বজন পরিচয় দিয়ে অনৈতিক কোনো বিষয়ে তদবির করে বা অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে তাহলে এই টেলিফোনের সতত্য অথবা ঐ ব্যক্তির পরিচয়ের নিশ্চয়তা এবং প্রতিকার পাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী ( মোবাইল নং- ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য ( মোবাইল নং-০১৭১৬-৪৬৩২৭৬) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।