ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে নতুন বছরের শুরুতেই নিজ পরিবারের ৪ জন সদস্যকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের একজন ব্যক্তি। মৃতদের মধ্যে ৩ বছর বয়সী একজন শিশু রয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধরের দারোলি খুর্দ গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে অবসাদে পরিবারের সমস্ত সদস্যকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছিলেন মনমোহন সিং নামক ৫৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী, ২ মেয়ে এবং তাদের ৩ বছরের নাতনি।
পুলিশ জানিয়েছে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। একই ঘরে তার স্ত্রী ও নাতনি মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। আর ওই দম্পতির ২ মেয়ের মৃতদেহ অন্য একটি ঘরে খুজে পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, মনমোহন সিং আত্মহত্যা করার আগে তার পরিবারের চার সদস্যকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে হত্যা করেছেন।
মনমোহনের প্রতিবেশীরা জানান, তারা বিকেলে পরিবারের সদস্যদের ঘোরাফেরা করতে দেখেছিলেন। তারপর তারা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। এমনকী ঘরের আলোও বন্ধ ছিল। মনমোহনের এক কন্যার স্বামী জানিয়েছেন, স্ত্রীকে একাধিকবার ফোন করে সাড়া না পেয়ে বাড়ি চলে আসেন তিনি। বহু ডাকাডাকির পরেও ঘরের দরজা বন্ধ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে তারা ১টি সুইসাইড নোট খুজে পেয়েছে। যেখানে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা জানায়, মনমোহন সিং স্থানীয় পোস্ট অফিসের শাখা প্রধান ছিলেন। তার বাড়িতেই পোস্ট অফিসের শাখা ছিল। তিনি সেখান ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিয়েছিলেন।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত