TadantaChitra.Com | logo

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিকতার উজ্জল নক্ষত্র ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দাঁড় করানোর মুল চালিকাশক্তি ছিলেন মাহফুজ উল্লাহ…মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার

প্রকাশিত : জুন ২৩, ২০১৯, ১৯:০২

সাংবাদিকতার উজ্জল নক্ষত্র ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দাঁড় করানোর মুল চালিকাশক্তি ছিলেন মাহফুজ উল্লাহ…মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার

বরেণ্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ তিনি যেমন একজন সুনামধন্য সাংবাদিক ছিলেন ঠিক তেমনি একজন দক্ষ সংগঠকও ছিলেন। তিনি প্রকাশ্য ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও তাহার মাধ্যমে আজ বিএনপি বিস্তৃত ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দাড় করিয়ে তুলে দিতে তার অগ্রণী ভূমিকা যতেষ্ট যাহা কখনই ভুলার মতো কোনো সুযোগটি নেই। তিনি বলতেন আমি এই দলের কেউই নই, তবে দলের বাইরে থেকেই তিনি দলকে সার্বিক ভাবে তুরান্বিত করেছেন। সাংগঠনিক গুণাবলী সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নাও থাকতে পারে। তবে রাজনীতিতে সফলতার জন্য সাংগঠনিক সেই- তার শক্তি তাহার মধ্যে বিদ্বমান ছিল। আগামীতে জাতীয়তাবাদী দলের শক্তিকে আরো ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে তার মতো মেথা প্রজ্ঞাভান সাংগঠনিক দক্ষতাপুর্ণ মাহফুজ উল্লাহর আরও প্রয়োজন ছিল। তাহার মৃত্যুতে বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী শক্তি আজ পুঙ্গত্ব বরণ করতে হচ্ছে। সমসাময়িককালের সমাজ ও সভ্যতা সম্পর্কে তার অনেক কিছুই জানার ছিল এবং তাহার কাছ থেকে সেই- বিষয়গুলি আমাদের জানার আগ্রহ ছিল কিন্তু সেই- বিষয়টি আর পুর্ণ হয়নি। সমকালীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা সম্পর্কে তার ধারণা ছিল বলেই সাংবাদিকতা, রাজনীতি, ও সাংগঠনিক কাজে তিনি তথ্যপ্রযুক্তিতে যতেষ্ট ধারণা ছিল। বিএনপিকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর পেছনে তাহাঁর অবদানটি অবিস্বরনীয় দেশবরেণ্য সাংবাদিক, পরিবেশ সাংবাদিকতার জনক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট মাহফুজ উল্লাহ ছিলেন সাংবাদিকতার এক মুকুট সম্রাট ব্যক্তি-। মিডিয়া জগতের এক উজ্জল নক্ষত্র রাজ ছিলেন। তিনি দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য ধারাবাহিক সংগ্রামে গুরুপুর্ণ ভুমিকা রেখে গেছেন। এই অবদানটি দেশ ও জাতি চিরস্মরণীয় করে রাখবে।
গত ২৭ এপ্রিল এই বরেণ্য সাংবাদিক ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মাহফুজ উল্লাহ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আজ ২২ জুন শনিবার বিকেলে বাদ আছর রাজধানী মগবাজার চাঁন্দ মসজিদে মাহফুজ স্বরনে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত দোয়া মাহফিলে ১০ জন কুরআনে হাফেজকে মাহফুজ উল্লাহর নামে স্বরনীয় করে- তাহাঁর আত্নার মাগফিরাত কামনা করে পবিত্র কোরআন শরীফ এই হাফেজদের মাঝে উক্ত হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ঈসমাইল সিরাজির উপস্থিতিতে বিতরন করেন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার।
পরিশেষে মাদ্রাসা মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মাহফুজ উল্লাহর জন্য দোয়া মোনাজাত করে তাহার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয় । মোনাজাতের পুর্বে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হা: মাওলানা ঈসমাইল সিরাজী এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন – সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর সাথে তাঁহার সাক্ষাত হয়েছে জীবনে দুইবার। তিনি বলেন মাহফুজ উল্লাহর লেখিত প্রত্যেকটি বই আমি অধ্যায়ন করেছি। আমি তাহার লেখাগুলি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে অধ্যায়ন করতাম। আমি তাহার লেখিত বইয়ের বই প্রেমিক একজন ভক্ত। তাহার মতো এধরনের বিজ্ঞ সৎ সাহসিক সুস্পষ্ট বাদি মানূষ চলে যাওয়ায় দেশের অনেক অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে যাহা অতি- সহজে পুর্ণ হবার নয়।

পরিষদের সভাপতি অলিদ তালুকদার আরও বলেন, কর্মজীবনের মধ্যে তিনি মাহফুজ উল্লাহ সবচেয়ে বেশিভাগ সময়টি মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাহার সবচেয়ে বড়গুণ ছিল দেশের যে কোনো পেক্ষাপটে তিনি সাথেসাথে কলমের মাধ্যমে সৎ সাহসিকতায় কলমযুদ্ধে তাৎক্ষণিক জবাব দিতেন। সাধারণ জীবন- যাপনকারী দেশপ্রেমিক এই বরেণ্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ তিনি মানবতাবদী, পরিবেশের বন্ধু’, ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার মুহুর্ত বাহক ও ধারক ছিলেন। প্রকৃতির পরিশীলিত একজন মানু্ষ ছিলেন এই বরেণ্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বাঙালী জাতি হিসেবে আমাদের যে অমিত অনাদি গৌরব সেই- ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি তাহাঁর গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তিনি। তাহাঁর জীবনদ্দশায় দেশ জীবনই হয়ে উঠে তাঁর আত্নজীবন এবংদেশপ্রেমই হয়ে উঠেছে বিশ্ব- জনীন বিশ্বপ্রেম।
উক্ত দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেনঃ পরিষদের সদস্য- এম শাকির মুনিম, জাকির হোনেস, তোফায়েল আহমদ, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, হা: মাওলানা সামছুদ্দিন, হা: মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।