TadantaChitra.Com | logo

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

প্রকাশিত : মার্চ ২০, ২০১৯, ১৭:২৬

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

জাহিদ হাসান খান রনি: বঙ্গবন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের ফানুস উড়িয়েই টানা চতুর্থবারের মত ক্ষমতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বার ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ সালে চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকাকালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে।
উন্নয়নের অগ্রযাত্রা :
সরকারের টানা ১০ বছরে দেশের রাজনীতিসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ শেখ হাসিনার হাতে থাকলেও সে পথ মসৃণ ছিল না। জ্বালাও-পোড়াও, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র, বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগোতে হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এমন কোনো খাত নেই যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, দারির্দ্য বিমোচন, পুষ্টি, মাতৃত্ব এবং শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
এগিয়ে সব সূচকে :
দেশ আর্থ-সামাজিক সূচকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যাশাজনক সাফল্য অর্জন করেছে এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ এখন মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রবৃদ্ধি ৫.৫৭ থেকে ৭.২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ৮৪৩ থেকে ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার, বিনিয়োগ ২৬.২৫ শতাংশ থেকে ৩০.২৭ শতাংশ, রফতানি ১৬.২৩ থেকে ৩৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স ১০.৯৯ থেকে ১২.৭৭ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ ১০.৭৫ থেকে ৩৩.৪১ বিলিয়ন ডলার এবং এডিপি ২৮৫ বিলিয়ন টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১০৭ বিলিয়ন টাকা।
সাহসী সিদ্ধান্ত বড় প্রকল্পে :
নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বিশাল এ প্রকল্প হাতে নেয়ার ঘটনা অনেক দেশ ও সংস্থার সন্দেহ ও বিস্ময় প্রকাশ করলেও সে স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর থেকে দেশ এখন বিশ্বের ৩১টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায়। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও চলমান। রয়েছে মহাকাশ জয়ের লক্ষ্য। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ গত বছর মার্চে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। দুই হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ উপগ্রহ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক বাংলাদেশ। বছরে সাশ্রয় হবে ১৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ছাড়াও ব্যবহার করবে সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও কাজাখস্তানের কিছু অংশ।
এ ছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসহ আরো কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের প্রথম ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি ফেনী জেলার মহিপালে এই ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন। দেশের আইটি খাতের নতুন সম্ভাবনা যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রধানমন্ত্রী গত বছর ১০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেছেন। মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) সুমিতোমোর নেতৃত্বাধীন জাপানি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
আন্তর্জাতিক অর্জন :
বর্তমান সরকারের শাসন আমলেই কোনো রকম যুদ্ধ-সংঘাত বা বৈরিতা ছাড়াই দুই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র বিজয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান এলাকার প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার পরপর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল সম্প্রতি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা বাংলাদেশের বড় অর্জন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সর্বশেষ রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশ ও সংস্থা এই ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন মাদার অফ হিউম্যানিটি উপাধি। তলাহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্বও পালন করছে।
শেখ হাসিনার স্বীকৃতি :
পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস, বিশ্বের পাঁচজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকারপ্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও কাজের অবদানের জন্য তাকে নানা পুরস্কারে ভূষিত করা হয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে। ২০১৪ সালে ইউনেস্কো তাকে শান্তির বৃক্ষ ও ২০১৫ সালে ওমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল রফারাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাকে রিজিওনাল লিডারশিপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে। জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ-২০১৫ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। টাইম ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের প্রভাবশালী ১০ নারী নেত্রীর একজন মনোনীত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। একজন জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা সবসময় নিজেকে প্রমাণ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক খালিজ টাইমস রোহিঙ্গাদের সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তাকে নিউ স্টার অব দ্য ইস্ট বা পূর্বের নতুন তারকা হিসেবে আখ্যায়িত করে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ :
