TadantaChitra.Com | logo

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজয়ের অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধীদের আমন্ত্রণ না দিতে নির্দেশ

প্রকাশিত : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ১৯:৩৪

বিজয়ের অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধীদের আমন্ত্রণ না দিতে নির্দেশ

ঢাকা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে কোনো যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধের সময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে যাতে আমন্ত্রণ না জানানো হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, দেশের প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি, তারা যেন এসব মানুষদের প্রতি নজর রাখে। একইসঙ্গে তারা যেন এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে এসে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়াতে পারেন। এ বিষয়ে আজ আমরা একমত হয়েছি।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই যাতে মনের মাধুরী দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পালন করতে পারে, সেই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নেব। বিজয় দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও রঙ সমন্বয় করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন জায়গায় পতাকাগুলো যথেষ্ট মলিন হয়ে গিয়েছে। সেগুলো তারা ব্যবহার করেন ও তোলেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১৬ ডিসেম্বর যে পাতাকাটি তুলবেন, আমাদের পতাকা বিধি অনুযায়ী, পতাকা মাপ অনুযায়ী পতাকা তুলতে হবে। রঙ বর্ণ এবং সবকিছু যাতে ফ্রেস থাকে; কোনো বিবর্ণ, পুরনো, ছিঁড়ে যাওয়া পাতাকা কেউ উড়াতে পারবেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, আমরা অনেকদিন ধরে লক্ষ্য করছি ডিসেম্বর এলেই সবাই ১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আলোকসজ্জা করে থাকেন। আজকে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে কেউ কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করতে পারবেন না। ১৬ ডিসেম্বর পালনের জন্য আলোকসজ্জা করতে পারবেন। ১৪ ডিসেম্বরকে মর্যাদা সহকারে স্মরণ করব, সেজন্য সেদিন যাতে কোনো আলোকসজ্জা না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখব।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেকেই পতাকা তোলেন, সেখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, সেদিন তারা বাসায় বা যেখানে প্রয়োজন পতাকা তুলবেন। কিন্তু পরের দিন পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী পতাকাটাকে যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে তারা আবার নামিয়ে রাখবেন।’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশি কূটনৈতিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকা থেকে সাভার রুটের সড়ক সিটি ক্যামেরার আওতায় থাকবে যাতে করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা নাশকতা ঘটাতে না পারে। পুরো স্মৃতিসৌধ সিটি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।’

‘প্রতিবারের মতো এবারও যেখান দিয়ে ভিআইপিরা গমনাগমন করবেন সেই সড়কে কোনো ওভারহেড তোরণ করতে দেব না। বিশেষ করে ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত সড়কে।’ -বলেন মন্ত্রী।

বিজয় দিবসে মেট্রোপলিটন এলাকা, জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠান স্থলে প্রয়োজন অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে যেসব সংস্থা সংস্কৃতি অনুষ্ঠান, আনন্দ র‌্যালি করবেন তারা সাতদিন আগে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন। আমরা সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে কুচকাওয়াজ এবং ঢাকা মহানগরীর ১১টি স্থানে এবং সারা দেশব্যাপী ৪১১টি স্থানে ফায়ার সার্ভিস অ্যালার্ট থাকবে। বিভিন্ন স্থানে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান।

প্যারেড স্কয়ারের বাইরে কিছু এলইডি স্ক্রিন দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যাতে প্যারেডের পুরো দৃশ্য মানুষ দেখতে পারে। শহরের বিভিন্ন স্থানে তা স্থাপন করা হবে।’

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।