TadantaChitra.Com | logo

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাসপাতালের বিল মিটাতে নিজের সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য

প্রকাশিত : মে ০৩, ২০২০, ০৬:৫৪

হাসপাতালের বিল মিটাতে নিজের সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য

আমির হোসেনঃ হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে সদ্য জন্ম দেওয়া সন্তানকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন শরীফ-কেয়া দম্পত্তি। এরপর সন্তান ছাড়াই বাড়ি ফেরেন তারা।
শুক্রবার (১লা মে) গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানা এলাকার ’সেন্ট্রাল মেডিকেল হাসপাতালে’ এ ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুরের এনায়েতপুর এলাকায় বাড়ি শরীফ-কেয়া দম্পত্তির। তারা জানান, গত ২১ এপ্রিল গর্ভবতী স্ত্রী কেয়া খাতুনকে কোনাবাড়ির সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৬ হাজার টাকা চুক্তিতে ভর্তি করেন। ওই দিনই সিজারের মাধ্যমে কেয়া খাতুনের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। চারদিন পর চুক্তি আনুযায়ী বিল পরিষোধ করতে বললে শরীফ টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছে সময় চায়। কিন্তু সময় দিলেও এই কয় দিনে ওই হাসপাতালে তাদের বিল আসে ৪৭ হাজার টাকা। কিন্ত দরিদ্র শরীফ-কেয়া দম্পতি হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে টাকার জন্য বাচ্চাকে ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করে বিল পরিশোধ করে বাড়ি চলে যান শরীফ-কেয়া দম্পত্তি ।

এ বিষয়ে শরীফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা সংগ্রহ করতে না পারায় হাসপাতাল মালিক আমাকে তিন তলা থেকে নিচে নামতে দেয়নি তাছাড়া নানা ধরনের অপমান অপদস্ত করে।পরে কোন উপায় না পেয়ে আমি সন্তান আরেক জনের কাছে বিক্রি করে টাকা আনতে বাধ্য হই।

পুলিশ কমিশনার মোঃআনোয়ার হোসেন এই খবর জানতে পেরে নবজাতককে কিনে নেওয়া ওই ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। পরে নবজাতকে নিয়ে হাজির হন শরীফ হোসেনের বাড়িতে।মায়ের কোলে তুলে দেন ফুটফুটে শিশুটিকে। পাশাপাশি সন্তানকে লালন-পালনের জন্য আরো পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন ওই দম্পতির হাতে।

কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। এডিশনাল আইজি (এসবি) স্যারের মাধ্যমে ঘটনাটি শোনার পর খুব খারাপ লেগেছিল। খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। সন্তানটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে।’এদিকে মায়ের কোলে সন্তান ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে পুলিশ কমিশনারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তার প্রশংসা করেন।

হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোনায়েম খান জানান,আমার হাসপাতালে গত ২১এপ্রিল ভর্তি হয় ১৬ হাজার টাকার চুক্তিতে। তারা সঠিক সময় টাকা দিতে না পারায় বিলম্ব করে। এরপরে গত শুক্রবার হাসপাতালে মোট ১৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে চলে যায়। বাচ্চা বিক্রির ব্যপারে আমি কিছুই জানিনা।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।