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার কাজে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। টানা দুই মেয়াদের ক্ষমতায় বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও গোষ্ঠীর চাপ সত্তে¡ও শীর্ষস্থানীয় অপরাধীদের বিচার শেষে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এই বিচার করতে পারা স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য। সেই সঙ্গে গত কয়েক বছরে ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করছে। ভ‚মি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমছে। ই-টেন্ডারিং, ই-জিপির ফলে দুর্নীতি কমছে। ১০ টাকায় কৃষক ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার ঘটনাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদাহরণ হিসেবে কাজে লাগছে।
মসৃণ ছিল না এই যাত্রা :
প্রথম মেয়াদ শেষ করা ও টানা দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু ও তার চার বছরে অনেক সফলতা আসলেও এই যাত্রা মসৃণ ছিল না। এই সময়ে পিছু ছাড়েনি ষড়যন্ত্র। সামনে এসেছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। বিএনপি-জামায়াতের চরম রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবিলা করে দেশ যখন স্থিতিশীল পরিবেশে অর্থনৈতিকসহ নানা ক্ষেত্রে ইতিবাচক ধারায়, ঠিক তখনই আবার নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছে জঙ্গিবাদ। তবে এসব চ্যালেঞ্জের বেশিরভাগই স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট নয়, বরং ষড়যন্ত্রমূলকও। সরকারকে বিপাকে ফেলে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড-অগ্রযাত্রা স্থিমিত করে দেয়াই ছিল উদ্দেশ্য। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলা, মসজিদ-মন্দিরে হামলা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং সবশেষ এক নারী জঙ্গির আত্মঘাতীর ঘটনা সেটিই প্রমাণ করে। তবে সব ষড়যন্ত্র আর চ্যালেঞ্জ প্রজ্ঞার সঙ্গে মোকাবিলা করেই পথ চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উন্নয়নের বাংলাদেশ :
* প্রবৃদ্ধির হারঃ ২০০৬ – ৫.৭%; ২০০৯- ৫.৭৪%; ২০১৮- ৭.৮৬%। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২.১২%
* মাথাপিছু আয়ঃ ২০০৬- ৪২৭ ডলার; ২০০৯- ৭১০ ডলার; ২০১৮- ১,৭৫২ ডলার। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১০৪২ ডলার
* বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভঃ ২০০৯- ১ বিলিয়ন ডলার; ২০১৮- ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার
* রপ্তানি আয়ঃ ২০০৯- ১.২৬ বিলিয়ন ডলার; ২০১৮- ৩৬.৭ বিলিয়ন ডলার; আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫.৪৪ বিলিয়ন ডলার
* বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাঃ ২০০৬ -৩১০০ মেগাওয়াট; ২০০৯- ৪৯৪২ মেগাওয়াট; ২০১৮- ২০,৪৩০ মেগাওয়াট; আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫,৪৮৮ মেগাওয়াট
* মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ ২০০৯- ২৭টি; ২০১৮- ১২৭টি; আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০টি
* বিদ্যুৎ আওতাধীন জনগোষ্ঠীঃ ২০০৬- ৪৭%; ২০০৯- ৪৭%; ২০১৮- ৯৫%। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ আওতাধীন জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮%
* খাদ্য উৎপাদনঃ ২০০৯- ৩৪৭ লক্ষ মেট্রিক টন; ২০১৮- ৪০০ লক্ষ মেট্রিক টন। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে ৫৩ লক্ষ মেট্রিক টন
* দারির্দ্যের হারঃ ২০০৬- ৪১.৫%; ২০০৯- ৩১.৫%; ২০১৮- ২১.৮%। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে দারির্দ্যের হার কমেছে ৯.৭%
* বৈদেশিক বিনিয়োগঃ ২০০৬- ৪৫.৬ কোটি ডলার; ২০০৯- ৯৬.১ কোটি ডলার; ২০১৮- ২৫৮.৮০ কোটি ডলার। আওয়ামী লীগের ৮ বছরের শাসনামলে বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১২৬.৯০ কোটি ডলার
* রেমিটেন্স আয়ঃ ২০০৬- ৪৮ কোটি ডলার; ২০০৯- ৯৭ কোটি ডলার; ২০১৮- ১৪৯.৩ কোটি ডলার। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে রেমিটেন্স আয় বেড়েছে ৫২.৩ কোটি ডলার
* মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনঃ ২০০৬- ১৭৬ কিলোওয়াট/ঘণ্টা; ২০০৯- ২২০ কিলোওয়াট/ঘণ্টা ;২০১৮-৪৬৪ কিলোওয়াট/ঘণ্টা। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ২৪৪ কিলোওয়াট/ঘণ্টা
* কৃষি ভর্তুকি প্রদানঃ ২০০৬- ০; ২০০৯- ৫৭৮৫ কোটি টাকা; ২০১৮- ৯০০০ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে কৃষিতে ভর্তুকি বেড়েছে ৩২১৫ কোটি টাকা
* অতি দারির্দ্যের হারঃ ২০০৬- ২৪.২%; ২০০৯- ১৯.৩%; ২০১৮- ১১.৩%। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে অতি দারির্দ্যের হার কমেছে ৮%
* ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে অবস্থানঃ ২০০৬- ৯১তম; ২০০৯- ৯৩তম; ২০১৮- ৪৭তম। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে অবস্থান এগিয়েছে
৪৬ ধাপ
* বয়স্ক ভাতাঃ ২০০৬- ২০০ টাকা; ২০০৯- ২৫০ টাকা; ২০১৮- ৫০০ টাকা। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫০টাকা
* মুক্তিযোদ্ধা ভাতাঃ ২০০৬- ৫০০ টাকা; ২০০৯- ৯০০ টাকা; ২০১৮- ১০ হাজার টাকা। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ হাজার ১০০ টাকা
* মাতৃত্বকালীন ছুটিঃ ২০০৬- ৪ মাস; ২০০৯- ৪ মাস; ২০১৭- ৬ মাস। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে মাতৃত্বকালীন ছুটি বেড়েছে ২ মাস
* গড় আয়ুঃ ২০০৬- ৬৫.৪ বছর; ২০০৯- ৬৬.৮ বছর; ২০১৮- ৭২.৮ বছর। আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ বছর।

(১৮ মার্চ ২০১৯ সালে সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্রে প্রকাশিত হয়েছে)


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।