অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের মানুষ বেকার হয়ে পড়লেও কিস্তি নেওয়া বন্ধ রাখেনি এনজিওগুলো। এতে বিপাকে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ। একদিকে বেকার জীবনের গ্লানি অন্যদিকে কিস্তি দেওয়ার চাপে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এতে পরিবারের ভেতরেও কলহ-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ঘরে খাবার না থাকলেও কিস্তি দিতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় গ্রামে অঞ্চলে এনজিওগুলোকে কিস্তি আদায় বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ঋণগ্রহীতারা।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পূর্ববাটি গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত আলী রাজধানীতে দিনমজুরের কাজ করতেন। তিনি বলেন, লকডাউন শুরু হওয়ার আগিই ঢাকায় থেকে গ্রামে এসেছেন। এখন গ্রামে বেকার বসে আছেন। কিন্তু এনজিও থেকে যে ঋণ নিয়েছে তার কিস্তি দিতে হচ্ছে। রোজার মধ্যে ঘরে ভাত নেই, ছেলে মেয়েকে ঠিকমত ভালো খাবার দিতে পারছি না। এরমধ্যে কিস্তির চাপ বাড়ছে। সপ্তাহে একটি কিস্তি দিতে না পারলে বিভিন্ন ধরনের হুঁমকি দিয়ে এনজিওকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছে বিভিন্ন এনজিও।
চুয়াডাঙ্গার এনজিও সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের শাখা ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কিস্তি আদায়ে এনজিওকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবে না। তবে কোনো গ্রাহক কিস্তি দিতে চাইলে অফিসে এসে দিতে পারবেন।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত