TadantaChitra.Com | logo

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টোকাই মুমিনের হাতে আলাদিনের চেরাগ! আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় অসহায়?

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ১৮:০৩

টোকাই মুমিনের হাতে আলাদিনের চেরাগ! আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় অসহায়?

স্টাফ রিপোর্টারঃ গত ৩১ আগস্ট রোজ শনিবার টিএনটি আনসার ক্যাম্প মাঠে অনুষ্ঠানের সাংবাদিক কে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা অভিযোগ উঠেছে বিএনপি যুবদলের টুন্ডা মমিন সরকারের বিরুদ্ধে। দেশি অস্ত্র, লোহার পাইপ, হকিস্টিক, টিপ ছুরি, নিয়ে প্রকাশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে ফিল্ম স্টাইলে এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় প্রতিবেদক কে পরবর্তী থানায় লিখিত অভিযোগ করল ও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আসামিপক্ষ।

তারা এলাকাবাসীর কাছে বলে বেড়াচ্ছে টাকা দিলেই বাঘের চোখ মেলে। এ তো সামান্য বিষয় প্রতিমাসে থানা ও বিভিন্ন স্থানে মাসোহারা দিয়ে থাকি আমার একটা আলাদা প্রভাব আছে এভাবেই একাধিক মামলার আসামি মমিন নিজের ক্ষমতার কথা প্রকাশ করেন জনসাধারণের কাছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রী বাসায় বোমা নিক্ষেপকারী নিজের ক্ষমতার দাপট এর কথা মানুষের কাছে বলাবলি করছেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।

 

বনানী থানা হামলা বিষয় নিয়ে কথা বললে প্রথম অভিযোগ আকারে দাখিল করে প্রতিবেদককে আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি দেখছি। তার কিছুদিন পরে জিডি করতে বলা হয় যার নাম্বার, ৭৮৩ কড়াইল বস্তি কুমিল্লা পট্টি থেকে কিছু ভুক্তভোগীরা প্রতিবেদককে ফোনে করে বলেন। আপনি মুমিনের বিষয় সংবাদ প্রকাশ করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও সংবাদটি শিরোনাম প্রকাশ করার অনুরোধ জানায়।

 

হোটেল বয় মমিন ও তার সেভেন স্টার গ্রুপ হেরোইন ব্যবসায়ী শহীদ মিয়ার ছেলে রায়হান, রায়হানের নামের নারী নির্যাতন তিন বউয়ের অভিযোগ রয়েছে ও থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বাবার নামে বনানী থানায় মাদক মামলা রয়েছে। সে বাবার যোগ্য সন্তান কাল্লু রায়হান। কালু রায়হান বাহিনী তারাই কড়াইল বস্তির অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। আড়াল থেকে হুকুমদাতা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি মমিন সরকার। সে বছর দশেক আগে ও কড়াইল বস্তির কুমিল্লা পট্টি টোকাই হিসেবে চিনতে মোমিনকে এখন সে অন্যতম তবে বস্তির বর্তমান আতঙ্কের নাম একসময়কার হোটেলবয় মমিন সরকার একাধিক মামলা ও জিডির আসামী মোমিন।

 

মোশাররফ হোসেন মশার ছত্রচ্ছায়ার মোমিন হয়ে উঠেছিল বস্তির সম্রাট। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে অবৈধ সংযোগের বিলের টাকায় সে কোটিপতি। গুলশান বিলাসিতা বাড়ি, লেটেস্ট মডেলের গাড়ি, ব্যাংকের নামে-বেনামে ওদেল টাকার। সরকারি গ্যাসের অবৈধ টাকার তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি অধিকারী, অর্থের বিনিময় যুবদল থেকে বনানী থানা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি পদে বহাল। ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর কড়াইল বস্তিতে প্রকাশ্যে বাহিনী নিয়ে সারা বস্তি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মমিন সরকার গিলে খাচ্ছে যুব সমাজকে।৷

তথ্য অনুসন্ধানে সরেজমিন কড়াইল বস্তি: প্রতি মাসে ১০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয় এমনটাই চলে আসে প্রতিবেদককের নিকট, হোটেল বয় মোমিন, ভাঙারি ব্যবসায়ী মঞ্জু, রিকশা চালক, বাসের হেলপার, রস ব্যবসায়ী, তাদের নির্দেশ বনানীর কড়াইল বস্তিতে প্রতি মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়। সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা বস্তির ঘরভাড়া এবং অবৈধ সংযোগের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের বিলের নামে এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তথাকথিত মালিক ও সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। এরাই বস্তির সামগ্রিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করেন।

তাদের অনেকেই এখন কোটিপতি। যারা এক সময় ছিলেন ভাঙারি ব্যবসায়ী, রিকশাচালক, বাসের হেলপার, হোটেল বয় ও নৌকার মাঝি। কিন্তু এসব অপকর্মের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্টরা একরকম নির্বিকার।

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে গত সোম ও মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে এবং বস্তিবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য। বস্তিবাসীর অভিযোগ, গরিবের রক্ত চুষে তারা (নিয়ন্ত্রক) কোটিপতি হয়েছেন।

এখন তারা ‘বস্তির রাজা’। ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গসংগঠনের নাম ভাঙিয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠছেন এই রাজারা। শুধু তাই নয়, হোটেল বয় মমিন ও তাদের দোসরদের তত্ত্বাবধানে রাতভর বস্তিতে চলে মাদক ও জুয়ার আসরও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৫৬ সালে তৎকালীন টিএন্ডটির নামে ১৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। এর মধ্যে এখন ১৬০ একর জমিতেই গড়ে উঠেছে কড়াইল বস্তি। স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এ বস্তি প্রসার লাভ করে।

১৯৮৮ সালের বন্যার পর দেশের নদী ভাঙনপ্রবণ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ বস্তিতে আশ্রয় নিলে এটি বিশাল আকার ধারণ করে। এ বস্তিতে প্রায় ৮০ হাজার ঘর রয়েছে। এখানে বসবাসকারী ৭৫ হাজার পরিবারে প্রায় চার লাখ লোক বসবাস করেন। বস্তির রাজারা শুধু গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির অবৈধ বিলের নাম করে বস্তিবাসীর কাছ থেকে মাসে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। আর ঘরভাড়া বাবদ আদায় করা হয় প্রায় ১১ কোটি টাকা।

অভিযোগ রয়েছে- এ টাকার ভাগ বিদ্যুৎ বিভাগ, তিতাস গ্যাস, ওয়াসা এবং পুলিশসহ নানা সংস্থার কাছে চলে যায়। এ কারণেই স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বসে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলেও দেখার কেউ নেই। এমনকি কড়াইল বস্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৮ বছরে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাবি এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলে সেটা পুলিশ দেখে। এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, কড়াইল বস্তিতে পানির অবৈধ সংযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডেসকোর গুলশান অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বস্তিতে মিটার দিয়ে বৈধভাবে বিদ্যুতের লাইন দেয়া হয়েছে। সেখানে অবৈধভাবে কেউ যেন লাইন টানতে না পারে সেটি দেখার জন্য ভিজিল্যান্স টিম আছে। তারপরও বস্তিতে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ নেন বস্তিবাসী। এ ধরনের লাইন পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেই।

গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিষয়ে তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এটা মার্কেটিং বিভাগ বলতে পারবে। কড়াইলের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।